জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতীক শাপলা না দিলে আগামী নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মুখ্য সংগঠক (উত্তর) সারজিস আলম।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এই বার্তা দেন তিনি।

আরো পড়ুন:

‘সঠিক বিচারিক প্রক্রিয়ায় হাসিনাকে ফাঁসিতে ঝুলানো নিশ্চিত করা হবে’

আ.

লীগ-জাপা চোরে চোরে মাসতুতো ভাই: সারজিস

সারজিস লিখেছেন, “নির্বাচন কমিশন সচিব বলেছেন মার্কার তালিকায় শাপলা নেই, তাই এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না। এর মানে কোনো আইনগত বাধা নয় বরং তালিকায় না থাকার কারণে তারা এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে পারছে না।”

নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার দিন শাপলা প্রতীকের কথা স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, “তাহলে ওই তালিকায় শাপলা মার্কা যুক্ত করা কাদের কাজ ছিল? এতদিন কি তারা নির্বাচন কমিশনে বসে বসে নাটক দেখেছে? নাকি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে বসে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান, দল বা এজেন্সির কথামতো উঠবস করেছে।”

সব ধরনের ভন্ডামিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার হুঁশিয়ারি দিয়ে এনসিপির এই নেতা লিখেছেন, “যেহেতু কোনো আইনগত বাধা নেই, তাই এনসিপির প্রতীক শাপলাই হতে হবে। অন্য কোনো অপশন নাই। নাহলে কোন নির্বাচন কীভাবে হয় আর কে কীভাবে ক্ষমতায় গিয়ে মধু খাওয়ার স্বপ্ন দেখে, সেটা আমরাও দেখে নিব।”

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

গলা কেটে বিড়াল হত্যা, থানায় জিডি

বগুড়া আদমদীঘিতে গলা কেটে বিড়াল হত্যার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আদমদিঘী থানায় জিডিটি করেন বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য এমরান হোসেন।

আরো পড়ুন:

স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ

ভোররাতে মাছ ধরতে ডাকাডাকি, বের হতেই হত্যা

গত সোমবার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর উনিয়নের দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামে বিড়ালটিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নজরে আসে। ঘটনাটি বিস্তারিত জানার পর তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে জিডি করে।

জিডিতে বলা হয়, গত সোমবার দুপুর একটা থেকে ২টার মধ্যে দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছ গ্রামের মোছা. বুলবুলি (২৬) নামের এক নারী একটি সাদা-কালো পুরুষ বিড়ালকে বটি দিয়ে হত্যা করেন এবং বুক চিরে নারী-ভুঁড়ি  বের করে বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতে ফেলে দেন। প্রতিবেশী এক নারী বিড়ালটিকে কুড়িয়ে এনে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করেছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ  আদনান আজাদ জানান, যে কোনো প্রাণীকে হত্যা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে নিষ্ঠুরভাবে বিড়ালটিকে গলা কেটে হত্যা এবং পরে পেট কেটে নাড়ি -ভুঁড়ি বের করে নেওয়া হয়েছে সেটা দেখে মনে হচ্ছে অভিযুক্ত নারী একজন সাইকোপ্যাথ। তিনি যে কোনো সময় মানুষ হত্যা করতে পারবেন।

এই ঘটনার পরে বিড়াল হত্যায় অভিযুক্ত বুলবুলির একটি স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, তরকারি থেকে নিয়মিত মাছ-মাংস চুরি করে খাওয়ার কারণে ক্রোধের মাথায় মাঠ থেকে বিড়ালটিকে ধরে এনে হত্যা করে নাড়ি-ভুঁড়ি বের করে পুড়িয়ে ফেলেছেন। 

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিড়ালের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।” 

তিনি বলেন, “জিডির বিষয়ে আদালত থেকে তদন্ত করার জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। অনুমতি পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গলা কেটে বিড়াল হত্যা, থানায় জিডি