‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০২৫’ উপলক্ষে সেমিনার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)। রবিবার (১২ অক্টোবর) বিআইসিএমের মাল্টিপারপাস হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিআইসিএম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

লাভেলোর প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে ১২ শতাংশ

নতুন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবে আইটি কনসালটেন্টস

সেমিনারে ‘আর্থিক বিবৃতি বিশ্লেষণ এবং মেশিন লার্নিং-ভিত্তিক স্টক মূল্য পূর্বাভাসের প্রাসঙ্গিকতা’- শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বিআইসিএমের প্রভাষক ইমরান মাহমুদ।

আইওএসসিওর এ বছরের বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য ‘প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অর্থায়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং জালিয়াতি ও কেলেঙ্কারি প্রতিরোধ’। উক্ত প্রতিপাদ্যের মধ্যে অন্যতম ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ এর উপর ভিত্তি করে এ সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।

ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর কমিশনার সাইফুদ্দিন। সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ জিয়াউল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুসেইন আহমেদ এনামুল হুদা।

প্রধান অতিথি সাইফুদ্দিন বলেন, ‘‘বিনিয়োগ শিক্ষা বা বিনিয়োগ সচেতনতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো সাধারণ বিনিয়োগকারী। আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে যেতে হবে। তাদের সচেতন ও শিক্ষিত করে তুলতে পারলে আমার তার ইতিবাচক ফল পাব।’’ 

এছাড়া আলোচকগণ সেমিনারে উপস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খু আলোচনা করেন। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খান। সেমিনারে ইন্সটিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নাজমুছ সালেহীনসহ সকল অনুষদ সদস্য ও কর্মকর্তাবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারটি হাইব্রিড মুডে অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা/এনটি/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ট উট

এছাড়াও পড়ুন:

সম্পদ ও সন্তান লাভের জন্য প্রার্থনা

জীবনের এমন অনেক মুহূর্ত আসে যখন মনে হয়, সবকিছু যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। আয়ের উৎস শুকিয়ে যাওয়া, পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকা বা জীবনে বরকতের অভাব—এসব চাপে মানুষের মন ভারী হয়ে ওঠে। ইসলামে এমন সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এমন একটি দোয়া মহানবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সেবক আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর জন্য করেছিলেন। এই দোয়া শুধু ধন-সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধি চায় না, বরং সবকিছুতে আল্লাহর বরকত কামনা করে।

দোয়ার উৎস ও প্রেক্ষাপট

হাদিসে বর্ণিত, আনাস (রা.)-এর মা উম্মে সুলাইম নবীজিকে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার এই সেবক আনাসের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ তখন নবীজি (সা.) দোয়া করেন: ‘আল্লাহুম্মা আকসির মালাহু ওয়া ওয়ালাদাহু, ওয়া বারিক লাহু ফীমা আ'তাইতাহু।’

এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং পৌত্রাদি মিলিয়ে তিনি ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।আরও পড়ুনতাকওয়া মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্পদ৩০ জুন ২০২৫

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তার ধন-সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দাও এবং তুমি যা দান করেছ, তাতে তার জন্য বরকত দান করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৩৪৪)

আনাস (রা.) তখন মাত্র দশ বছরের একটি ছেলে, যিনি নবী (সা.)-এর সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং তাঁর তিনি পৌত্রাদি মিলিয়ে ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন (সহিহ মুসলিম থেকে বর্ণিত)। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।

দোয়ার উদ্দেশ্য শুধু ধন নয়, বরকত

এই দোয়ার সৌন্দর্য এতে যে এটি ধন-সম্পদের পাশাপাশি বরকতের জন্য প্রার্থনা করে। ইসলামে ধনকে শুধু সঞ্চয় নয়, বরং আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে দেখা হয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯)

আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে ধর্মের দাবি১৯ মে ২০২৫ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯

আধুনিক জীবনে এর প্রাসঙ্গিকতা আরও বেশি। অর্থনৈতিক সংকট, চাকরির অনিশ্চয়তা বা পরিবারের চাপে অনেকে কষ্ট পান। কিন্তু এই দোয়া স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের সমৃদ্ধি আল্লাহর রহমতে। সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই—সন্তান লাভের সঙ্গে তাদের সুস্থতা, শান্তি ও ইমানের বরকত চাওয়া জরুরি।

আজকের দিনে, যখন পরিবারের আকার ছোট হচ্ছে এবং অর্থের চাপ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধর্মীয় অনুশীলন (যেমন দোয়া) মানসিক চাপ কমায় এবং জীবনে ইতিবাচকতা বাড়ায়। ইসলামি ঐতিহ্যে এই দোয়া শুধু ব্যক্তিগত নয়, পরিবারের জন্যও ব্যবহার করা যায়।

দোয়ার সঙ্গে সদকা দেওয়া, কোরআন তিলাওয়াত এবং হালাল উপার্জনের চেষ্টা করুন—এগুলো বরকতের দরজা খোলে।

আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে মহানবী (সা.)-এর ১০টি নির্দেশনা২০ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ