আখতার হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ
Published: 23rd, September 2025 GMT
নিউইয়র্কে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় কুড়িগ্রাম কলেজ মোড়স্থ বিজয়স্তম্ভ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দোয়েল চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
আরো পড়ুন:
নাটোরে বিএনপির কাশেম গ্রুপের মিছিল দুলু সমর্থকদের ধাওয়ায় পণ্ড
পাবনায় বিএনপি নেতার চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
এনসিপির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী রাশেদুজ্জামান তাওহীদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক মুকুল মিয়া, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জেলা সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম, যুব শক্তির জেলা আহ্বায়ক এম রশীদ আলী।
বক্তারা বলেন, ‘‘শেখ হাসিনার গুলি যারা ভয় পায়নি, তারা ফ্যাসিবাদের ডিম নিক্ষেপকে ভয় পায় না। যারা বিদেশের মাটিতে স্বদেশের সুনাম ক্ষুন্ন করে, তারা কখনো বাংলাদেশের মানুষের বন্ধু হতে পারে না।’’ তারা অবিলম্বে এনসিপির নেতাদের ওপর হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী মাহমুদুল হাসান জুয়েল, মাসুম মিয়া, মোজাম্মেল হক বাবু, জেলা সদস্য আসাদুজ্জামান, লিটু সরকার, নারী সংগঠক নাছিরা খন্দকার নিশা, সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক রাজু আহমেদ রাজ্জাক প্রমুখ।
ঢাকা/সৈকত/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী
দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।
এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।
মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।
সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন