অল্প খরচে নিজেকে আভিজাত্যপূর্ণ করে তোলার ৬টি কৌশল
Published: 7th, October 2025 GMT
ছবি: প্রথম আলো
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার দুই প্রার্থীর
ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে আসন্ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দুই প্রার্থী। তাঁরা হলেন ‘সর্বজনীন ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী সাঈদ মো. রেদোয়ান ও দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী সাখাওয়াত হোসাইন সালমান।
আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ মো. রেদোয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধন রয়েছে। আমি সংগঠনের আদর্শ ও সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাই আমার সংগঠন কর্তৃক মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়ের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি।’
দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী সাখাওয়াত হোসাইন সালমান বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রত্যেক শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের অংশ হতে পারা ছিল গর্বের বিষয়। তবে সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি এবং মনোনীত প্রার্থী তৌহিদুল ইসলামের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।’
দুজনই তাঁদের বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহপাঠীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাঈদ মো. রেদোয়ান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘এটি কোনো রাজনৈতিক চাপের কারণে নয়। দলের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণেই আমরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর চাকসু নির্বাচনের ১৩তম প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছিল। ‘সর্বজনীন ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ নামের ওই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সাঈদ মো. রেদোয়ান ও দপ্তর সম্পাদক পদে সাখাওয়াত হোসাইন সালমান নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
প্রায় তিন দশক পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তম চাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে হল সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার।
১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ভোট গণনা শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী চাকসু ও হল সংসদে চূড়ান্ত প্রার্থী আছেন ৯০৭ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন ও হল সংসদে ৪৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে ভোটার ২৭ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন ও ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন।