ক্রিকেটের বিখ্যাত আম্পায়ার ডিকি বার্ড আর নেই
Published: 23rd, September 2025 GMT
ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় ও বিখ্যাত আম্পায়ার হ্যারল্ড ‘ডিকি’ বার্ড আজ ৯২ বছর বয়সে মারা গেছেন।
ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের বার্নসলিতে জন্ম বার্ডের। সেখানকার কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ারের হয়ে ১৯৫৬ সালে ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে ইয়র্কশায়ারের সভাপতিও হন। ক্লাবটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ করা পোস্টে বার্ডের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। ইয়র্কশায়ারের পোস্টে জানানো হয়, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব জানাচ্ছে, ক্রিকেটের অন্যতম প্রিয়ভাজন ব্যক্তিত্ব হ্যারল্ড ডেনিস ‘ডিকি’ বার্ড ৯২ বছর বয়সে নিজের বাসায় শান্তিতে মারা গেছেন।’
তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনালসহ ৬৬টি টেস্ট ও ৬৯টি ওয়ানডেতে আম্পায়ারিং করেন বার্ড। ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৬ সালে ‘এমবিই’ ও ২০১২ সালে ‘ওবিই’ সম্মান পান তিনি।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমরা বিশৃঙ্খলা ও দুর্ভোগের যুগে প্রবেশ করেছি: গুতেরেস
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেছেন, “আমরা বেপরোয়া বিশৃঙ্খলা এবং অবিরাম মানবিক দুর্ভোগের যুগে প্রবেশ করেছি। চারপাশে তাকান। জাতিসংঘের যে নীতিগুলো আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা অবরুদ্ধ। শুনুন। শান্তি ও অগ্রগতির স্তম্ভগুলো দায়মুক্তি, বৈষম্য এবং উদাসীনতার ভারে নুয়ে পড়ছে।
মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন।
গুতেরেস তার ভাষণে বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক সংঘাতের কথা উল্লেখ করেছেন, প্রথমে সুদানের যুদ্ধ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে গাজার যুদ্ধের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন, যা এই বছরের সাধারণ বিতর্ককে সংজ্ঞায়িত করবে।
তিনি বলেছেন, “গাজায় ভয়াবহতা তৃতীয় ভয়াবহ বছরের দিকে এগিয়ে আসছে। এগুলো মৌলিক মানবতাকে অবজ্ঞা করে এমন সিদ্ধান্তের ফলাফল। মহাসচিব হিসেবে আমার কর্ম বছরগুলোতে মৃত্যু এবং ধ্বংসের মাত্রা অন্য যেকোনো সময়ের সংঘাতের চেয়েও বেশি।”
গুতেরেস এমন সময় ভাষণ দিচ্ছেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসন আবারো জাতিসংঘে তহবিল কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া গাজা যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার নিয়মিত ভেটো দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
গুতেরেস সাধারণ পরিষদের সদস্যদের প্রশ্ন করেন, “আমরা একসাথে কোন ধরনের বিশ্ব গড়ে তুলতে চাই, মহামান্যরা? আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কারণ সেই কাজ সম্পাদনের ক্ষমতা আমাদের কাছ থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, “আমরা বেপরোয়া বিশৃঙ্খলা ও অবিরাম মানবিক দুর্ভোগের এক যুগে প্রবেশ করেছি। চারপাশে তাকান। জাতিসংঘের যে নীতিগুলো আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা অবরুদ্ধ। শুনুন। শান্তি ও অগ্রগতির স্তম্ভগুলি দায়মুক্তি, বৈষম্য ও উদাসীনতার ভারে নুয়ে পড়ছে।”
তিনি আরো বলেন, “সার্বভৌম জাতিগুলো আক্রমণ করেছে, ক্ষুধা অস্ত্রে পরিণত হয়েছে, সত্যকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে, বোমা বিধ্বস্ত শহরগুলো থেকে ধোঁয়া উঠছে, ভাঙা সমাজগুলোতে ক্রমবর্ধমান ক্রোধ, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূলরেখা ফুলে উঠেছে, প্রতিটি একটি সতর্কতা, প্রতিটি একটি প্রশ্ন – আমরা কোন ধরণের পৃথিবী বেছে নেব?”
ঢাকা/শাহেদ