ধর্মপাশায় জাল সনদ তৈরির অভিযোগে দুই তরুণের কারাদণ্ড, দোকান সিলগালা
Published: 23rd, September 2025 GMT
জন্মনিবন্ধন সনদে বয়স বাড়াতে এসএসসি পাসের জাল সনদ তৈরি এবং সহায়তার অভিযোগে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় দুই তরুণকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনি রায় এ দণ্ড দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহিষের বাতান গ্রামের মো.
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, স্বপন মিয়ার জন্মনিবন্ধন সনদে জন্মতারিখ ছিল ৩১ অক্টোবর ২০০৫। বয়স দুই বছর বাড়ানোর জন্য সংশোধিত নিবন্ধনে জন্মতারিখ দেখানো হয় ২০০৩ সালের ৩১ অক্টোবর। প্রমাণস্বরূপ তিনি শফিকুলের সহায়তায় এসএসসি পাসের জাল সনদ তৈরি করেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই সনদসহ ইউএনওর কার্যালয়ে আসেন স্বপন।
সনদে অসংগতি ধরা পড়লে ইউএনও স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তাঁকে নিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে জাল সনদ তৈরির দোকানে যান। সেখান থেকে একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়, যাতে এসএসসি পাসের জাল সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির প্রমাণ এবং এক চিকিৎসকের স্ক্যান করা স্বাক্ষর পাওয়া যায়। এ সময় স্বপন ও শফিকুল ঘটনাটি স্বীকার করেন। পরে ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯–এর ৫০ ধারা অনুযায়ী তাঁদের ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রাত সোয়া আটটার দিকে দোকানটি সিলগালা করা হয়।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হবে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনি রায় প্রথম আলোকে বলেন, জন্মনিবন্ধনে বয়স বাড়াতে জাল এসএসসি সনদ তৈরির ঘটনায় দুই তরুণকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একটি ল্যাপটপ জব্দ ও দোকানটি সিলগালা করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ল সনদ ত র উপজ ল স বপন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএনএ পরীক্ষা করানোর ঘোষণার পরদিন সেই ইউএনওকে ওএসডি
জালিয়াতি করে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায়’ প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামাল হোসেনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাঁকে ওএসডি করার প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গতকাল মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. আক্তার হোসেন এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এক দিন পর ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কামাল হোসেনের ওএসডির এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
দুদক সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের সম্মিলিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এর উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বর্তমানে তদন্তাধীন ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি পাওয়াসহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে কামাল হোসেন তাঁর জন্মদাতা পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়েছিলেন। এই কৌশলে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পান।
কামাল হোসেনের মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে তাঁর ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তাঁর মা–বাবা ও চাচা-চাচির ডিএনএ মিলিয়ে দেখার নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর কমিশন ডিএনএ পরীক্ষার অনুমোদন দেয় জানিয়ে দুদক সূত্র বলেছে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফলাফল পাওয়া গেলে অভিযোগের সত্যতা নির্ধারণে তা হবে বড় প্রমাণ।
আরও পড়ুনজালিয়াতি করে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায়’ চাকরি: ইউএনও কামালের ডিএনএ পরীক্ষা হবে২২ ঘণ্টা আগে