প্রকাণ্ড কিংবা ক্ষুদ্র অহংকারের বিরুদ্ধে
Published: 7th, October 2025 GMT
বনুড়িয়া
আমি এখন থেকে দুষ্টুমি করব না
বনুড়িয়া হাওয়া
ফুঁ দিয়ে শূন্যে উড়িয়ে নাও, আকাশ দেখব
মাঠ: বনুড়িয়া অসমাপ্ত জিজ্ঞাসার পরিধি
তাঁর আমন্ত্রণ পেয়ে
আমরা সমগ্র একটা দুপুর অপরাহ্ণ কাটালাম
কিছুক্ষণ কালো গাছ ঝিঁঝিঁর কথা শুনলাম
তাদের কথা ভাবতে ভাবতে সূর্যাস্ত হলো
বনুড়িয়া বিলে হাঁটছি...
মৃত্যুর বিভীষিকার বিরুদ্ধে
অন্ধকারের বিরুদ্ধে
প্রকাণ্ড কিংবা ক্ষুদ্র অহংকারের বিরুদ্ধে
স্তম্ভিত প্রকৃতি দাঁড়িয়ে আছে
বনুড়িয়া মাঠের আজ কোনো অস্তিত্ব নেই
কাকের ডাক ফুলের ঈষৎ অভিমান
গোল গোল কান্না
ঠিকরে উঠল চোখ.
ঘুমোতে পারিনি।
বেসুরা খনখনে গলায় ডাকলাম: ওঠো
প্রাণের ভয়ে শিশুরা ছোট ছোট দিগন্তের ওপারে
ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়োচ্ছে।
উচ্ছ্বসিত,
একটি সবুজ বালক সার্কাসে দড়িতে
পার হতে চাইছে ইহকাল–ক্রোধ–ক্ষুধা–বিষণ্নতা
ভয়ে চক্ষু আবেগে অস্থির বিশ্বাস হারিয়ে
ঘুমের ওষুধ খুঁজে বেড়াচ্ছি।
ঘুমোতে পারিনি
ভয়াবহ একটা দক্ষযজ্ঞ খাঁচা দোলে অন্ধকারে।বিশুদ্ধ ভাইব্রেশন
পাহাড়ের ধারে হ্রদের সবুজ জলে
ঘ্রাঁও ঘ্রাঁও করে হাঙর মাছ গজরাচ্ছে
অরণ্যে গাছেরা হাত তুলে ধেই ধেই নাচছে
বলছে সর্বশান্তি সাম্যমৈত্রী সমন্বয়
এত শোভার আঁধার
আমি হাসতে ভুলে গেছি, চোখের নিচে অশ্রুমোছা হাসি
জ্যোৎস্নায় মিশে যায় ঝিঁঝিঁর শব্দে
দূরে নির্বাক ভূমিকায় উদ্ভ্রান্ত অবিরল ক্রোধ
অত অনুরাগ! অত শূন্যতা!
আমি কী করে সই!
স্থবিরতা ও অস্পষ্ট যাপন
ক্ষুধার্তে অপূর্ব গান ছুঁয়ে যায় যে অন্ধকার-ভাষা
বনুড়িয়া বিলে সূর্য নিল বিদায়
ফেউ ধরা ধুলোর আভাস
অন্ধকারে গোল গোল কান্নার কুয়াশা পড়ছে
ফেউ ভয় শিরায় ও লোমকূপে
আধো অন্ধকার, কে যাবে, কীভাবে যাবে
লবণাক্ত জল হাঙর মাছের সন্ত্রাসে
পেটের গভীরে
এই মর্মে রহস্যের গল্প শুনছি ছুটন্ত লরির বাঁশিতে
অমিমাংসিত কী এক ক্যাকোফোনি বোধচিহ্ন
হয়তো নয় সংজ্ঞায় ফিরে দেখি
শুদ্ধ ও নিরাশা স্মৃতিই ভাঙতে পারে
সুদিনের প্রতীক্ষায়...
নিস্তব্ধ রাত, নিঝুম সন্ধ্যে, নীল অন্ধকার
গাজার শিশুরা জয়তুন শিশিরে
বাঁচার জন্য অশ্রুজল বুকে
খাবার মেলেনি মুখের, খাদ্য মানে সবুজ ঘাস কটি
সীমান্তে দাঁড়িয়ে—
মানবতা ছুঁয়ে যায় রেফাত আলিরের চোখ
মানবতা রয়ে যায় একটি ফুলে!
এ পৃথিবীর বুকে দুর্বল মানে প্রবল অশ্রুপাত
সারা রাত যুদ্ধর পর, সে যায় নির্জন সমুদ্রতীরে
সেখানেও তার জন্য অপেক্ষা
জ্বলন্ত বুলেট, আর শোকার্ত ঢেউ দু–চারটে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন ড় য়
এছাড়াও পড়ুন:
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান বাউফল উপজেলা বিএনপির একাংশের, বিক্ষোভ মিছিল
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা বিএনপি জরুরি সভা করে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সভা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনকে দলীয় প্রার্থী করারও দাবি জানানো হয়।
আজ রোববার সন্ধ্যায় বাউফল পৌর শহরের হাসাপাতাল সড়কের উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল জব্বার মৃধা। এ সময় উপজেলা, পৌরসভা, ১৫টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আপেল মাহমুদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব বশির পঞ্চায়েত, বাউফল পৌরসভা যুবদলের সদস্যসচিব মামুন খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক খলিলুর রহমান, সাবেক সদস্যসচিব নাইম সিকদার তারেক, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক লিটন খান, তাঁতী দলের আহ্বায়ক জামাল মুন্সী, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুনঈমূল ইসলাম, সাবেক সদস্যসচিব মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শহিদুল আলম তালুকদার বিগত ১৭ বছর কোনো আন্দোলন–সংগ্রামে ছিলেন না। তিনি দুর্দিনে কোনো নেতা–কর্মীর খোঁজখবর নেননি। তাঁর মতো একজনকে তাঁরা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না।
পরে নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন। এই ৩৬ আসনের মধ্যে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদারের নাম ঘোষণা করা হয়।
শহিদুল আলম জাতীয় পার্টি থেকে ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপির মনোনয়নে ২০০১ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও মামলাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে অংশ নিতে পারেননি।