গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ওষুধ কারখানার শ্রমিকদের কর্মবিরতি
Published: 13th, October 2025 GMT
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সুরিচালা এলাকায় একটি ওষুধ তৈরি কারখানার শ্রমিকেরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। আজ সোমবার সকালে শ্রমিকে কাজ বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
উপজেলার সুরিচালা এলাকায় জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড (ইউনিট-২) নামের একটি ওষুধ কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে নেমেছেন।
কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের তিন মাস ধরে বেতন দেওয়া হচ্ছে না। মালিকপক্ষের কাছে বেতন চাইতে গেলে নানা টালবাহানা শুরু করে। বাধ্য হয়ে বেতনের দাবিতে আজ সকাল থেকে কর্মবিরতি এবং কারখানার ভেতরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা–পুলিশ, শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ কর্মকর্তারা শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সামাধান করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারখানার এক শ্রমিক বলেন, কর্তৃপক্ষ মাঝেমধ্যে কিছু টাকা দেয়। সেই টাকা দিয়ে কোনো রকমে চলছি। বেতন চাইলেই দিই, দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ করে। এভাবে তিন মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে। ঘরভাড়া দিতে পারছেন না।
জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালের কর্মকর্তা রাজু আহাম্মেদ বলেন, কারখানায় বর্তমানে স্টাফসহ তিন শতাধিক শ্রমিক আছেন। এর মধ্যে স্টাফদের বেতন বাকি প্রায় আট মাস; আর শ্রমিকদের পাওনা রয়েছে তিন মাসের।
এ ব্যাপারে জানতে কারখানার মহাব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম ও উৎপাদন কর্মকর্তা কৌশিক আরেফিনের সঙ্গে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মবিরতি পালন করছেন। কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী নির্বাচনে জনগণ আরেকবার রায় দেবে, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছেন; কিন্তু এখন বাংলাদেশকে একটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার বিভিন্ন রকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাঁরা আশা করছেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ আরেকবার রায় দেবে যে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে অসাম্প্রদায়িক। আর তারা বাংলাদেশি জাতীয়তা বিশ্বাস করে।
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান ফোরামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকের রাজনীতিতে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে তাঁরা যে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলেন একটি আলাদা পরিচয়ের জন্য, সে পরিচয় ভুলিয়ে দিয়ে নতুন করে কতকগুলো চিন্তাভাবনা সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সবাই বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ একটা অসাম্প্রদায়িক দেশ। জাতি হিসেবে এটাকে আমরা গড়ে তুলতে চাই।’
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত পিআর–পদ্ধতি এখন বাস্তবায়ন করা উচিত নয়। এটি জনগণের কাছে নতুন ও অপরিচিত একটি ব্যবস্থা। তাই বিষয়টি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সব সময়ই একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করি। সরকার ও নির্বাচন কমিশন সে চেষ্টা করছে; কিন্তু কিছু বিষয় আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে। পিআর পদ্ধতির মূল সমস্যা হলো, এতে ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থী নির্বাচনের স্বাধীনতা খর্ব হয়। ভোটারকে ব্যক্তির বদলে দলকে বেছে নিতে হয়। এতে জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্বের ধারণা দুর্বল হয়ে পড়ে।’
এখন দেশে হঠাৎ করে নতুন পদ্ধতি চালু করলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দ্রুত নির্বাচন চাওয়া মানুষের জন্য এটি উদ্বেগের বিষয়।