এবি ব্যাংক পূর্ণাঙ্গ আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধাসহ জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইডিসিএইচ) একটি কালেকশন বুথ উদ্বোধন করেছে। এই বুথে হাসপাতালের সব ফি জমা দেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা এখান থেকে পে-রোল সুবিধা পাবেন। বুথটির উদ্বোধন করেন এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও সৈয়দ মিজানুর রহমান এবং এনআইডিসিএইচের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো.

দেলোয়ার হোসেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনআইডিসিএইচের সহকারী অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার ও চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ আল মেহেদী এবং এবি ব্যাংকের ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান তানিয়া সাত্তার, মহাখালী শাখার ব্যবস্থাপক চৌধুরী এ এন এম মোশারফ আলী বেগ প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘অভিনন্দন জসিম মাতুব্বর, এটি আপনার এনআইডি নম্বর’

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) জন্য তিন বছর ধরে চেষ্টা করে আসছিলেন ফরিদপুরের জসিম মাতুব্বর (২৬)। কিন্তু জন্ম থেকে দুই হাত না থাকায় আঙুলের ছাপ দিতে পারছিলেন না তিনি। তাই তাঁকে দেওয়া যাচ্ছিল না এনআইডি। নানা চেষ্টা করেও এনআইডি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন জসিম।

অবশেষে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কদমতলী গ্রামের এই তরুণের দীর্ঘ অপেক্ষা ও ভোগান্তির অবসান হলো। তিনি পেলেন নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র। আজ রোববার বেলা ৩টা ২০ মিনিটে তাঁর মুঠোফোনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে বার্তা এসেছে। এতে লেখা ‘অভিনন্দন জসিম মাতুব্বর, এটি আপনার এনআইডি নম্বর।’

দুই হাত না থাকায় পা দিয়ে লিখে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন জসিম। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। চার ভাইয়ের মধ্যে জসিম বড়। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি হাটে সবজি ও ফল বিক্রি করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালান।

জসিমের জীবনে বড় বাধা ছিল এনআইডি না থাকা। এনআইডি না থাকায় সরকারি ও বেসরকারি নানা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন তিনি।

বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন এগিয়ে আসেন। ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএনওর উদ্যোগে জসিমকে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর পায়ের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ সংগ্রহ করা হয়। ইউএনওর সুপারিশসহ তথ্য পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচন কমিশন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এনআইডি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

ইউএনও দবির উদ্দিন বলেন, ‘জসিমের জীবনের গল্প জানার পর খুব অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। হাত না থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজের যোগ্যতায় এসএসসি, এইচএসসি পাস করেছেন। তাঁর মতো একজন মেধাবী তরুণ শুধু এনআইডি না থাকার কারণে যেন পিছিয়ে না পড়েন, সেটিই নিশ্চিত করতে চেয়েছি। নির্বাচন কমিশনের দ্রুত পদক্ষেপে আজ তিনি এনআইডি পেয়েছেন। এটি আমাদের সবার জন্য আনন্দের।’ তিনি আরও জানান, আগামীকাল সোমবার সকালে প্রিন্ট করা এনআইডিটি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে।

এনআইডি পাওয়ার পর আবেগাপ্লুত জসিম মাতুব্বর বলেন, ‘জন্ম থেকে দুই হাত না থাকার কারণে অনেক কষ্ট করেছি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও পরিচয়পত্র পাইনি। পড়াশোনা, ফরম পূরণ, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া—সব জায়গায় বাধা আসত। আজ নিজের এনআইডি পাওয়ায় মনে হচ্ছে, জীবনের বড় একটা অর্জন হলো।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবার ইসির অধীনে এনআইডি 
  • ‘অভিনন্দন জসিম মাতুব্বর, এটি আপনার এনআইডি নম্বর’