আখতার হোসেনকে ডিম নিক্ষেপ, চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভ
Published: 23rd, September 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও পতিত স্বৈরাচারের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন দলটির চট্টগ্রাম শাখার নেতা–কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচিতে এনসিপি, যুবশক্তি ও শ্রমিক উইংয়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
এতে বক্তব্য দেন এনসিপির চট্টগ্রাম সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন, মোহাম্মদ এরফানুল হক, শ্রমিক উইং চট্টগ্রাম নগরের প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জিলানী, জাতীয় যুবশক্তি চট্টগ্রামের আহ্বায়ক ইরফাত ইব্রাহীম, যুগ্ম আহ্বায়ক মো.
বক্তারা বলেন, এটি কোনো আকস্মিক হামলা নয়, পরিকল্পিত হামলা। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এখনো বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ থেকে গেছে। তারা এসব করছে। সরকার রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের শনাক্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
একটি বিদেশি গণমাধ্যমে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে এনে এনসিপি চট্টগ্রামের যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘তাঁরা বিদেশি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। আমরা বলছি, আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন হবে। আমরা রাজপথ থেকে উঠে আসা মানুষ, আমাদের ভয় দেখাবেন না।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়ার ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে আখতার হোসেন সেখানে যান।
বিমানবন্দরের চার নম্বর টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার সময় স্থানীয় সময় ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আখতার হোসেনের সঙ্গে হাঁটছিলেন সফরসঙ্গী হিসেবে আসা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা এ সময় তাসনিম জারাকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আখত র হ স ন সদস যসচ ব এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী
দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।
এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।
মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।
সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন