2025-10-13@05:24:17 GMT
إجمالي نتائج البحث: 236
«ই উপন য স»:
বাংলা বা বাংলাদেশের উপন্যাসের শক্তি, আধুনিকতা, গঠনকাঠামো বিবেচনায় নিয়ে একে দুর্বল সাহিত্য হিসেবে চিহ্নিত করার নেপথ্যে যেসব বয়ান তৈরি করা হয়, তা সবটা ঠিক না হলেও এই বক্তব্য পুরোপুরি খণ্ডন করা যায় না। মুসলিম কথাকারদের বেলায় এটি আরও বেশি যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন অনেকে। বঙ্কিম-রবীন্দ্র পেরিয়ে কল্লোল যুগের পরেও বিভাগপূর্ব বা পরের বাঙালি মুসলিম ঔপন্যাসিকেরা উপন্যাসের শক্ত জমিন খুঁজে পাননি। এ বিষয়ে সৈয়দ শামসুল হক এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ ছাড়া কারও নাম তিনি বলতে পারেন না।বলা যেতে পারে বিভাগপূর্ব ও অব্যবহিত পরে বাংলাদেশের প্রধান শক্তিমান ও আধুনিক কথাকার সৈয়দ ওয়ালউল্লাহ্। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ বাংলায় মাত্র তিনটি উপন্যাস লিখেছিলেন— ‘লালসালু’ (১৯৪৮), ‘চাঁদের অমাবস্যা’ (১৯৬৪) ও ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ (১৯৬৮)। (পরে আরও দুটি লিখেছেন ইংরেজিতে—‘হাউ টু কুক বিনস’ ও ‘দ্য আগলি...
বাংলাদেশে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কতটা প্রাসঙ্গিক আছেন আজও? মানে একাডেমিয়ার চোখে নয়, পাঠকের চোখে, তার সমসাময়িক যেকোনো লেখকের তুলনায়। ‘লালসালু’, ‘কাঁদো নদী কাঁদো’, ‘চাঁদের আমাবস্যা’ বা ‘বহিপীর’—এসব বই যদি এখনো সাহিত্য পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখে, তা কেন রেখেছে?ওয়ালীউল্লাহর রচনা নিয়ে অনেক রকমের আলাপ চালু আছে বাজারে। গবেষকেরা করেন সেই আলাপ। পাঠচক্রগুলোয় হয় কথাবার্তা। কয়েক প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা তাঁর লেখা পড়ে চলেছেন পরীক্ষা পাসের জন্য। এসব সত্ত্বেও ওয়ালীউল্লাহ পাঠ্যপুস্তকের বর্ণহীন জগতে লুপ্ত হননি বোধ করি। এদিক থেকে একাডেমিয়ায় জায়গা পাওয়া আর যেকোনো লেখকের তুলনায় তিনি ভাগ্যবান। এই প্রাসঙ্গিকতার অনেক কারণ আছে। যেমন প্রথম কারণটি একই সঙ্গে ক্লিশে ও তার অ্যান্টিডোট দুইই।এ সময়ের গড় পাঠক ও তরুণদের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে একবিংশ শতাব্দীতে লেখকের সমাজসচেতনা, সমাজের প্রতি দায়, ভাষা ও টেকনিকের নিরীক্ষা এসবের...
হাঙ্গেরির ঔপন্যাসিক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই এবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন। তাঁর ফিকশনের বিষয়ে বলা হয়, মানুষের জীবনে কঠোরভাবে রক্ষিত থাকে সেসব গোপনীয়তা সেসব তিনি তুলে ধরেন তাঁর লেখায়। আবার এ–ও বলা হয়, লাসলো ক্রাসনাহোরকাই বিষয় হিসেবে বেছে নেন সেই কালো নদীর মতো বহমান অন্ধকারকে যা ঘটবেই কিন্তু প্রহসনের মতো মানুষের সেটা দেখা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু এই অন্ধকারের ভেতর আলোর ফুল ফোটানোও যেন তাঁরই কাজ।একটা উদাহরণ দিলে হয়তো বিষয়টা পরিষ্কার হবে। যেমন লাসলোর ফিকশনের এক চরিত্রের বিখ্যাত উক্তি: ‘বেঁচে থাকা সুন্দর নয়। মরে যাওয়াও সুন্দর নয়। এমনকি জীবনও সুন্দর নয়। শুধু মানুষই সুন্দর’। ডাস্টিন ইলিংওয়ার্থ প্যারিস রিভিউতে তাঁর ব্যাপারে লিখেছেন, লাসলো ক্রাসনাহোরকাইর অবসেশন গোপন জিনিসের প্রতি, যেগুলো মানুষের জীবনের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিক।লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের চারটি উপন্যাস ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। এই চারটিকেই তাঁর প্রধান...
সাহিত্যে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেলেন হাঙ্গেরির লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান এ পুরস্কারের জন্য তাঁকে মনোনীত করার কারণ হিসেবে নোবেল কমিটি বলেছে, তাঁর সৃষ্টিকর্ম আকর্ষণীয় ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা মহাপ্রলয়ের ভয়ের মধ্যেও শিল্পের শক্তিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৭১ বছর বয়সী ক্রাসনাহোরকাইকে ২০২৫ সালের সাহিত্যে নোবেলজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নোবেল কমিটি বিবৃতিতে বলেছে, লাসলো ক্রাসনাহোরকাই মধ্য ইউরোপীয় পরম্পরার একজন মহান মহাকাব্যিক লেখক, যাঁর ধারায় বিস্তার রয়েছে কাফকা থেকে থমাস বার্নহার্ড পর্যন্ত এবং যিনি অসংগতি ও অতিমাত্রায় অতিরঞ্জনের জন্য পরিচিত। তবে তাঁর কাজের পরিধি আরও বিস্তৃত। তিনি প্রাচ্যকেও খুঁজে বেড়ান এবং আরও মননশীল, সূক্ষ্মভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ সুর গ্রহণ করেন।ক্রাসনাহোরকাই হাঙ্গেরির নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত দ্বিতীয় সাহিত্যিক। এর আগে ২০০২ সালে দেশটির ইমরে কারতেস মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার পান।ক্রাসনাহোরকাই পাঁচটি উপন্যাস লিখেছেন। এ ছাড়া...
প্রযুক্তিগত উন্নতির প্রভাবে দ্রুত বদলে যাচ্ছে আমাদের পাঠের অভ্যাস। রিলস ও শর্ট ভিডিওর যুগে মানুষের মনোযোগের সময়সীমা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। সম্প্রতি এর প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সাহিত্যপাঠে। বড় উপন্যাস, মহাকাব্য ও ক্ল্যাসিক সাহিত্যের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ ক্রমেই কমছে।যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সাহিত্য বিভাগগুলোতে নতুন করে ‘লং রিডিং স্কিলস’ বা ‘দীর্ঘ পাঠের দক্ষতা’ নামে আলাদা কর্মশালা চালু হয়েছে। এসব কর্মশালায় শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে কীভাবে বড় উপন্যাস বা ক্ল্যাসিক সাহিত্যপাঠে ধৈর্য ধরে থাকা যায়, কীভাবে চরিত্র, সময় ও ভাষার স্তরগুলো বোঝা যায়। অক্সফোর্ড, সাসেক্স ও ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা বলছেন, অনলাইন যুগে তরুণদের পড়ার ধরন বদলে গেছে। শিক্ষার্থীরা তাঁদের জানিয়েছেন, তাঁরা প্রতিদিন অসংখ্য ছোট লেখা, টুইট, মিম বা পোস্ট পড়েন। কিন্তু দীর্ঘ কোনো লেখা পড়তে গিয়ে...
আমি এখন যে গ্রামে এসেছি, সেই গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা নাম গ্রামটির। এটি আসলে তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তিনি জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’ এবং অসংখ্য গল্প।তলস্তয়কে আইন পড়তে কাজান শহরে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পড়তে তাঁর ভালো লাগেনি। জমিদারি ছিল, তাই রোজগারের চিন্তাও করতে হয়নি। মাঝখানে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য আট বছর মস্কোতে একটি বাড়ি কিনে বসবাস করেছিলেন।লিও তলস্তয় শেষ জীবনে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকেছিলেন এবং খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। একসময় গৃহত্যাগ করেছিলেন। ১৯১০ সালে ৮২ বছর বয়সে আস্তাপোভো রেলস্টেশনে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে একাকী, আত্মীয়, বন্ধু থেকে দূরে, নীরবে তিনি দেহত্যাগ করেন। এরপর তাঁকে ইয়াস্নায়া পলিয়ানায় এনে সমাহিত করা হয়।ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে আমি যখন পৌঁছালাম,...
প্রতিবছর সাহিত্যের জগতে যে পুরস্কারের দিকে সবার নজর থাকে, তা হলো—‘নোবেল প্রাইজ ইন লিটারেচার’। ১৯০১ সালে শুরু হওয়া এ সম্মাননা দেওয়া হয় সেসব লেখক, কবি বা নাট্যকারকে, যাঁরা ‘মানবতার কল্যাণে অসাধারণ সাহিত্যিক অবদান রেখেছেন’। এ ক্ষেত্রে শুধু জীবিত লেখকেরাই বিবেচনায় আসেন; মৃত ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হয় না। সাধারণত যাঁরা ভাষার সীমা অতিক্রম করে মানব অভিজ্ঞতাকে নতুন আলোয় হাজির করেন, ইতিহাস ও সমাজের কঠিন প্রশ্নগুলোকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতে শেখান, তাঁরাই আসেন আলোচনায়।২০১৫: সলতিয়েনা আলেক্সিয়েভিচবেলারুশি লেখক ও সাংবাদিক সলতিয়েনা আলেক্সিয়েভিচ মৌখিক ইতিহাসকে সাহিত্যে রূপ দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে নোবেল পান। যুদ্ধ, চেরনোবিল বিপর্যয় কিংবা সোভিয়েত জীবনের পতন—তিনি সংগ্রহ করেছেন সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর, সাক্ষাৎকার আর স্মৃতি। ভয়েসেস ফ্রম চেরনোবিল, দ্য আনওম্যানলি ফেস অব ওয়ার কিংবা সেকেন্ডহ্যান্ড টাইম দেখিয়েছে, ইতিহাস কেবল রাজনীতিকদের দলিল...
দুই দশকের বেশি সময় আগে, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের আগে, আমিসহ যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত একদল আন্তর্জাতিক আইনবিদ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে একটি চিঠি লিখেছিলাম। সেখানে ব্যাখ্যা করেছিলাম যে যুদ্ধটি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বৈধ হবে না।গাজার ওপর একটি আন্তর্জাতিক ট্রাস্টি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়ে আবারও আরেকটি বৈশ্বিক অভিযানের জন্য বেআইনি বিষয়ে সতর্কবার্তা প্রয়োজন। এতে একই ব্যক্তিকে আবারও দেখা যাচ্ছে; এবার প্রস্তাবিত পরিকল্পনার সম্ভাব্য নেতা হিসেবে—যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে।গাজার ওপর এই ট্রাস্টি শাসনব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করবে ইসরায়েলের অর্ধশতাব্দীর বেশি সময়ের দখলদারত্বকে, যা তার আচরণে আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বর্ণবাদী বৈষম্য, নির্যাতন, যুদ্ধাপরাধ আইনের গুরুতর লঙ্ঘন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা।আন্তর্জাতিক আইনের এই নিয়মগুলোর কেন্দ্রে রয়েছে ‘ট্রাস্টি–শিপ’। ‘ট্রাস্টি’ কর্তৃক আধিপত্য হবে নিঃস্বার্থভাবে, এর ‘বেনিফিশিয়ারি’ হবে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ। এখানে...
সচরাচর যা দেখা যায়—লেখক তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবন পেরিয়ে নানা উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতায় পরিণত হচ্ছেন, গ্রহণ করে নিতে পারছেন নানা কিছু, বদলে যাচ্ছে তাঁর লেখা, কিন্তু পাঠক সেই যে তাঁর প্রথম দিককার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন, তা থেকে আর বের হতে পারছেন না। অর্থাৎ লেখকের মনের বয়স বাড়ছে, পাঠকের বাড়ছে না। ফলে লেখকের নতুন ধরনের লেখা যা তিনি নতুন যুগের বা চিরকালের দাবি মাথায় রেখে—পাঠক হারানোর ঝুঁকি সত্ত্বেও—লিখে চলেন, সেগুলো প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও কৌতূহলের মুখোমুখি হবে তা স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে সাহিত্য-ইতিহাস যা বলে—পাঠকের চেয়ে অগ্রসর লেখকেরা শেষ পর্যন্ত সফল হন। যেসব লেখার কারণে সমকালের পাঠকেরা একসময় বিব্রত হয়েছিলেন, সেগুলোর জন্যই পরবর্তীকালে লেখক যে কালজয়ী হয়েছেন, সেসব দৃষ্টান্তও ইতিহাসে কম নয়। তাই পাঠকের সমকালীন ক্রিয়ায় লেখককে ক্ষুব্ধ হলে চলে না,...
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ৯৪ বছর বয়সে ২০২৪ সালের এই দিনে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অনুরোধে বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে বদরুদ্দোজা চৌধুরী তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া—দুই সরকারের সময়ই মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপালন করেছিলেন। বিটিভিতে তাঁর ‘আপনার ডাক্তার’ অনুষ্ঠান খুবই জনপ্রিয় ছিল। মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে বদরুদ্দোজা চৌধুরী পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দুবার জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং একবার বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তিনি খালেদা জিয়ার সরকারে...
ব্রিটিশ লেখক লি চাইল্ড। যার প্রকৃত নাম জেমস ডোভার গ্রান্ট। তার উপন্যাস ‘জ্যাক রিচার’ বিশ্বের মানুষের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে ওয়েব সিরিজও তৈরি হয়েছে। তিনি মনে করেন লেখক হওয়ার একমাত্র যোগ্যতা হলো, ভালো পাঠক হওয়া। যারা লেখক হতে চান, তাদের লি চাইল্ড ৬টি পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিদিনের শব্দসংখ্যার একটা লক্ষ্য ঠিক করুন লি চাইল্ড প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ শব্দ লেখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার জন্য এটাই আরামপ্রদ। অনেকের তুলনায় এটা খুব কম। আমি কখনও কখনও খুব চেষ্টা করে দুই হাজার শব্দ লিখতে পারি।যদি সময় সীমার কাছাকাছি গিয়ে মনে হয়, অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছি তাহলে একটু তাড়াহুড়ার মধ্যে থাকি।’’ আরো পড়ুন: অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর অমর একুশে বইমেলা...
ফ্রানৎস ফানোঁ একদা লিখেছিলেন, উপনিবেশ হলো এমন একটা জায়গা, যেখানে মানুষগুলো যেকোনো জায়গায় যেকোনোভাবে জন্ম নেয়। তারা যেকোনো জায়গাতেই যেকোনোভাবে মারাও যায়। উপনিবেশ এমন একটা জায়গা, যেখানে কোনো স্থান নেই। মানুষ একে অপরের ওপর স্তূপের মতো থাকে, বাস করে। ঘরগুলো একে অপরের সঙ্গে একদম এঁটে থাকে। ফ্রানৎস ফানোঁ যেভাবে উপনিবেশের এই চিত্র এঁকেছেন, বাস্তবে ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিনের মানুষের জীবন এর থেকেও করুণ, বিভীষিকাময়। এখানে প্রতিদিন মানুষ লড়াই করে বেঁচে থাকে। ফিলিস্তিনের শিশুদের জীবন আরও করুণ, বিবর্ণ আর পদে পদে বিপৎসংকুল। ১৯৬৭ সাল থেকেই যখন দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনে তাদের দখলদারি জারি রাখতে মানুষ হত্যা আর নিপীড়ন–নির্যাতনের মাত্রা বাড়াতে থাকে, তখন থেকেই শিশুদের জীবনে নেমে আসে দুর্দশা। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী শুধু ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে...
কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানীরা একটি অদ্ভুত রহস্যের সমাধান খুঁজেছেন। উটপাখি, এমু, ক্যাসুয়ারি, কিউই ও রিয়ার মতো উড়তে অক্ষম পাখিরা ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশে অবস্থান করছে। এই পাখিরা প্যালিওগন্যাথ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এদের বেশির ভাগই উড়তে পারে না। আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে এসব পাখির বিস্তার নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। বেশ বিভ্রান্তি তৈরি করছে এসব পাখি। এদের মধ্যে কেবল টিনামু পাখিকে ব্যতিক্রম বলা হয়। এটি মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার একটি লাজুক পাখি। সাধারণত শিকারিদের কাছ থেকে পালানোর জন্য অল্প সময়ের জন্য উড়তে পারে। এসব পাখি সারা বিশ্বে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ল, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা বেশ বিভ্রান্ত বলা যায়।গবেষকেরা একসময় মনে করতেন, প্রায় ১৬ কোটি বছর আগে গন্ডোয়ানা মহাদেশ ভেঙে যাওয়ার সময় পাখিদের পূর্বপুরুষেরা বিভক্ত হয়ে পড়ে। সেই ভাঙনের ফলে আজকের দক্ষিণ গোলার্ধের বিভিন্ন...
ব্রিটিশ সিক্রেট এজেন্ট জেমস বন্ডের স্রষ্টা ইয়ান ফ্লেমিংয়ের (১৯০৮-৬৪) বহুদিন থেকেই একটা ডিটেকটিভ উপন্যাস লেখার শখ। সময়, সুযোগ বা উদ্যমের অভাবে যা এত দিন হয়ে ওঠেনি, তাই তিনি করতে পারলেন ১৯৫২ সালে। কিছুটা বাধ্য হয়েই বলা যায়। প্রেমিকা এয়ান কার্টেরিস তখন গর্ভবতী। এরই মধ্যে চলছে তাঁদের বিয়ের আয়োজন। এত শোরগোল ভালো লাগছিল না আর। তিক্তবিরক্ত হয়ে সমস্ত কিছু থেকে দূরে গিয়ে লিখতে বসে গেলেন তাঁর কাঙ্ক্ষিত সেই ডিটেকটিভ উপন্যাস। প্রথম দিনেই লিখে ফেললেন দুই হাজার শব্দ। সম্পূর্ণ পাণ্ডুলিপি তৈরি হয়ে গেল এক মাসে। নাম দিলেন ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’।জেমস বন্ডের স্রষ্টা ইয়ান ফ্লেমিং (১৯০৮-৬৪)
সাজ্জাদ হায়দার কথাসাহিত্যিক হিসেবে সুপরিচিত নন। তাঁর লেখা অলৌকিকপুরের দুই রূপসী একটি সাহিত্য পত্রিকায় ছাপা হলেও আলোচনার অভাবে বহুল পঠিত হয়নি। বই আকারে বের হওয়ার পরও এটি নানা কারণে অনাদৃত ছিল। এখনো মনে হয় তেমনই আছে। অভিনব উপন্যাস লিখেছেন সাজ্জাদ। অ্যালিগরিক্যাল, রূপকধর্মী কাহিনিতে মিশেছে পরাবাস্তববাদ আর ম্যাজিক রিয়েলিজম।সাজ্জাদ হায়দারের এই বই পড়তে গিয়ে রোমকূপ দাঁড়িয়ে যায়। কয়েকটি প্রধান চরিত্র, কিন্তু বিষয়ে রয়েছে মিথের গাম্ভীর্য আর ভয়ানকের পদধ্বনি। ক্রমে শুকিয়ে যাওয়া নদী আর স্থির অনড় বটগাছ, দুই বৃদ্ধা ভিক্ষুক এবং নদীর তীরবর্তী গ্রাম—এসব নিয়েই কাহিনির শুরু। নদীতীরে দাঁড়িয়ে থাকা বটগাছে থাকে এক অদৃশ্য সিদ্ধপুরুষ। একদিন সেই পুরুষ স্বরূপে দেখা দেবে, গ্রামবাসীকে বর দেবে আর সেই বরে গ্রামের তিন শ পরিবারের ভাগ্য ফিরবে। এই বিশ্বাসে শত অভাবেও গ্রামবাসী গ্রাম ছেড়ে যায় না।...
চিমামান্দা এনগোজি আদিচি একজন নাইজেরীয় কবি ও আখ্যান লেখক। আদিচির কবিতা, গল্প ও উপন্যাসগুলোতে সব সময় একটা নারীবাদী দৃষ্টিকোণ প্রয়োগ করতে দেখা যায়। বিশেষ করে আফ্রিকার সমাজে নারী-পুরুষের বৈষম্য, পুরুষতান্ত্রিক ধ্যানধারণা, নারীর ওপর বলপ্রয়োগ ও নিপীড়ন এবং নারী-স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যুক্তি ও শক্তি প্রয়োগের বিষয়গুলো। ছোটবেলা থেকে আদিচি দেখেও এসেছেন ‘নারীবাদী’ শব্দটি এবং ‘নারীবাদ’ সম্পর্কে আফ্রিকার ধারণাগুলো নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ। তাই আদিচি স্বভাবগতভাবে নারীবাদ-সংক্রান্ত নিজের বক্তৃতায় ও রচনায় এসব বিষয়কে নারীবাদের অনুষঙ্গ করে গল্পাকারে আফ্রিকার বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় আদিচির নারীবাদবিষয়ক প্রথম বই ‘উই শুড অল বি ফ্যামিনিস্টস’ এবং দ্বিতীয় বই ‘ডিয়ার ইজাওয়েলে: আ ফ্যামিনিস্ট ম্যানিফেস্টো ইন ফিফটিন সাজেশনস’ প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে। বলতে গেলে নাইজেরিয়ার বাস্তবতা, ঐতিহ্য ও ইগবো সংস্কৃতির আলোকে আদিচির দুই রচনায়ই নারীবাদ ও...
আমার অতি প্রিয় লেখক ইমদাদুল হক মিলন। আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব ইমদাদুল হক মিলন; বন্ধুর মতো বড় ভাই। বড় ভাইয়ের মতো বন্ধু তিনি। আশ্চর্য ভালো মন ও মধুরতায় তিনি আচ্ছন্ন থাকেন। সারাক্ষণ লেখার মগ্নতায় বুঁদ থাকেন। মুখে অমিলন হাসি। খুব রাগ করলেও তিনি উত্তেজিত হন না। হাসির আড়ালে এক ধরনের কপট গাম্ভীর্য থাকে। মিলন ভাই আমাদের খুব প্রিয় মানুষ। মিলন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলেই আমরা কল্লোলিত ও আনন্দিত হয়ে উঠি। মিলন ভাইয়ের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া আমাদের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। হাসি আনন্দ পানাহার আড্ডা- সব মিলিয়ে মিলন ভাই মানে শুধুই মিলন ভাই। মিলন ভাই জিন্সের প্যান্ট ও এক রঙের পাঞ্জাবি পরতে খুব স্বচ্ছন্দবোধ করেন। যৌবনে আধুনিক চলতি হাওয়ার ফ্যাশান আইকন ছিলেন। এখন খুব সাধারণ পোশাক পরেন। কিন্তু নিজস্বতা থাকে। জিন্সের...
উপনিবেশের শিকার কোনো জাতি যখন সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াই করে, তখন তাদের সচেতন মন ও সংগঠিত প্রয়াস অবধারিতভাবে সাংস্কৃতিক সত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটায়; অর্থাৎ সংগ্রাম ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কোনো আলাদা বস্তু হিসেবে বিরাজ করে না। তারা মিলেমিশে, একে অপরের পরিপূরক হয়ে, আগের চেয়ে শাণিত চেহারায় ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে লিপ্ত হয়। হুবহু না হলেও, কাছাকাছি এই কথাগুলোই ১৯৫৯ সালের এক বক্তৃতায় বলেছিলেন সংগ্রামী চিন্তাবিদ ফ্রানৎস ফানোঁ।ফানোঁ যে রকম মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছেন, সে রকম এক যুদ্ধের উজ্জ্বল যোদ্ধা ছিলেন জহির রায়হান। ১৯৭১ সালের সেই যুদ্ধে অনেকেই আত্মগোপন করেন অথবা সীমান্ত অতিক্রম করে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। জহির রায়হান এর কোনোটিই করেননি। আগরতলা হয়ে কলকাতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ শুধু নয়, গেরিলা কায়দায় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করে দলিলচিত্র নির্মাণের কাজ করেছেন জহির রায়হান। নিজে...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়—বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। অথচ এখানকার ছাত্রছাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তা কতটা অনিশ্চিত, তা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল লিজার মৃত্যু। একজন তরুণ শিক্ষার্থীকে হারালাম আমরা। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা এমন হলে থাকি, যেখানে জীবনের কোনো দাম নেই, অসুস্থতার কোনো যথাযথ চিকিৎসা নেই।২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীর একটি হলে একজনও যোগ্য ডাক্তার নেই! এই হলো ঢাবির বাস্তবতা। হুমাইরা উপন্যাস জানায়, সেই অসহায় মুহূর্তে দেখা গেল, লাশ এলো হলে, রুমমেট অজ্ঞান হয়ে গেলেন। অথচ হলের ডাক্তার এলেন ২০ মিনিট পর। এ ডাক্তারকে আমরা ‘হাতুড়ে ডাক্তার’ বলতে বাধ্য হচ্ছি—কারণ, চিকিৎসা মানে তাঁর কাছে কেবল নাপা। প্রেশার মাপা ছাড়া তিনি কিছুই করতে পারলেন না। একজন ডাক্তার হয়ে এতটা বিভ্রান্ত আর নিষ্ক্রিয় থাকাটা অবিশ্বাস্য।আরও হতাশার বিষয়, হাউস টিউটররা জানালেন—ডাক্তার শুক্র-শনিবার ডিউটিতেই থাকেন না! তাহলে ওই দুই দিন...
সাধারণভাবে ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ‘বরপুত্র’ বলা হয়। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে বিশেষ অনুগ্রহ করেন। কিন্তু সময় বদলেছে। শুধু ঈশ্বরের অনুগ্রহে বুঝি এখন আর কাজ হয় না। তাই ক্ষমতার কাছাকাছি আসতে চান মানুষ। ক্ষমতার বরপুত্র হতে চান। কিন্তু চাইলে তো হয় না। বরপুত্র হওয়ার জন্য দরকার দালালি-দুর্নীতি-চাটুকারিতা করবার পরম ধৈর্য ও অশেষ সামর্থ্য। সকলের সেই সামর্থ্য থাকে না। তাই শেষ পর্যন্ত দুয়েকজনই হয়ে উঠতে পারেন ক্ষমতার বরপুত্র। মঞ্জু সরকার (১৯৫৩)-এর বরপুত্র (২০১০) উপন্যাসটি বিন্যস্ত হয়েছে রাষ্ট্র ক্ষমতার আনুকূল্যে অঢেল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়ে ওঠা এক সৌভাগ্যের বরপুত্রকে নিয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশ জন্মের পরের কয়েক দশকে এরকম বরপুত্রদের দেখা গিয়েছিল। রাষ্ট্র ক্ষমতাকে পুঁজি করে এবং রাষ্ট্র ক্ষমতার ছত্রছায়ায় থেকে কিছু মানুষ ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। এই আখ্যানের কেন্দ্রে রয়েছে এরকমই একজন...
দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ৫ হাজার ১৮০ বর্গ কিলোমিটারের ক্ষুদ্র এক দেশ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো। আয়তনে ক্ষুদ্র এই দেশেরই এক বড় মাপের লেখক ভি এস নাইপল। ২০০১ সালে সাহিত্যকর্মের জন্য যিনি নোবেল পুরস্কার পান এবং পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের সাহিত্যপ্রেমী পাঠকের কাছে। বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে ভি এস নাইপলের বেশ কিছু উপন্যাস।ভি এস নাইপলের উপন্যাসগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম বাংলায় অনূদিত হয়েছিল ‘আ হাউজ ফর মি. বিশ্বাস’ ও ‘আ ফ্রি স্টেট’ বই দুটো। এ ছাড়া বাংলায় অনূদিত হয়েছে তাঁর ‘দ্য এনিগমা অব অ্যারাইভাল’, ‘মিগুয়েল স্ট্রিট’, ‘অ্যামোং দ্য বিলিভার্স’ ও ‘হাফ আ লাইফ’। সারা বিশ্বে তিনি যেমন লেখক হিসেবে সুপরিচিত, ঠিক তেমনি এ দেশের পাঠকের কাছেও সমাদৃত ও জনপ্রিয় হয়েছে তাঁর লেখা।২০১৬ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ঢাকা লিটারেরি ফেস্টিভ্যালে প্রধান অতিথি...
এ দেশের শিল্প-সংস্কৃতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম এস এম সুলতান, যিনি তাঁর শিল্পচর্চার পথে দীপ্ত পায়ে হেঁটে পৌঁছেছিলেন এই গ্রামবাংলার প্রকৃতি ও মানুষের কাছে। সুলতানের রংতুলি আজও আমাদের ডেকে নিয়ে যায় এই বাংলার আদিম প্রকৃতির পরম ভালোবাসায়; যে ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিয়ে সুলতান একের পর এক দৃশ্য রচনা করেছিলেন। সংগ্রামী ও শক্তিশালী মানুষের সুঠাম দেহে রোপণ করেছিলেন মুক্তির চারা গাছ। তাঁর ছবিতে কিষান-কিষানির তামাটে রোদে পোড়া ঘর্মাক্ত দেহের রেখা যেন তিরের মতো তীব্র গতিতে এগিয়ে চলে টিকে থাকার লড়াইয়ে।এ দেশের গ্রামের মাটিতে প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধের বিশালদেহী, ক্রোধে কম্পিত পেশির মানুষগুলো যূথবদ্ধ হয়ে দৌড়াতে থাকে স্থির লক্ষ্যে। শত্রুর মোকাবিলা করে শক্তসমর্থ পেশিবহুল পুরুষ ও নারী উভয়েই। এই মানুষগুলোই সুলতানের অনুপ্রেরণা। তাঁর ছবিতে নারী চরিত্র কোনো অংশে কম শক্তিশালী নয়। বরং কোথাও কোথাও...
ইসরায়েলের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের মধে৵ও গাজায় একটি ছোট বইয়ের দোকান ‘ইকরা কিতাবাক’ যেন আলো ছড়াচ্ছে। দোকানটি ২০২৪ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে চালু হয়। গাজার ঠিক কেন্দ্রস্থলে, নুসাইরাত শরণার্থী ক্যাম্পের ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে।আরবি ও ইংরেজি ভাষার উপন্যাস, কবিতা, দর্শন, ধর্মীয় ও আত্মোন্নয়নমূলক বই পরিপাটি করে সাজানো রয়েছে রাস্তার পাশে কাঠের অস্থায়ী তক্তার ওপর। ধূসর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে সেগুলোর রঙিন প্রচ্ছদগুলো যেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় আশপাশের নৈরাশ্যের প্রতি।আধা বিধ্বস্ত বা পুরোপুরি ভেঙে পড়া ভবন এবং বিমান হামলার ধ্বংসাবশেষে ঘেরা সেই জায়গায় বই যেন একেবারেই বেমানান; কিন্তু বইগুলোর শিরোনাম সেখানকার আশা, ভালোবাসা, ক্ষতি ও প্রতিরোধের গল্প বলছে। দোকানটি হয়ে উঠেছে ছোট্ট ফিলিস্তিন, যেটি ইসরায়েলের গণহত্যা মুছে ফেলতে চেয়েছে।এটি পরিচালনা করছেন দুই ভাই—সালাহ ও আবদুল্লাহ সারসুর। তাঁরা নিজেদের বাড়ি হারিয়েছেন এবং বর্তমানে নুসাইরাত ক্যাম্পে একটি স্কুলে...
একটা গণ–অভ্যুত্থান কিংবা বিপ্লব যেমন অনেক নতুন ধারণাকে হাজির করে, আবার অনেক পুরোনো ও গেড়ে বসা ধারণা বা চিন্তাকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেয়। এসব ধারণা কিংবা চিন্তা বহনকারী ব্যক্তিবর্গও স্বাভাবিকভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শেষ দিকে জনাকয়েক চলচ্চিত্রশিল্পী–নির্মাতার কিছু বার্তা ভাইরাল হলে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তাঁরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ‘গরম জল’ ঢেলে দিতে বলেছেন, পুলিশকে আরও কঠোর হতে বলেছেন ইত্যাদি। আশ্চর্যের কিছু নেই। তাঁরা তাঁদের দাসত্বের দায় শোধ করেছেন। স্বাভাবিকভাবে এই নতুন সময়ে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছেন। তাঁদের আদর্শিক মৃত্যু ঘটেছে। তাঁরা আর আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারবেন না।এটা বলছি রাজনৈতিক বিচারের জায়গা থেকে। তাঁরা রাজনৈতিক দায় মেটাতে পারেননি, তাই অপাঙ্ক্তেয় হয়ে গেছেন নতুন সময়ে। কিন্তু নান্দনিক দায় অত সহজে শোধ হওয়ার নয়। রাজনৈতিকভাবে প্রাসঙ্গিক ছিলাম বলেই নান্দনিকভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠব, অতটা...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মহৎ স্রষ্টার কাছে আমরা এযাবৎ যা আশা করে এসেছি, সেই আশা এখন ভ্রান্তির চোরাবালিতে মাথা কুটে মরছে। একজন শিল্প সৃজনকারী হিসেবে রবীন্দ্রনাথের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কি বিনোদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল? সেটিই হয়তো ছিল আমাদের ভুল। তিনি বিনোদনের উৎস নন, আমাদের ব্যবহার্যতার ভিত্তি। করোনাকালে পুরোনো রবীন্দ্রবাণী উপলব্ধি করেও নতুনভাবে সংবিৎ ফিরে পেয়েছি:কত অজানারে জানাইলে তুমি কত ঘরে দিলে ঠাঁই—দূরকে করিলে নিকট বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।অতিমারিকালে তো আমরা তা-ই করেছি। আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে গৃহবন্দী থেকেও অনেক অজানাকে জানার সুযোগ হয়েছিল। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যোগাযোগ করে দূরকে কত নিকটে নিয়ে এসেছি, এর মাধ্যমেই অনেক পর আমাদের আপন হয়েছে, যা হয়তো কোনোদিন সম্ভবই হতো না। যেটি আসলে ‘শারীরিক দূরত্ব’ সেটিকে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এটিও ছিল এক...
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ওসমানি শাসন–পরবর্তী যে আরব রাষ্ট্রগুলো গড়ে তোলা হয়েছিল, তা ছিল পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থরক্ষায়—এ অঞ্চলের নিজস্ব অধিবাসীদের জন্য নয়।১৯১৮ সালে, ওসমানি শাসন–পরবর্তী মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ আধিপত্য স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। এটি স্বীকার করে ব্রিটিশ ভারতের একজন কর্মকর্তা লিখেছিলেন, ‘পুরোনো স্লোগান এখন অচল। আমাদের নতুন পথ বেছে নিতে হবে; যা মূল লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক। কাজটি সম্ভব, তবে তার জন্য কিছুটা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। “আরব মুখোশ” হয়তো আমাদের পূর্বপরিকল্পনার চেয়ে আরও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হতে পারে।’১৯১৯ সালের তথাকথিত প্যারিস শান্তি সম্মেলনের সময় ব্রিটিশরা বুঝে যায়, ব্যাহত প্রতীয়মান ‘স্বনির্ধারণীর’ এ যুগে নিজেদের আধিপত্য আর সরাসরি চাপিয়ে দিতে পারবে না তারা। তাই তাঁদের আধিপত্য আড়াল করতে দরকার ‘স্থানীয় কর্তৃত্ব’ নামের এক মুখোশ।কিছু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী, যেমন টি ই লরেন্স ভাবতেন, তাঁরা আরবদের...
‘একজন ইউরোপীয়কে হত্যা করার মানে হচ্ছে এক ঢিলে দুই পাখি মারা।’ ফ্রান্স যখন সাত বছর ধরে বর্বরোচিতভাবে আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন দমনে লিপ্ত, সেই সময় জাঁ পল সার্ত্রে এই কথাগুলো লিখেছিলেন। শত হলেও, এ ধরনের হত্যা একই সঙ্গে অত্যাচারী আর অত্যাচারিত, দুই পক্ষকেই নিকেশ করে দেয়: একজন মারা যায়, আর অন্যজন মুক্তি অর্জন করে। আলজেরিয়ার উপনিবেশবিরোধীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য ফ্রান্সে প্রবলভাবে ঘৃণিত সার্ত্রে মানুষকে ‘আমাদের মানবতাবাদের স্ট্রিপটিজ নাচ’ দেখতে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘আপনারা যাঁরা এত উদার, এত মানবিক, যাঁরা সংস্কৃতিপ্রেমকে ভড়ংয়ের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পছন্দ করেন, সেই আপনারা এটা ভুলে যাওয়ার ভান করেন যে আপনাদের উপনিবেশগুলোতে আপনাদের নামেই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।’ অগ্নিবর্ষী এই কথাগুলো সার্ত্রে লিখেছিলেন একটি বইয়ের ভূমিকায়। তাঁর নিজের বই নয়। ফ্রানৎস ফানোঁ নামের এক ফরাসি ও ওয়েস্ট...
বধ্যভূমি হয়ে ওঠা গাজায় প্রতিদিন শিশুসহ নরহত্যা ‘উৎসব’ চলছে। এখন শুরু হয়েছে অপুষ্টি ও অনাহারে মৃত্যু। সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। সব দেখে এখন বুঝতে পারি মানুষের বিবেক ও চেতনারও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। গাজায় যাঁরা অবিরাম নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছেন, তাঁদের তো এখন জৈবশক্তির জোরেই টিকে থাকতে হচ্ছে। আক্রমণকারী শক্তি ইসরায়েল নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রণাঙ্গন ছাড়বে বলে মনে হয় না। অতীতে দেখা যেত, সংঘাতের বাইরের দর্শক বাকি বিশ্বের নেতাদের চাপে এমন নিষ্ঠুরতা থামাতে হতো। হামাসের ৭ অক্টোবরের (২০২৩) হামলার প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করেছিল ইসরায়েল নভেম্বর থেকে। তার মিত্রদের যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত পশ্চিম ইউরোপের পরামর্শে তারা ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ একবার যুদ্ধবিরতি মেনে ছিল; কিন্তু তারপর মার্চ থেকে আবারও পূর্ণোদ্যমে গাজার নিরস্ত্র বেসামরিক জনগণের ওপর যে নৃশংস হামলা শুরু...
ভারতবর্ষ সাময়িকীতে ১৯৩৪-৩৫ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। প্রকাশের ৯০ বছর পর সেই উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে সিনেমা। আজ পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাবে সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’; পর্দায় কুসুম, শশী, কুমুদ, যাদব আর সেনদিদি হয়ে আসছেন জয়া আহসান, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় ও অনন্যা চট্টোপাধ্যায়।অনেক দিন ধরেই সিনেমাটি নিয়ে কাজ করছিলেন সুমন মুখোপাধ্যায়। এক ফেসবুক পোস্টে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা লিখেছেন, ‘এই ছবি বানানোর প্রথম চেষ্টা করেছিলাম ২০০৮ সালে। কিন্তু নানা কারণে আটকে গেছে। যখন ১৪ বছরেও বানাতে পারিনি, তখন প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু নবারুণ (ভট্টাচার্য)–দার যুদ্ধ পরিস্থিতি উপন্যাসের একটা লাইন আমাকে আবার তাতিয়ে তুলল...“হতাশ আর ভগ্নোদ্যম সেসব মানুষ পুতুলের যান্ত্রিক জীবনের অপরূপ কাহিনি “পুতুলনাচের ইতিকথা”।” মনে হলো এ তো আমাদের সময়ের কথা। আবার উঠেপড়ে...
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেছেন কলকাতার পরিচালক সুমন মুখার্জি। এ উপন্যাসের ‘কুসুম’ চরিত্রটি জীবনীশক্তিতে ভরপুর, অদম্য এবং জীবনরহস্যে ভরা। আর এই ‘কুসুম’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমার শুটিং অনেক আগে শেষ হয়েছে। নানা জটিলতায় আটকে ছিল। আগামী ১ আগস্ট পর্দায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। নির্মাণের পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও সিনেমার গল্প সমসাময়িক। সেই সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আর এখনকার সময়ের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য খুঁজে পান না পরিচালক। ঠিক যেমন পর্দার ‘কুসুম’ আর বাস্তবের জয়া আহসানের মধ্যে তেমন কোনো ফারাক নেই বলে মন্তব্য তার। এ বিষয়ে ‘কুসুম’ চরিত্র নিয়ে জয়া আহসানের কী মত? তার ভাষায়, “বরাবর নারীকেই কামনা-বাসনার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কুসুমেরও কামনা-বাসনা রয়েছে, যা সে লুকোয় না।...
সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘাত ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুই দেশ একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। এ যুদ্ধবিরতি তাদের স্থানীয় সময় অনুযায়ী গত সোমবার মধ্যরাতে কার্যকর হয়।যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছে মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, যদি যুদ্ধ না থামে, তাহলে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সঙ্গে তিনি আর কোনো বাণিজ্য চুক্তি করবেন না।সংঘাত শুরু হওয়ার সময় প্রাণহানির সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন থাই ও কম্বোডিয়ান নাগরিক নিহত হয়েছেন। সীমান্ত এলাকার কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন। থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী কিছু প্রদেশে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। দুই দেশের জাতীয়তাবাদী বক্তব্য আরও বেড়েছে।যুদ্ধবিরতির আগে কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে হামলা চালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও থাই সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তা প্রতিহত...
বর্ষা এক অদ্ভুত নস্টালজিয়া। বর্ষা মানেই বাতাসে একধরনের বিষাদের গন্ধ আর জানালার পাশে বসে এক কাপ গরম চা হাতে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা। এই আবহমান অনুভূতি শুধু বাস্তব জীবনেই নয়, জায়গা করে নিয়েছে সাহিত্য আর সিনেমায়ও। বর্ষা ও চা—দুটিই যেন মানবমনকে সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করে এমন দুটি অনুষঙ্গ, যেগুলোর ছোঁয়ায় সৃষ্টি হয় ভালোবাসা, প্রেম কিংবা বেদনাভরা মুহূর্ত।বাংলা সাহিত্যে বর্ষাবাংলা কবিতা, উপন্যাস আর গানে বর্ষা নিয়ে যে এক বিশাল উপাখ্যান রয়েছে, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কলমে বর্ষা বরাবরই ধরা পড়েছে অনন্য এক রূপে। তাঁর গানে, গল্পে, কবিতায় বর্ষা কখনো প্রেম, কখনো বিরহ আবার কখনো নিঃসঙ্গতার নিঃশব্দ ভাষ্য হয়ে উঠেছে। মধ্যবর্তিনী, পোস্টমাস্টার, শাস্তি, সমাপ্তি কিংবা ছুটি—এই ছোটগল্পগুলোর অনেক দৃশ্যেই বর্ষা এসেছে পটভূমি হয়ে, গল্পের আবেগের ভাষা হয়ে।...
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেছেন কলকাতার পরিচালক সুমন মুখার্জি। এ উপন্যাসের ‘কুসুম’ চরিত্রটি জীবনীশক্তিতে ভরপুর, অদম্য এবং জীবনরহস্যে ভরা। আর এই ‘কুসুম’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমার শুটিং অনেক আগে শেষ হয়েছে। নানা জটিলতায় আটকে ছিল। আগামী ১ আগস্ট পর্দায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। নির্মাণের পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও সিনেমার গল্প সমসাময়িক। সেই সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আর এখনকার সময়ের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য খুঁজে পান না পরিচালক। ঠিক যেমন পর্দার ‘কুসুম’ আর বাস্তবের জয়া আহসানের মধ্যে তেমন কোনো ফারাক নেই বলে মন্তব্য তার। আয়োজন করেই ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমার ট্রেইলার মুক্তি দিলেন নির্মাতারা। আর এ অনুষ্ঠানে ঔপন্যাসিকের বিখ্যাত সংলাপ আওড়ান পরিচালক—“শরীর! শরীর! তোমার মন নাই কুসুম?” কিন্তু এর ভিন্ন...
জরুরি অবস্থা কীভাবে জারি হবে, এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এককভাবে নন, মন্ত্রিসভার অনুমোদনে জারি হবে জরুরি অবস্থা। এ-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিরোধীদলীয় নেতা বা উপনেতা। রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনে এই ঐকমত্যে পৌঁছায় দলগুলো। সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়- জরুরি অবস্থা হলে নাগরিকের ‘জীবনের অধিকার’ এবং ‘নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকার থাকবে’। জরুরি অবস্থা ঘোষণা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে না। জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, ১৪১ এর ক এর ১ ধারা মতে রাষ্ট্রপতির কাছে যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এমন জরুরি অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, যা যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের দ্বারা বাংলাদেশ বা যেকোনো...
জরুরি অবস্থা কীভাবে জারি হবে, এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এককভাবে নন, মন্ত্রিসভার অনুমোদনে জারি হবে জরুরি অবস্থা। এ-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিরোধীদলীয় নেতা বা উপনেতা। রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনে এই ঐকমত্যে পৌঁছায় দলগুলো। সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়- জরুরি অবস্থা হলে নাগরিকের ‘জীবনের অধিকার’ এবং ‘নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকার থাকবে’। জরুরি অবস্থা ঘোষণা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে না। জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, ১৪১ এর ক এর ১ ধারা মতে রাষ্ট্রপতির কাছে যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এমন জরুরি অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, যা যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের দ্বারা বাংলাদেশ বা যেকোনো...
জুয়াড়ি, মদ্যপ, বদমেজাজি তো কত লোকই হয়! তাদের নিয়ে কে আর আলোচনা-সমালোচনা করে? তবে পৃথিবী বিখ্যাত লেখক ফিওদর দস্তইয়েফ্স্কির সেই সাধারণ তালিকায় নিশ্চিতভাবেই পড়বেন না। কারণ, তিনি এমন এক সাহিত্যিক, যাঁর সাহিত্য পাঠকের অনুভবের জগতে দীর্ঘ প্রতিধ্বনি তোলে। তাঁর লেখায় জীবনের বিচিত্র বিষয় এক বিস্তৃত উপত্যকা হয়ে ধরা দেয়। তাঁর উপন্যাসের চরিত্রগুলোর ‘যন্ত্রণা সয়ে যাওয়ার আর্তনাদ’ পাঠকের হৃদয়ে এমন এক অনুরণন তোলে, যা তাঁকে জীবনের অন্য প্রান্তে পৌঁছাতে চায়; এমন জায়গায়, যেটা তাঁর অভ্যস্ত পৃথিবী থেকে দূরের, অথচ তারই অন্তর্গত।এই দস্তইয়েফ্স্কিকে নতুন চোখে দেখতে শেখায় মালয়ালম ভাষার অনন্য উপন্যাস ওরু সংকীর্থনম পোলে—পেরুমপদভম শ্রীধরনের লেখা, যা জাভেদ হুসেনের অনুবাদে বাংলায় এসেছে ছাব্বিশ দিন: দস্তইয়েফ্স্কির জুয়াড়ি লেখার আখ্যান নামে। উপন্যাসটি যেন প্রথম প্রেমের মতো ধীরে ধীরে পাঠকের মননে প্রবেশ করে এবং একসময়...
আমি লক্ষ করেছি, ১৯৮৬ সালে আমার ডিকলোনাইজিং দ্য মাইন্ড পুস্তকটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিউপনিবেশায়ন ও ভাষাগুলোর ভেতরকার অসম ক্ষমতা-সম্পর্কের ব্যাপারে জগৎজুড়েই আগ্রহ বেড়েছে। কয়েক বছর আগে, ২০১৮ সালে এটিই আমাকে আয়ারল্যান্ডের মুনস্টের রাজ্যাধীন লিমেরিক শহরে টেনে নিয়ে যায়। ওই শহরে তখন ১৮৯৩ সালে স্থাপিত ‘গ্যালিক লিগ’-এর ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।‘গ্যালিক লিগ’ খোদ আয়ারল্যান্ডে গ্যালিক বা আইরিশ ভাষার পুনরুজ্জীবনের জন্য নানা তত্পরতায় নিবেদিত একটি আইরিশ সংগঠন। আইরিশ জনগণের নিজস্ব ভাষা গ্যালিক, ইতিপূর্বে আধিপত্যশীল ইংরেজি ভাষার অধীন হয়ে পড়েছিল। পুরোদস্তুর সরকারি সমর্থনসহ নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও মর্যাদা ও প্রভাবের দিক থেকে আইরিশ ভাষা এখনো ইংরেজির অধস্তন পর্যায়ে বিদ্যমান রয়েছে। আয়ারল্যান্ডের যত মানুষ আইরিশ ভাষায় কথা বলে, তার চেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে। কতিপয় সুবিখ্যাত আইরিশ...
আল মাহমুদের সাহিত্যপ্রতিভার উন্মেষ ঘটেছিল বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে। মৃত্যুবরণ করেন ২০১৯ সালে। সেই হিসাবে তাঁর কবিজীবনের শুরু ও শেষের মধ্যে প্রায় পৌনে এক শতাব্দী অতিবাহিত হতে চলেছে। সময়ের হিসাবে এটি নিতান্ত কম নয়। এখন বোধ করি আল মাহমুদকে বাংলা কবিতার বড় পটে রেখে বিচার করা দরকার। এতে তিনি তাঁর স্ব-ভাবে আমাদের সামনে মূর্ত হয়ে উঠবেন।এক.ঔপনিবেশিক শক্তির ছায়াতলে দীর্ঘকাল থাকলে একটা জাতির সাহিত্যের যে দশা হয়, বাংলা সাহিত্যেরও তা–ই হয়েছে। ৬০০ বছরের ধারাবাহিক অভিযাত্রায় ছেদ ঘটে। নতুনভাবে সংসার শুরু করে ‘বনিয়াদি’, ‘রুচিমান ও রূপবান’ ইউরোপীয় সাহিত্যের সঙ্গে। বড়লোকের ঘর করতে গিয়ে বাংলা সাহিত্যের চলন–বলন ও রূপ-লাবণ্যে একটা বড় পরিবর্তন আসে। ওই পরিবর্তিত সাহিত্যকেই আমরা বলি ‘আধুনিক বাংলা সাহিত্য’। এর শুরু উনিশ শতকে।অন্যের মতো করে আধুনিক হওয়ার শুরু আছে, শেষ নেই।...
পুরস্কারপ্রাপ্তির ফোন যখন পেলাম তখন আমি বাসন ধুচ্ছিলাম। কিছুদিন আগেই অনলাইনে ডিশওয়াশারের দাম দেখেছি, অত টাকা নেই হাতে। তাই হন্যে হয়ে হাউসহেল্প খুঁজে বেড়াচ্ছি। ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছি জেনে মনে হলো, এবার তাহলে একটা ডিশওয়াশার কিনে ফেলব নাকি? থালাবাসন ধুতে না হলে অনেকটা সময় বেঁচে যাবে। সেই সময়টুকুতে লেখালেখি করা যাবে। সৃজনশীল লেখালেখিটাকে সাহিত্য চর্চার মতন ভারী শব্দবন্ধ দিয়ে কেউ বলে না। পেশায় শিক্ষক হওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে একাডেমিক লেখা আশা করা হয়, জব রিকোয়ারমেন্ট। প্রমোশন ইত্যাদি নির্ভর করে প্রকাশনা আর বাড়তি ডিগ্রির ওপর। সেই ক্ষেত্রে আমি শোচনীয়ভাবে পিছিয়ে আছি। ১৪ বছর চাকরি করার পর কোনোমতে সহযোগী অধ্যাপক হয়েছি। ওদিকে আমার সমবয়সীরা প্রফেসর ডক্টর হয়ে গেছেন। যতই আপনি বলেন না কেন, প্রতিযোগিতা কারও সঙ্গে কারও নয়, নিজের বেস্টটা...
হোয়াইট হাউসে বৈঠক চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নেতারা। একপর্যায়ে ইংরেজিতে বক্তব্য শুরু করেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই। তাঁর মুখে সাবলীল ইংরেজি শুনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প। জানতে চান, এত সুন্দরভাবে ইংরেজিতে কথা বলা কোথা থেকে শিখেছেন তিনি।স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ওই বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন ট্রাম্প নিজেই। তাতে যোগ দেন লাইবেরিয়ার পাশাপাশি গ্যাবন, গিনি বিসাউ, সেনেগাল ও মৌরিতানিয়ার নেতারা। ট্রাম্প তাঁদের বলেন, সহায়তা থেকে বাণিজ্য—নানা বিষয়ে আফ্রিকার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল আনছেন তিনি। এ-ও জানিয়ে দেন, আফ্রিকার অংশীদার হিসেবে চীনের থেকে ভালো যুক্তরাষ্ট্র।বৈঠকে আফ্রিকার অনেক নেতা নিজ নিজ ভাষায় কথা বলেন। ভাষাগুলো ট্রাম্পকে বোঝানোর জন্য অনুবাদকের ব্যবস্থা ছিল। তবে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই ইংরেজিতে বলেন, ‘লাইবেরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমেরিকাকে আবার মহান করে তোলার আপনার যে...
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবসর গ্রহণের পর বেদ, উপনিষদ অধ্যয়ন ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে সময় কাটাবেন। গতকাল বুধবার তিনি নিজেই এ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান।অমিত শাহর বয়স মাত্র ৬০। তা ছাড়া এ দেশের রাজনীতিবিদেরা সচরাচর অবসর গ্রহণ করেন না। তার ওপর তাঁর মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী যদি কেউ হন, দিনে ১৮ ঘণ্টা যাঁর রাজনীতিতেই কেটে যায়, এমন অমিত শক্তিধর অমিত শাহ হুট করে অবসরের কথা কেন বলতে গেলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। নানান প্রশ্ন ঘুরছে।বিজেপিতে যেদিন থেকে ‘মোদি যুগ’ শুরু, সেদিন থেকেই মোদি–শাহ নাম এক নিশ্বাসে উচ্চারিত হয়ে আসছে। গুজরাটি রাজনীতিতে যা শুরু, জাতীয় রাজনীতিতেও সেই যুগলবন্দী অব্যাহত। নরেন্দ্র মোদির সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে বিশ্বস্ত দোসর বলে পরিচিত অমিত শাহ। এমন ধারণাও আছে যে শাহ–ই হবেন মোদির উত্তরসূরি।হিন্দুত্ববাদী...
বড়পর্দায় উঠে আসছে শশী, কুসুম ও কুমুদের জীবন। মুক্তি পেতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা সুমন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একই শিরোনামের কালজয়ী একটি উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ছবিটির অপেক্ষায় রয়েছেন জয়া আহসান-ভক্তরা। কেননা, পর্দায় কুসুম চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই বাংলাদেশি অভিনেত্রী। গত রোববার ইনস্টাগ্রামে পুতুলনাচের ইতিকথা মুক্তির চূড়ান্ত তারিখ জানিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা ক্যালাইডোস্কোপ। সংস্থাটি জানায়, ১৯৩৫ সালে ভারতবর্ষ পত্রিকায় প্রথমবার ছাপা হয় পুতুলনাচের ইতিকথা। চলতি বছর উপন্যাসটির প্রথম ধারাবাহিক প্রকাশের ৯০ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে আগামী ১ আগস্ট ভারতে মুক্তি পাবে ছবিটি। ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, নির্মাতা সুমন মুখোপাধ্যায় দেখেছিলেন তাঁর বাবা অরুণ মুখোপাধ্যায়কে এই উপন্যাসকে মঞ্চে নাট্যরূপ দিতে। সেই থেকেই নির্মাতার মনের মধ্যে ইচ্ছে ছিল কালজয়ী উপন্যাসটি নিয়ে ছবি বানানোর। তাঁর সেই...
সমবায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ক্যাডারভুক্ত অনেক কর্মকর্তা ঢাকার বাইরে যেতে চান না। ফলে ঢাকার বাইরের কার্যালয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা পড়ে আছে। এ বিষয়টির পাশাপাশি জনবলসংকটের কারণে সমবায় সমিতিগুলোর কার্যক্রম সঠিকভাবে নজরদারি হচ্ছে না। এ সুযোগে সমিতিগুলো অনিয়ম করছে।অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাডার কর্মকর্তা হয়েও অনেকে চাকরিজীবনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দিয়েছেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে। ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও অনেকে যেতে চান না। এর প্রভাব পড়ছে মাঠপর্যায়ে।বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রতি মাসে নির্ধারিত সংখ্যক সমবায় সমিতি পরিদর্শনের কথা। কিন্তু জনবলসংকটের কারণে তা হচ্ছে না। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে অনেক সমবায় সমিতি।অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাডার কর্মকর্তা হয়েও অনেকে চাকরিজীবনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দিয়েছেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে। ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও অনেকে যেতে...
আজ কবি ও সংগঠক বাপ্পি সাহা’র জন্মদিন । শুভ জন্মদিন। কবি বাপ্পি সাহা একাধারে কবি, গল্পকার, গীতিকার, শিশুসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক। সাহিত্য অঙ্গনে তার অবাধ বিচরণ। বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। বহু সংগঠন থেকে সম্মাননা প্রাপ্ত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্ভ্রান্ত সাহা পরিবারে ১৯৮৪ সালের ৫ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার শৈশব কৈশোর কেটেছে নারায়ণগঞ্জ। আদর্শ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি, এরপর নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। তারপর সরকারি তোলারাম কলেজে লেখাপড়া করার পাশাপাশি ব্যবসায় জড়িয়ে পরেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ কবিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। হাই স্কুল জীবন থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চায় জড়িত। তার কবিতার প্রেমকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কাজ রশিক বাপ্পি সাহা একজন সরল মনের মানুষ। হাস্যজ্জ্বল সংঘপ্রিয়। কবি বাপ্পি সাহা’র প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:রাঙা প্রজাপতির ডানা (কাব্য-২০১৪), ছায়া দ্বীপ (গল্প-২০১৫), স্মৃতির ক্যানভাসে (কবিতা-২০১৬), বিষাদের খেয়া (কাব্য-২০১৭), বাপ্পি সাহা’র শত কবিতা (কাব্য- ২০১৮), সৃষ্টি তার...
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ফ্রানচেসকা আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক ও আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, ইসরায়েলকে দেওয়া আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ করা ও দেশটির ওপর পুরোপুরি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ও।গতকাল বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বক্তব্য দেওয়ার সময় আলবানিজ এমন আহ্বান জানান। তিনি ইসরায়েলের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ‘গণহত্যার অর্থনীতি’ বলে আখ্যা দেন।মানবাধিকার পরিষদে এদিন আলবানিজ নতুন একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সেখানে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি দমন–পীড়ন ও সহিংসতায় সহায়তাকারী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়।আলবানিজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারি ও উপনিবেশ গঠনের পরিকল্পনাকে টিকিয়ে রাখতে বড় কোম্পানিগুলো একধরনের করপোরেট যন্ত্র হিসেবে কাজ করছে। এই যন্ত্রই ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে সেখানে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনায় ইন্ধন জোগাচ্ছে।ফ্রানচেসকা আলবানিজ বলেন, ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি...
আজ থেকে ২৪৯ বছর আগে এই দিনে শোষণের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন (ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স) তৎকালীন ১৩টি ব্রিটিশ উপনিবেশের প্রতিনিধিরা, জন্ম হয় এক নতুন রাষ্ট্রের। সময়ের পরিক্রমায় তারাই আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।বলছি যুক্তরাষ্ট্রের কথা। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক বৈঠকে তৎকালীন ১৩টি ব্রিটিশ উপনিবেশের প্রতিনিধিরা একজোট হয়ে ঘোষণা করলেন, তাঁদের স্বাধীনতা চাই। এ ঘোষণাপত্র শুধু একটি কাগজ ছিল না; বরং ছিল একটি জাতির আত্মপরিচয় প্রকাশের সূচনা। ইতিহাসের পাতায় ওই ঘোষণাপত্র ‘ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ নামে পরিচিত।মার্কিনরা বিপুল উৎসব আয়োজনে ৪ জুলাই নিজেদের স্বাধীনতা দিবস পালন করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত, আতশবাজি, প্যারেড, বারবিকিউ পার্টি আর দেশাত্মবোধক গানে-স্লোগানে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। আয়োজনে কোনো কিছুর কমতি থাকে না।তবে ৪ জুলাই মার্কিনদের জন্য শুধু স্বাধীনতা...
প্রযুক্তি-প্রাচুর্য-সমৃদ্ধি, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, পারমাণবিক শক্তিমত্তা ও প্রতিপত্তির বিচারে যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয় বিশ্বের অপ্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি ও তিলোত্তমা। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মধ্যে একটি হলো ৪ জুলাই, যেটিকে মার্কিনিরা পালন করে ইন্ডিপেনডেন্স ডে হিসেবে। ৪ জুলাই গ্রীষ্মকালীন বিনোদনের সর্বোচ্চ রূপ। কিছু উৎসব কয়েক দশক আগের। অন্যরা আঞ্চলিক রীতিতে আয়োজন করেন, বড় শহর বা ছোট শহরের চরিত্র ধারণ করে। এই দিনে যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বাধীনতা ঘোষণার ঐতিহাসিক দলিল Declaration of Independence গ্রহণ করেছিল ১৭৭৬ সালে। এই ঘোষণার মাধ্যমে গ্রেট ব্রিটেন থেকে ১৩টি উপনিবেশ নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। আর শুরু হয় ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকার পথচলা। এদিন আমেরিকার মানুষেরা নানা আয়োজনে তাদের দেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। এবারো বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।...
এই জুলাইয়ের ৩ তারিখে ফ্রানৎস কাফকার বয়স ১৪২ হলো। সব সময় মৃত্যুচিন্তায় তাড়িত মানুষটার জন্য এটা কম কথা নয়। তাঁর অধিকাংশ লেখাই শেষের আগে শেষ করা কিংবা অসমাপ্ত। সেই লেখক ১৪২ বছর বেঁচে গেলেন? শুধু তা-ই না, এ মুহূর্তে পৃথিবীজুড়ে স্বীকৃত ‘সবচেয়ে প্রভাবশালী’ কথাসাহিত্যিক এই তিনিই? ভাবছি যে কাফকার সম্মানে এবারের ৩ তারিখে একটা বার্থডে পার্টি করলে কেমন হতো? নিজের জন্মদিন উদ্যাপন দেখে তিনি নিশ্চয়ই পরপার থেকে মুখ বাঁকিয়ে কষ্ট করে একটু হাসতেন আর আমার কানে কানে বলতেন, ‘মাসরুর আরেফিন, বৃথাই আমার অনুবাদক তুমি! আমার জন্মদিন তো এভাবে করলে চলবে না।সেটা হতে হবে আলো-আঁধারি কোনো ঘরে, সেখানে আসা অতিথিরা ঠিক জানবেন না তাঁরা দাওয়াত পেয়েছিলেন কি না, সেই ঘরের কোনায় হাতে একটা বড় সিল ও লম্বা লম্বা কিছু ফর্ম নিয়ে...
জীবন্ত কিংবদন্তি হরর ঔপন্যাসিক স্টিফেন কিংয়ের উপন্যাস সংকলন ‘ইফ ইট ব্লিডস’ ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়। বইটির চার উপন্যাসের একটি ‘দ্য লাইফ অব চাক’। এটি অস্বাভাবিক তিন অঙ্কের কাঠামোর গল্প, যা শেষ দিয়ে শুরু হয়। ধীরে ধীরে চার্লস ক্র্যান্টজ (চাক) নামে একজন ব্যক্তির জীবনের বর্ণনা উঠে আসে। ‘ধন্যবাদ, চাক’ নামে প্রথম পর্বটি শুরু হয় রহস্যময়ভাবে পৃথিবী সমাপ্তির মাধ্যমে। ভবনগুলো ভেঙে পড়ে, অদৃশ্য হয়ে যায়, সমাজ ভেঙে পড়ে। বিশৃঙ্খলার মধ্যেও বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়, যেখানে চাক নামে একজনকে ৩৯টি দুর্দান্ত বছরের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়। এর অর্থ পৃথিবী নিজেই চাকের মন বা জীবনের প্রকাশ হতে পারে। ‘বাস্কার্স’ অংশে চাক বোস্টনে রাস্তার শিল্পীদের (বাস্কার্স) সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নাচে এবং এটি তার জন্য বিশুদ্ধ আনন্দ ও মুক্তির মুহূর্ত। জানা যায়, চাক ব্রেন টিউমারে মারা যাচ্ছে।...
টানা দুই বছর সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তৃতীয় দফায় ইতিহাসভিত্তিক কথাসাহিত্যের জন্য এবারের ওয়াল্টার স্কট পুরস্কার জিতলেন অ্যান্ড্রু মিলার। সেবাস্তিয়ান ব্যারি, রবার্ট হ্যারিস, আন্দ্রেয়া লেভি, হিলারি ম্যান্টেলের মতো বিশ্বখ্যাত ও জনপ্রিয় লেখকের নামের তালিকায় যুক্ত হলেন মিলারও। মেলরোজে বর্ডারস বুক ফেস্টিভ্যালে এ সম্মানজনক ব্রিটিশ সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পান ২৫ হাজার পাউন্ড। স্যার ওয়াল্টারের প্রপৌত্র ম্যাথু ম্যাক্সওয়েল স্কট বিজয়ীকে পুরস্কার তুলে দেন। ৬০ বছরের বেশি সময় ঘিরে প্রতিষ্ঠিত এই ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাসের প্লট। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে দীর্ঘ, তীব্র শীতকালে একটি প্রত্যন্ত ইংরেজ সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকার গল্প ‘দ্য ল্যান্ড ইন উইন্টার’। একই সঙ্গে লেখক কেভিন ব্যারির ‘দ্য হার্ট ইন উইন্টার’, আংঘারাড হ্যাম্পশায়ারের ‘দ্য মেয়ার’, ফ্রান্সেসকা কে-এর ‘দ্য বুক অব ডেজ’, ফেরদিয়া লেননের ‘গ্লোরিয়াস...
বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় ৩৩/১১ কেভি জিআইএস প্রযুক্তির ১০টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র (সাবস্টেশন) নির্মাণে ব্যয় হবে ২৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা সূত্রে জানা গেছে, টার্নকি ভিত্তিতে ৫টি ৩৩/১১ কেভি উপন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইন্সস্টলেশন , টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতির জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৭টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি খেকে সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিকাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ঢাকাম প্রকল্পটি বাস্তায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ২ লাখ...
৩০ জুন জন্ম নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের অন্যতম চিন্তাবিদ, লেখক ও প্রতিবাদের প্রতীক। তাঁর পরিচয় বহুমাত্রিক—তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক চিন্তক। আহমদ ছফাকে শুধু ‘প্রাবন্ধিক’ বললে তাঁর গভীরতা, ব্যাপ্তি ও প্রভাবকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়। তিনি ছিলেন সেই দুর্লভ বাঙালি, যিনি এক হাতে বই লিখতেন আর অন্য হাতে দেশের বিবেক জাগিয়ে তুলতেন।ছফার লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল যুক্তিনির্ভরতা ও বুদ্ধিবৃত্তির স্বাধীনতা। তিনি ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার এবং অন্ধ আনুগত্যের বিরুদ্ধে ছিলেন সর্বদা সচেতন। তাঁর মতে, জাতিকে যদি জাগ্রত করতে হয়, তবে আগে জাগাতে হবে চিন্তার স্বাধীনতা। একটি সমাজ তখনই বিকশিত হয়, যখন সেখানে মতপ্রকাশের অধিকার থাকে, মতভেদকে সম্মান করা হয় এবং বিতর্ককে অগ্রগতি হিসেবে দেখা হয়। সুতরাং ছফার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন একটি যুক্তিবাদী, মুক্তচিন্তার পরিবেশ। পাঠ্যক্রমে মুক্তচিন্তা, যুক্তি...
‘দেখা’ ক্রিয়াপদটার আলোচনায় ফিরে গেলে: এক অর্থে দক্ষিণ এশীয় ভাষায় ‘বাংলা সাহিত্য দেখা’ বলতে বোঝাতে পারে সেই সাহিত্যের দর্শনলাভ করা, অর্থাৎ কারও ওপর দর্শন লাভের সহজাত উপকার কিংবা আনুকূল্য বর্ষিত হতে দেওয়া। আমাদের যাঁরা বাংলা সাহিত্য পড়েন, সে হিসেবে বলা যায়, তাঁরা সেটির দর্শন লাভ করছেন। যা-ই হোক, ‘দেখা’ বলতে নিশ্চিত করে ‘দর্শনলাভ’ বোঝায় না। ইংরেজি ভাষ্যে ‘to view as’ কিংবা ‘to view in a positive light’ অথবা ‘to view with a jaundiced eye’ বলতে সাধারণ অর্থে বোঝায় ‘বিশেষ দৃষ্টিতে’ কিংবা ‘ইতিবাচকভাবে’ অথবা ‘অস্পষ্ট দৃষ্টিতে দেখা’। অথচ ‘দর্শনলাভ করা’ বললে দৃষ্ট বিষয় তার অখণ্ডতা ধরে রাখে, অন্যদিকে দ্রষ্টার মধ্যে ঘটে পরিবর্তন (লাভবান হয়)। কারও ‘দৃষ্টিতে’ বললে হয় তার উল্টোটা। শেষোক্ত ক্ষেত্রে দৃষ্ট বিষয় সম্পর্কে নিজের সৃষ্ট মত অনুযায়ী ব্যাখ্যা দেন...
জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঋণের বোঝা, শোষণ ও করপোরেট লুটপাটের এক নয়া উপনিবেশিক ব্যবস্থা। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই। ঋণ নয়, অধিকার চাই। আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনসহ ২৪টি সংগঠন আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় অনুষ্ঠানে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। দাবিগুলো হলো-উন্নয়নের নামে ঋণ নির্ভরতার অবসান করা, দক্ষিণের দেশগুলোর ঋণ বাতিল করা, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ, এডিবি’র শর্তযুক্ত ঋণ বন্ধ করা, জলবায়ু অর্থায়নে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা, জনগণের সেবায় রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করা, কর ন্যায্যতা নিশ্চিত করা ও সম্পদের কর আরোপ করা ও বহুজাতিক করপোরেশনের কর ফাঁকি ও সম্পদ পাচার রোধ করা। কমরেড বদরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনের মোস্তফা আনোয়ার, জাহেদ ইকবাল খান, ফয়েজ হোসেন, লাভলি ইয়াসমিন প্রমুখ।...
জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে উপজীব্য করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আজ শুক্রবার ২৭ জুন উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে নাটক ‘আর কত দিন’ ও ‘অগ্নি শ্রাবণ’। সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ‘আর কত দিন’ নাটকটির মঞ্চায়ন হবে। কথাসাহিত্যিক জহির রায়হান-এর বিখ্যাত উপন্যাস ‘আর কত দিন’ অবলম্বনে ‘অন্তর্যাত্রা’র নতুন প্রযোজনা ‘আর কত দিন’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন খন্দকার রাকিবুল হক। একাডেমি সূত্র জানায়, বাঙালি কালে কালে অত্যাচারী শোষকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু ইতিহাস বলে সে লড়াই কখনও শেষ হয়নি। তাই বারবার মনে প্রশ্ন জাগে- আর কত দিন? প্রযোজনা সম্পর্কে নির্দেশক খন্দকার রাকিবুল হক বলেন, জহির রায়হান রচিত ‘আর কত দিন’ অভিব্যক্তিবাদী রচনা। মঞ্চ প্রয়োগ ভাবনা দুরূহ এবং সময়সাপেক্ষ। কিন্তু বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিপ্লব ও বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের...
অফট্রাকের সিনেমাতে প্রসেনজিৎ এবং শ্রাবন্তী দুইজনই আগে কাজ করেছেন এবার যুক্ত হলো দর্শনা বণিকের নাম। এই ত্রয়ীকে দেখা যাবে ‘দেবী চৌধুরানি’ সিনেমাতে। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি ‘দেবী চৌধুরানি’ এর আগে ছোট পর্দা ও বড় পর্দা দুই মাধ্যমেই এসেছে। এবার নতুন করে বড় পর্দায় আনছেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। সিনেমাটির শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, ২৬ জুন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তারই জন্মভিটায় সিনেমার প্রচারণা শুরু করে ‘দেবী চৌধুরানি’ টিম। আরো পড়ুন: আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল: কাজল শ্রাবন্তীকে নিয়ে সিনেমা বানাতে চান প্রাক্তন স্বামী রাজীব, যা বলেছেন শ্রাবন্তী ‘দেবী চৌধুরানি’ উপন্যাস অবলম্বনে প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনাদের নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করেছেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। এই সিনেমাতে ভবানী পাঠক চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ...
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মায়ার বাঁধন’ ছবিতে নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। পরে সেই শ্রাবন্তী হয়ে ওঠেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা। ২০২৩ সালে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবিতে শ্রাবন্তী হন প্রসেনজিতের নায়িকা। আবারও ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবিতে একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তী। যদিও এখানে তারা ঠিক নায়ক-নায়িকা নন। এই ছবিতে ‘ভবানী পাঠক’-এর ভূমিকায় দেখা যাবে বুম্বাদাকে। আর শ্রাবন্তী হচ্ছেন ‘দেবী চৌধুরানী’। এই সিনেমাটি নির্মাণ হয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসের অবলম্বনে। আজ সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ চমক দিলেন ‘দেবী চৌধুরানী’র কলাকুশলীরা। বিশেষ এই দিনে নৈহাটি কাঁঠালপাড়ায় বঙ্কিমচন্দ্রের বাসভবনে আলোচনা সভা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনা বণিক, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়রা। পরে সংবাদ সম্মেলনে অভিনেতা প্রসেনজিৎ জানালেন, ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমাটি ২০২৫ সালে...
কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে আরও একবার নতুনভাবে শুরু হয়েছে জল্পনা। তিনি নিজে থেকে দল ছাড়বেন, নাকি দল তাঁকে বহিষ্কার করবে, আলোচনার কেন্দ্রে এ দুই সম্ভাবনা। এ বিতর্ক কেরালার এই বিদগ্ধ সংসদ সদস্য নিজেই আবাহন করেছেন।কেরালার নিলাম্বুর বিধানসভা কেন্দ্রের সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বামফ্রন্টের প্রার্থীকে হারিয়ে কংগ্রেসের জয়ী হওয়ার দিনেই সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুতে শশী থারুর ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই নিবন্ধে তিনি লেখেন, ‘উদ্যম, সক্রিয়তা ও কোনো বিষয়ে সবার সঙ্গে জড়িত থাকার ইচ্ছা—প্রধানমন্ত্রীর এই তিন গুণ বৈশ্বিক মঞ্চে ভারতের মূল সম্পদ। তাই তিনি আরও বেশি সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।’পেহেলগাম–কাণ্ডের পর অপারেশন সিঁদুরের প্রয়োজনীয়তা ও সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের চরিত্র বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন দেশে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধদল পাঠিয়েছিলেন। একটি দলের নেতা করা হয়েছিল কেরালার তিরুবনন্তপুরম থেকে...
২৫ জুন ১৯০৩, ব্রিটিশ ভারতের মোতিহারিতে জন্ম নেন এরিক আর্থার ব্লেয়ার—যিনি পরে বিশ্ববাসীর কাছে চিরপরিচিত হয়ে ওঠেন জর্জ অরওয়েল নামে। সাহসিকতা, স্বচ্ছতা ও নৈতিক দায়বদ্ধতার যে সাহিত্যিক উত্তরাধিকার তিনি রেখে গেছেন, তাঁর ১২২তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেই সত্যান্বেষী কলমসৈনিককে।অরওয়েলের শিক্ষা শুরু হয় ইংল্যান্ডের অভিজাত বিদ্যাপীঠে, কিন্তু কর্মজীবন শুরু হয় ব্রিটিশ উপনিবেশ বার্মায় একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে। সেখানেই তিনি প্রথম সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন সাম্রাজ্যবাদের নির্মম রূপ—ক্ষমতার নির্দয় প্রয়োগ, মানুষের অসম্মান আর শোষণের বিভীষিকা তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দেয় এবং একজন লেখক হিসেবে তাঁকে ঠেলে দেয় আত্মজিজ্ঞাসার পথে। এরপর স্পেনের গৃহযুদ্ধে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেন। সেখানে যুদ্ধের ময়দানে তিনি বুঝে যান, সত্য কেবল বন্দুকের মুখে হারায় না—হারায় প্রচারের ভাষায়, বিকৃত তথ্য আর বিভ্রান্তির কুয়াশায়।১৯৪৫ সালে প্রকাশিত ‘অ্যানিমেল ফার্ম’ ছিল তাঁর সাহিত্যিক...
দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর পাঞ্জাব ও গুজরাটে ঘুরে দাঁড়াল আম আদমি পার্টি (আপ)। ভারতের চার রাজ্যের পাঁচ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তারা দুটি আসন জিতল বিজেপি ও কংগ্রেসকে হারিয়ে। গুজরাটের বিষবদার বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে তাদের জয় যতটা কৃতিত্বের, ততটাই কৃতিত্বের পাঞ্জাবের লুধিয়ানা আসনটি ধরে রাখা।মাত্র কয়েক মাস আগে বিজেপির কাছে দিল্লির ক্ষমতা হারানো এবং একের পর এক দুর্নীতির মামলায় জেরবার আপকে হতোদ্যম মনে করা হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু গুজরাট ও পাঞ্জাবের দুটি আসন জয় সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করল। ওই দুই কেন্দ্রই অবশ্য আপের দখলে ছিল।গুজরাটে আপের মূল প্রতিপক্ষ ছিল বিজেপি। পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় কংগ্রেস। গত লোকসভা ভোটে আম আদমি পার্টি ইন্ডিয়া জোটের শরিক থাকলেও দিল্লি, গুজরাট ও পাঞ্জাবে তারা আলাদা...
ইসরায়েলের ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্তকে কোনো যুক্তি দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায় না। এই আক্রমণ ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের সামরিক নীতির সঙ্গেও সরাসরি সাংঘর্ষিক। এত দিন ধরে ইসরায়েলের সামরিক নীতির লক্ষ্য ছিল, স্বল্পকালীন, নিষ্পত্তিমূলক সামরিক অভিযানের মাধ্যমে সুস্পষ্ট কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করা। ইসরায়েলের এই সামরিক নীতির পেছনে কাজ করেছে দেশটির ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও জনমিতিক নাজুকতা।এখন আমরা দেখছি যে ইসরায়েল তার আগের নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছে। কৌশলগত বাস্তবতাকে পরিত্যাগ করে ইসরায়েল এখন একটি ধর্মচালিত যুদ্ধের পথে হাঁটছে, যে যুদ্ধের কোনো শেষ নেই।এই পরিবর্তন অত্যন্ত স্পষ্ট। পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট উপনিবেশবাদী প্রকল্প থেকে ইসরায়েল এখন ধর্মীয় ত্রাতাবাদী উপনিবেশিক শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পথ খুঁজছে। আর এই প্রকল্পের অস্তিত্ব নির্ভর করছে চিরস্থায়ী যুদ্ধের ওপর। যুদ্ধের যুক্তিতে ক্রমবর্ধমানভাবে ধর্মীয় ভাষার ব্যবহার এবং সৃষ্টিকর্তাকে পক্ষ হিসেবে বারবার টেনে আনা, সেই কাঠামোগত...
আমরা আর তরুণ নই। ঝড়ের বেগে পৃথিবীকে দখল করতে চাই না আর। পালাচ্ছি আমরা। পালাচ্ছি নিজেদের কাছ থেকে, নিজেদের জীবনের কাছ থেকে। বয়স ছিল আঠারো, ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম জীবন ও পৃথিবীকে, তারপরও সেই জীবন ও পৃথিবীকেই গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিতে হলো আমাদের।—অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট১৯৩০ সালের ৫ ডিসেম্বর। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এক হলিউডি চলচ্চিত্র দেখার জন্য বার্লিনের মোজার্ট হলে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য দর্শক। কিন্তু ছবি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নাৎসি পার্টির সমর্থক দেড় শ তরুণ এসে ঢুকল হলে, তাদের নেতৃত্বে জোসেফ গোয়েবলস, ৩৩ বছর বয়সী উগ্রবাদী এক হিটলার সমর্থক। ইহুদিবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে হলের ভেতর দুর্গন্ধ ছড়ানো স্টিংক বোমা নিক্ষেপ করল তারা, শুঁকলেই হাঁচি আসে এমন পাউডার ছড়াল, সিনেমা হলে ছেড়ে দিল সাদা ইঁদুর। রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড বাধল প্রেক্ষাগৃহের...
নির্জন দুপুর পেরিয়ে বৃষ্টিস্নাত বিকেলে চন্দ্রিমা উদ্যানে জমে উঠেছিল তারুণ্যের এক অনন্য মিলনমেলা। নগরের ব্যস্ততার বাইরে সবুজ ছায়াঘেরা পরিবেশে, বকুল গাছের তলায় বসেছিল তরুণ লেখকদের বৈঠক। শুক্রবার (২০ জুন) বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম (বিটিসিএলএফ) এর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ঢাকাস্থ সদস্যদের ‘ইছামতী টিম’ আয়োজন করে এই দ্বি-মাসিক সাহিত্য আড্ডার। সাহিত্য আড্ডায় অংশ নেন সংগঠনের নিয়মিত সদস্য ও আমন্ত্রিত তরুণ লেখকরা। আড্ডার শুরুতে পরিচয়পর্ব এবং লেখালেখি সংক্রান্ত আপডেট বিনিময়ের মধ্য দিয়ে জমে ওঠে আলোচনা। আরো পড়ুন: ‘পার’ এর সাহিত্য আলোচনা-‘বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি; শিল্পী, লেখকদের ‘একবার নারী হন, হে প্রভু’ এরপর শাখার উপদেষ্টা লাইজু আক্তার ‘কেন লেখালেখি করব’ শীর্ষক একটি প্রাঞ্জল, অনুপ্রেরণামূলক আলোচনা উপস্থাপন করেন, যা তরুণদের ভাবনায় জাগায় নতুন ঢেউ। আড্ডায় জাপানি কথাসাহিত্যিক হারুকি...
সাতাশি বছর বয়সে আফ্রিকার বিশিষ্ট লেখক এবং নয়া-উপনিবেশবিরোধী চিন্তাবিদ নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো ২৮ মে পরলোকগমন করেছেন। পরিণত বয়সের এই মৃত্যুতে আক্ষেপের কিছু নেই। বরং সন্তুষ্টির কারণ রয়েছে যে একজন মানুষ হিসেবে তিনি পরিপূর্ণ একটি জীবন যাপন করে গেছেন। তিনি মূলত একজন লেখক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হলেও কিন্তু নানা কর্মকাণ্ডে জীবনকে পরিপূর্ণ করে তুলেছিলেন। নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো প্রসঙ্গে প্রথম কথা সম্ভবত এই যে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি। এ সূত্রে ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবারের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। তাঁর বাসার সামনে কয়েক ডজন সাংবাদিক ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয়েছেন। তারা জেনে গেছেন ওই বছর সাহিত্যের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা যাদের খুব বেশি, নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো তাদের মধ্য অগ্রগণ্য। সুইডেনের নোবেল একাডেমির স্থায়ী সচিব পিটার এঙ্গলুন্ড বিকাল পৌনে ৫টায় সংবাদ সম্মেলনে...
ষাটের দশকে নেদারল্যান্ডসের এক অপ্রত্যাশিত প্রেমের গল্প নিয়ে ইয়েল ভ্যানডার উওডেন লিখেছেন মাস্টারফুল রোমান্স উপন্যাস ‘দ্য সেফকিপ’। রোমান্টিক এবং পারিবারিক গল্পে সাজানো উপন্যাসটি জিতে নিল এবারের ‘উইমেন প্রাইজ ফর ফিকশন’। গত বছর বুকার পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল আলোচিত উপন্যাসটি। বিচারকরা বইটিকে ‘একটি আশ্চর্যজনক আত্মপ্রকাশ; ইতিহাস, সাসপেন্স এবং ঐতিহাসিক সত্যতার একটি দুর্দান্ত সংমিশ্রণ’ বলে অভিহিত করেছেন। ১২ জুন লন্ডনে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩০তম উইমেন্স প্রাইজ ফর ফিকশন বিজয়ী লেখকের নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার হিসেবে ৩৮ বছর বয়সী ডাচ এই লেখক পেয়েছেন ৩০ হাজার পাউন্ড। অর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি বিজয়ীকে দেওয়া হয় শিল্পী গ্রিজেল নিভেনের তৈরি ‘বেসি’ নামে একটি ব্রোঞ্জের আবক্ষ মূর্তিও। উপন্যাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ডাচ ইহুদিদের প্রতি কী রকম আচরণ করা হতো তার বর্ণনা রয়েছে। এ ছাড়া...
বাংলা ভাষার জনপ্রিয় সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায় মারা গেলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে কলকাতার একটি হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন প্রফুল্ল রায়। তবে গত কয়েক মাসে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি ক্রমেই সংকটজনক হয়ে উঠলে তাঁকে কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল।স্বাধীনতাপূর্ব অবিভক্ত বাংলার ঢাকায় ১৯৩৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্ম প্রফুল্ল রায়ের। ঢাকায় কেটেছে শৈশব। দেশভাগের পর ১৯৫০ সালে চলে আসেন ভারতে। দেশভাগের যন্ত্রণা, উদ্বাস্তুদের কথা তাঁর লেখায় মূর্ত হয়ে উঠেছিল। দেশভাগ থেকে স্বাধীনতাসংগ্রাম, সাক্ষী থেকেছেন অনেক ঘটনার। লেখায় সেসব প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বারবার ফুটে উঠেছে।‘কেয়াপাতার নৌকো’র স্রষ্টা প্রফুল্ল রায়ের বাংলা সাহিত্যে অবদান অনস্বীকার্য। ‘কেয়াপাতার নৌকো’ ছাড়াও ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’, ‘নোনা...
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এই আদেশ দেন।যে ১৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের, খায়েরের স্ত্রী কাজি সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাতবর, কালামের স্ত্রী কনিকা আফরোজ, কালামের ছেলে মোহাম্মদ বাশার ও সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ুন কবির ও তানভীর নিজাম।দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে, সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়েরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। সরকারি বিধিবিধান ও শেয়ারবাজারের আইন লঙ্ঘন করে...
১. ‘দিবসহী বহুড়ী কাউহি ডর ভাই। রাতি ভইলে কামরু জাই’ পদটি—ক. শবরপা-২৮ নম্বরখ. কুক্কুরীপা-২ নম্বরগ. ঢেগুণপা-৩৩ নম্বরঘ. ভুসুকুপা-২৩ নম্বর২. কে প্রাচীনযুগের কবি নন?ক. মহীধরপাখ. কম্বলাম্বরপাগ. কঙ্কপাঘ. আর্যদেবপা৩. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদে পদসংখ্যা কত?ক. ৪৬খ. ৫০গ. ৫১ঘ. ২৫৪. চর্যাপদের ২৩ নম্বর খণ্ডিত পদে কয়টি পদ পাওয়া যায়নি?ক. ৪টিখ. ২টিগ. ৩টিঘ. ৫টি৫. ‘বিদ্যাসুন্দর’ কোন মঙ্গলকাব্যের চরিত্র?ক. ধর্মমঙ্গলখ. অন্নদামঙ্গলগ. চণ্ডীমঙ্গলঘ. মনসামঙ্গল৬. মনসামঙ্গলের (সুস্পষ্ট সাল–তারিখসহ) প্রথম রচয়িতা কে?ক. বিপ্রদাস পিপিলাইখ. বিজয় গুপ্তগ. কানা হরিদত্তঘ. মুরারী শীল৭. ‘ঈষত হাসির তরঙ্গ-হিল্লোলে, মদন মুরুছা পায়’–এর রচয়িতা কে?ক. বিদ্যাপতিখ. গোবিন্দদাসগ. মুকুন্দদাসঘ. কানাহরি দত্ত৮. ‘আমীর হামজা’ কাব্যের রচয়িতা কে?ক. গোপী নাথখ. শেখ ফয়জুল্লাহগ. ফকির গরীবুল্লাহঘ. সাবিরিদ খান৯. বাংলাদেশের সংগৃহীত গীতিকা সাধারণত কয় ধরনের?ক. ৪খ. ২গ. ৩ঘ. ৬১০. কবি আলাওল কোন শতকের কবি?ক. সপ্তদশখ. অষ্টদশগ. ষোড়শঘ. পঞ্চদশ১১. ‘নন্দকিশোর’ চরিত্রটি...
গুপ্তচরবৃত্তি এমন এক পেশা- যে পেশার মানুষ ছদ্মবেশ ধারণ করেন। কখনও কখনও প্রতারণার আশ্রয় নেন। আবার কোনো কোনো গুপ্তচর কাজের প্রয়োজনে নিজের ধর্ম পর্যন্ত পরিবর্তন করে ফেলেন। ইউরোপীয় এক গুপ্তচর মক্কায় ঢুকে প্রয়োজনীয় তথ্য তার দেশে পাঠানোর জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এবং ইসলাম সম্পর্কে বিস্তর পড়াশোনা করেছিলেন। এই গুপ্তচরের নাম ক্রিশ্চিয়ান সনুক হারখ্রোনয়ে। ১৮৮৪ সালের ২৮শে আগস্ট সনুক জেদ্দায় পৌঁছান। তার দায়িত্ব ছিলো মক্কা সফরে যাওয়া ইন্দোনেশিয়ার আচেহ অঞ্চলের যাত্রীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা। কারণ ইন্দোনেশিয়া ছিল ডাচদের সবচেয়ে বড় উপনিবেশ। আর সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের মাঝে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল ডাচ উপনিবেশ। ডাচরা তাদের উপনিবেশ বিস্তারে বাণিজ্য ও সমুদ্রপথকে সব সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতো। সেই সময় ডাচ সরকার একটা আশঙ্কায় ভুগছিল। তাদের...
সম্প্রতি ২০২৫ সালের পুলিৎজার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই সাংবাদিকতার বিভিন্ন শাখার সঙ্গে সাহিত্যেরও কয়েকটি শাখায় পুরস্কার পেয়েছেন কয়েকজন সাহিত্যিক। কথাসাহিত্য, নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা ও জীবনীগ্রন্থের জন্য পুরস্কারের ভূষিত হয়েছেন সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ লেখক-সাহিত্যকরা। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক কথাসাহিত্যিক পার্সিভাল এভারেটের উপন্যাস ‘জেমস’ পেয়েছেন কথাসাহিত্যের পুলিৎজার। ২০২৪ সালে প্রকাশ করা এই উপন্যাস মূলত সাজানো হয়েছে মার্ক টোয়েনের ‘দি অ্যাডভেঞ্চারস অব হাকলবেরি ফিন’–এর ওপর। হাকলবেরির বন্ধু পালিয়ে আসা ক্রীতদাস জিমের দৃষ্টিভঙ্গিতে বয়ান করা হয়েছে এ উপন্যাসের মূল গল্প। নাটকে পুরস্কার পেয়েছেন ব্রান্ডন জ্যাকবস জেনকিন্স। তাঁর নাটকের নাম ‘পারপাজ’। ২০২৩-২৪ সালে শিকাগোর স্টেপেনউলফ থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয় ‘পারপাজ’। মূলত কাল্পনিক শিকাগোভিত্তিক আফ্রিকান-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ জেসপার পরিবারকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে নাটকের কাহিনি। কবিতায় পুলিৎজার পেয়েছেন মেরি হো। তাঁর কবিতার বইয়ের নাম...
পুরো মঞ্চজুড়ে যুদ্ধের ভয়াবহতা। যুদ্ধের পোশাক পরা অস্ত্র হাতে সৈনিকদের যুদ্ধমহড়া। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় শুরু হয়েছে নাটক ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’। এরিখ মারিয়া রেমার্কের কালজয়ী উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছেন রুনা কাঞ্চন, আর নির্দেশক বাকার বকুল। নাটক প্রযোজনা করেছে তাড়ুয়া। আমরা একটি যুদ্ধবিরোধী পৃথিবী চেয়েছিলাম। হানাহানিমুক্ত দেশ চেয়েছিলাম। আমাদের চাওয়াকে অবজ্ঞা করেছেন বিশ্বনেতারা। তারা দেশে দেশে যুদ্ধ বাঁধিয়ে রেখেছেন। ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, চীন, ভারত, উত্তর আমেরিকা মিলে বিশাল ভূখ- নিয়ে পৃথিবীতে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সেই যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে এরিখ মারিয়া রেমার্ক লিখলেন উপন্যাস ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’। উপন্যাসের বর্ণনা থেকে যুদ্ধের সেই নির্মমতা, ভয়াবহতা আর বীভৎসতা অত্যন্ত নিপুণভাবে উঠে এসেছে এই নাটকে। যেখানে সৈনিকরা নিজেরা নিজেদের প্রশ্ন করে, যুদ্ধটা আসলে কেন বাঁধে, কারা বাঁধিয়ে রাখে!...
ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক, গোয়েন্দা থ্রিলার লেখক ফ্রেডেরিক ফোরসাইথ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। ফ্রেডেরিক ফোরসাইথের মুখপাত্র জনাথন লয়েড এর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও দ্য গর্ডিয়ান জানায়, ফোরসাইথ সোমবার (৯ জুন) বাকিংহামশায়ারের জর্ডানস গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যান। জনাথন লয়েড বলেন, “আমরা বিশ্বের সেরা থ্রিলার লেখকদের একজনকে হারালাম। ‘দ্য ওডেসা ফাইল’ এবং ‘দ্য ডগস অব ওয়ার’-এর মতো ২৫টিরও বেশি বই (যার অধিকাংশ বই থ্রিলার) লিখেছেন তিনি, যা বিশ্বজুড়ে ৭৫ মিলিয়নেরও বেশি বিক্রি হয়েছে।” আরো পড়ুন: আসছে অরুন্ধতী রায়ের নতুন বই ‘মাদার মেরি কামস টু মি’ নোবেলজয়ী লেখক হান ক্যাং এর সাহিত্য নিয়ে কালির বৈঠক ফ্রেডেরিক ফোরসাইথ সর্বাধিক বিক্রিত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক। ফোরসাইথ একসময় সংবাদ প্রতিবেদক এবং যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই সিক্সের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ...
সর্বাধিক বিক্রীত ব্রিটিশ উপন্যাসের রচয়িতা ফ্রেডেরিক ফোরসাইথ মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি প্রায় ২০টি গোয়েন্দা থ্রিলারের লেখক। ফোরসাইথ একসময় সংবাদ প্রতিবেদক এবং যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই সিক্সের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। পরে তিনি ‘দ্য ডে অব দ্য জ্যাকেল’-এর মতো বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস রচনা করেন। মুখপাত্র জনাথন লয়েড জানান, ফোরসাইথ গতকাল সোমবার বাকিংহামশায়ারের জর্ডানস গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। লয়েড বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা থ্রিলার লেখকের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’ঋণমুক্ত হওয়ার জন্য উপন্যাস লেখা শুরু করেছিলেন ফোরসাইথ। তখন তাঁর বয়স ছিল সবে ত্রিশের কোঠায়। পরে তাঁর লেখা বইয়ের ৭ কোটি ৫০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়।২০১৫ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনীতে ফোরসাইথ লিখেছিলেন, ‘দ্রুত অর্থ উপার্জনের অনেক উপায় আছে, কিন্তু সাধারণ তালিকায় উপন্যাস লেখার অবস্থান ব্যাংক ডাকাতির চেয়েও নিচে।’ফোরসাইথ মাত্র ৩৫...
১৯৭১ সালে প্রকাশিত ফ্রেডারিক ফর্সাইথের দ্য ডে অব দ্য জ্যাকেল উপন্যাসটি শুরু হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট শার্ল দ্য গলকে হত্যার ষড়যন্ত্রের কাহিনি দিয়ে। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁরা ‘পিয়ে-নোয়া’ (পিয়ে অর্থ কালো, নোয়া অর্থ পা) নামে পরিচিত। আলজেরিয়া যখন ফ্রান্সের উপনিবেশ, তখন দেশটিতে জন্ম নেওয়া ফরাসিদের এই নামে ডাকা হতো।পিয়ে-নোয়ারা চাইতেন না, শার্ল দ্য গল আলজেরিয়া ছেড়ে যাক। তাঁরা এটিকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে করতেন। সাবেক উপনিবেশে থাকতে না পেরে তাঁরা হতাশ, হীনবল ও চরম সহিংস হয়ে ফ্রান্সে ফেরত এসেছিলেন। পিয়ে-নোয়ারা নিজেদের ফরাসিদের চেয়ে বেশি ফরাসি বলে ভাবতেন।এই উপন্যাসের আকর্ষণীয় জায়গা হলো, বাস্তব ইতিহাসের সঙ্গে কাহিনির মিল আছে। ষাটের দশকে দ্য গলকে অন্তত ছয়বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিল। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন ফরাসি রেভানচিস্টরা (হারানো দেশ ফিরে পেতে আগ্রহী জাতীয়তাবাদী)।...
নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো নাচতে ভালোবাসতেন। সবকিছুর চেয়ে, এমনকি লেখালেখির চেয়ে তিনি নাচ বেশি পছন্দ করতেন।আশির কোঠায় তাঁর বয়স পৌঁছালে কিডনিজনিত অসুখে তাঁর শরীর যখন শ্লথ হয়ে যায়, তখনো তিনি নিছক গান শুনলেই উঠে দাঁলেড়িয়ে নাচতে শুরু করতেন। ছন্দ তাঁর পায়ে যেভাবে খেলত, শব্দও তেমনি হাতে খেলত, আর তা কাগজে লিখে চলত। নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গোকে আমি মনে রাখব একজন নাচের মানুষ হিসেবে। গত ২৮ মে ৮৭ বছর বয়সে তিনি চলে গেলেন অনন্তলোকে।নগুগি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন তাঁর মহান সাহিত্য–ঐতিহ্য দিয়ে। তাঁর সাহিত্য ছিল উদ্ভাবনী শৈলীতে অভিনব আর মৌলিক সমালোচনায় ঋদ্ধ। তাঁর এই সাহিত্য–ঐতিহ্য আমাদের আনন্দের সঙ্গে উৎসাহিত করে আরও ভালো কিছু করার জন্য, আরও সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। আমাদের সমাজগুলোর ভিত গড়ে দেওয়া ঔপনিবেশিক কাঠামোর বিরুদ্ধে আমরা যাঁরা লেখক, কর্মী,...
একজন প্রেসিডেন্টের স্বামীকে যখন হত্যা মামলায় বিচারের মুখোমুখি হতে হয়, তখন কী কী ঘটে? সদ্য প্রকাশিত রোমাঞ্চকর উপন্যাস ‘দ্য ফার্স্ট জেন্টেলম্যান’–এ সে গল্পই উঠে এসেছে।উপন্যাসটির দুই লেখক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় থাকা একাধিক বইয়ের লেখক জেমস প্যাটারসন।ক্লিনটন ও প্যাটারসন দুজন উপন্যাসটি নিয়ে বিবিসির সঙ্গে আড্ডায় মেতেছিলেন, কথা বলেছেন বাস্তব রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও কল্পনার মিশেলে লেখা উপন্যাসটির নানা বিষয় নিয়ে।তবে ‘দ্য ফার্স্ট জেন্টেলম্যান’ কেবল একটি আদালতকেন্দ্রিক নাটকীয় উপন্যাস নয়, বরং এটি সম্ভবত ইতিহাসের প্রথম রোমাঞ্চকর উপন্যাস, যার মূল কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ ও ব্যয়ের ওপর একটি বৃহৎ রাজনৈতিক বিতর্ক।‘দ্য ফার্স্ট জেন্টেলম্যান’ এমন একটি উপন্যাস, যা কেবল বিল ক্লিনটন ও জেমস প্যাটারসনের মতো অভিজ্ঞ ও প্রভাবশালী জুটিই লিখতে পারেন।এর আগে ২০১৮ সালে এই জুটির লেখা ‘দ্য...
আপনি কোনো ভবনের দিকে তাকালে তার দেয়াল, জানালা আর সাজসজ্জা দেখতে পান। কিন্তু যে গোপন কাঠামো সবকিছু ধরে রেখেছে, তা দেখা যায় না। তবে ভূমিকম্পের সময় বা দীর্ঘদিনের চাপের পর হঠাৎ করেই সেই অদৃশ্য কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে।ঠিক এ রকমই অবস্থা অনেক উন্নয়নশীল দেশের রাজনৈতিক কাঠামোর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, সেগুলো বাইরে থেকে শক্ত মনে হলেও ভেতরে খুবই ভঙ্গুর।১৬৫১ সালে ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধের সহিংসতায় প্রভাবিত হয়ে দার্শনিক টমাস হবস বলেছিলেন, সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হলে এক ‘লিভায়াথান’ দরকার। অর্থাৎ এমন একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র দরকার, যা বিশৃঙ্খলা দমন করে সুশাসন কায়েম করতে পারবে। তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, যদি শক্তিশালী সরকার না থাকে, তবে মানুষের জীবন হবে ‘একাকী, দরিদ্র, কদর্য, হিংস্র ও সংক্ষিপ্ত’।কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করেছে, শুধু লিভায়াথানের প্রয়োজন আছে...
গগনবিদারী চিৎকারে ভারী হয়ে আসে চারপাশ। সিন নদীর তীরে উত্তর ফ্রান্সের এক লোকালয়ে উঁচু পিলারে বেঁধে আগুনে পোড়ানো হচ্ছে তাঁকে। অভিযোগ, তিনি ডাইনি। শুধু একবার পুড়িয়েই ক্ষান্ত হয়নি। পরপর তিনবার পোড়ানো হয়। অবশেষে ছাই হয়ে গেল তাঁর পুরো শরীর। সেই ছাই ফেলে দেওয়া হলো ফ্রান্সের সিন নদীতে। তিনি আর কেউ নন, ফ্রান্সের বীর নারী জোয়ান অফ আর্ক।এই নারী স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর জন্মগ্রামের এক নদীতীরে বসে। ফ্রান্সের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর নারী জোয়ান অফ আর্ককে ১৪৩১ সালে এদিনে (৩০ মে) মাত্র ১৯ বছর বয়সে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়। ইংল্যান্ডের মানুষেরা উল্লাস করেছিল। আর ফরাসিদের হৃদয়ে হাহাকার। আর তাঁর সেই গোপন প্রেমিক তখন কী করছিল?তাঁকে পুড়িয়ে মারার কারণ, তিনি ‘ডাইনি’। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক। প্রায় ৭০টির মতো। তিনি অল্প বয়সে মদ্যপান...
নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো শুধু লেখকই নন, বিপ্লবীও। নিজের লেখায় গেঁথেছেন অন্তর্লীন দ্বন্দ্ব ও সংগ্রামী চেতনা। তাঁর সাহিত্যিক পরিচয় শুধু ঔপন্যাসিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তিনি একাধারে নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সমালোচক, সমাজ-রাজনৈতিক কর্মী এবং জাতীয়তাবাদী ও বিপ্লবী চেতনার ধারক। এই ভিন্ন ভিন্ন দিকগুলো একত্র হয়ে তাঁর ব্যক্তিত্ব ও কাজের মধ্যে উপনিবেশ–উত্তর ভাষারাজনীতি ও সাহিত্যিক প্রতিরোধের হাতিয়ার নির্মাণ করেছে। বন্দিজীবনে নৃশংসতার শিকার, আত্ম-পরিচয়ের সংকট, শোষণ ও শ্রমিকশ্রেণির অধিকারের প্রশ্ন কিংবা নব্য-উদারনীতির প্রভাব—এসব রাজনৈতিক বিষয়কে নগুগি তাঁর উপন্যাস, প্রবন্ধ ও তত্ত্বে হাজির করেছেন বৈপ্লবিক কণ্ঠে। তাঁর সাহিত্যের ভাষা প্রাণ পেয়েছে দ্বন্দ্ব তাত্ত্বিক চেতনায়। ২০২১ সালে এক সাক্ষাৎকারে নগুগি বলেন, ‘আমি সংগ্রামের কথা বলি—ডায়ালেকটিক্যাল সংগ্রাম, মার্ক্সের দ্বন্দ্বতত্ত্ব, হেগেলের দ্বন্দ্বতত্ত্ব।’ এই দ্বন্দ্ব তাত্ত্বিক চেতনা শুধু তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নয়, তাঁর সাহিত্যিক কাঠামো, ভাষা নির্বাচন ও চিন্তার পরিসরকেও...
কেনিয়ার ঔপন্যাসিক-প্রাবন্ধিক-নাট্যকার নগুগি থিয়োঙ্গো ছিলেন তার বাবার তৃতীয় স্ত্রীর পাঁচ সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। জন্ম ব্রিটিশ শাসিত কেনিয়ার কিয়াম্বু জেলার কামিরীথু গ্রামে। কেনিয়ায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে ১৯৬৩ সালে। বাবা থিয়োঙ্গো ওয়া নডুকু ছিলেন কৃষক, যিনি ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ ইম্পিরিয়াল এ্যাক্ট চালু হবার পর মেষপালক হতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯৬৩ সালে উগান্ডার কাম্পালার মাকিরিরি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে বিএ পাস করার পর নগুগি স্বল্প সময়ের জন্য নাইরোবিতে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। তার আগে ১৯৬১ সালে তিনি বিয়ে করেন। পরের বছর তার নাটক The Black Hermit কাম্পালায় মঞ্চস্থ হয়। এর দু’বছর পর তিনি ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঔপন্যাসিক হিসেবে নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গোর অভিষেক হয় ১৯৬৪ সালে Weep Not, Child উপন্যাসের মাধ্যমে। ইংল্যান্ডে প্রকাশিত কোনো পূর্ব-আফ্রিকানের লেখা এটাই প্রথম উপন্যাস।...
আজ ৩০ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। আজকের এই দিনে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চক্রান্তকারী সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন।প্রতিবছর এই দিন বাংলাদেশের জনগণের জন্য এক নতুন বার্তা, এক নতুন অর্থ বহন করে আনে। জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম থেকে এই দিনে বাংলাদেশের বিপর্যয়কবলিত জনগণ নবতর শিক্ষা গ্রহণ করে। আমার মতে, ছয় বছরের কম সময়ের শাসনকালে জিয়ার সবচেয়ে বড় কীর্তি হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি। এটি ছিল একটি বিশাল কর্ম, যদিও তা সম্পাদনের জন্য জিয়া খুব কম সময়ই পেয়েছিলেন।জিয়া যে চেতনার অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত করেছিলেন, তা আজও অম্লান। উপনিবেশোত্তর এশিয়া ও আফ্রিকার রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে আমরা অনেক জাতীয়তাবাদী নেতার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পরিচিত। সুকর্ণ, নাসের, বেনবেল্লা ও নক্রুমা তাঁদের নিজ নিজ দেশের উপনিবেশবাদবিরোধী সংগ্রামের ইতিহাসে বিশাল সব নাম। তাঁরা অনেকেই দীর্ঘদিন ক্ষমতায়...
আবেগঘন পরিবেশে, বন্ধু, স্বজন, সহকর্মী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতির মাধ্যমে মোড়ক উন্মোচন হলো প্রয়াত লেখক অভয় বিশ্বাস রচিত "আড্ডা" উপ্যনাসের। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকালে ৫ টায় আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের ৫ম তলায় এক্সপ্রেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আলোচনা, স্মৃতিচারণ, গান, আবৃত্তি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোড়ক উন্মোচন ও অভয় স্মরন সভা হয়। সাংস্কৃতিক সংগঠন বটতলার আয়োজনে ও রাকিবুল হাসান জেমস'র সঞ্চালনায় আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অভয় বিশ্বাসের মা রিনা বিশ্বাস, কবি মজিবুল হক কবীর, কবি আরিফ বুলবুল, সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রদীপ ঘোষ বাবু, কবি পলল পরাগ, বিশ্বজিৎ বসাক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বীসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগন। এ সময়ে লেখক অভয় বিশ্বাসকে স্মরন করে স্মৃতিচারণকালে এক আবেগ প্রবণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এবং প্রয়াত লেখকের উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন করতে পরে তার পরিবার, স্বজন, সহকর্মী ও বন্ধুরা আবেগাপ্লুত হয়ে...
মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রয়াত লেখক অভয় বিশ্বাস রচিত "আড্ডা" উপ্যনাসের মোড়ক উন্মোচন ও অভয় স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন বিকাল ৫ টায় আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের ৫ম তলায় এক্সপ্রেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আলোচনা, স্মৃতিচারণ, গান, আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হবে। সাংস্কৃতিক সংগঠন বটতলার আয়োজনে ও রাকিবুল হাসান জেমস'র সঞ্চালনায় আলোচক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন অভয় বিশ্বাসের মা রিনা বিশ্বাস, কবি মজিবুল হক কবীর, কবি আরিফ বুলবুল, সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রদীপ ঘোষ বাবু, কবি পলল পরাগ বিশ্বজিৎ বসাক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বীসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগন। প্রয়াত অভয় বিশ্বাস সংক্ষিপ্ত জীবনী : অভয় বিশ্বাস, জন্ম: ২৭ মে ১৯৮৫, বাংলা ১৩ জৈষ্ঠ ১৯৩২ বঙ্গাব্দ। গ্রাম: বন্দর থানার অর্ন্তগত ১নং ঢাকেশ্বরীতে। ছেলেবেলা তার শীতলক্ষা নদীর পাশে সবুজে ঘেরা ঢাকেশ্বরীতেই কাটে। শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি শুরু হয় ঢাকেশ্বরী মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে।...
আমাদের সবারই জানা, জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিমেল ফার্ম’ শুধু একটি কাল্পনিক কাহিনি নয়; এটি ইতিহাসের গহিনে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবের বাস্তবতা ও স্বৈরতন্ত্রের গঠন সম্পর্কে একটি গভীর রাজনৈতিক রূপক। ১৯৪৫ সালে যখন বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন এটি বলশেভিক বিপ্লব ও সোভিয়েত ইউনিয়নের স্তালিন যুগের ভীতিকর বাস্তবতার ব্যঙ্গাত্মক চিত্রায়ণ ছিল। আজও এই উপন্যাস পৃথিবীর নানা দেশে রাজনৈতিক বিপ্লব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের আশঙ্কাকে বুঝতে এক অমূল্য রোশনাই।বর্তমান বাংলাদেশে যেখানে অভ্যুত্থানের শক্তিগুলো নিজেদের মধ্যে সংঘাত ও বিভাজনে নিমজ্জিত, সেখানে ‘অ্যানিমেল ফার্ম’ আমাদের জন্য এক কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় আয়না। এটি স্মরণ করিয়ে দেয়, যেকোনো বিপ্লবের সত্যিকারের সাফল্য আসে আদর্শের প্রতি স্থিরতা ও নৈতিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে। ক্ষমতার লোভ ও স্বার্থপরতা যদি দমন না করা যায়, তবে নতুন ফ্যাসিবাদের উত্থান অবশ্যম্ভাবী।অরওয়েলের ‘অ্যানিমেল ফার্ম’ আমাদের আজও বলে,...
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আজ ২৫ মে (রোববার)। ১৩০৬ বঙ্গাব্দের এই দিনে (১১ জ্যৈষ্ঠ) অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে তিনি জন্মেছিলেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। নজরুলকে কেউ বলেন প্রেমের কবি, কেউ বলেন দ্রোহ আর বিদ্রোহের। কারো কাছে মানবতার কবি নজরুল, গান গেয়েছেন সাম্যের। প্রাণের কবি, গানের কবি-এমন নানা নামে ডাকে সাধারণ। গবেষকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কোনো গণ্ডি নয়, নজরুলের বিস্তৃতি সর্ব পরিসরে। সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, অনাচার, বৈষম্য, শোষণ ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে লিখেছেন অসংখ্য গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও গান। ১৯২২ সালে প্রকাশ করেন ধূমকেতু পত্রিকা। ’আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার জন্য নজরুলকে দেওয়া হয় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। মাত্র ২২ বছর ব্যাপ্তির লেখক জীবনে রচনা...
নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা উপন্যাস ‘সুলতানার স্বপ্ন’ আশা বাঁচিয়ে রাখে, স্বপ্ন দেখার শক্তি জোগায়। নারীবাদী চিন্তার সাংস্কৃতিক সংযোগে এই উপন্যাসের বৈশ্বিক গুরুত্বও রয়েছে। যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লিন্ডসে ক্যাথেরিন হোরনার সুলতানার স্বপ্ন সম্পর্কে এভাবেই নিজের ভাবনা তুলে ধরেন।আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত এক বিশেষ বক্তৃতায় লিন্ডসে হোরনার এসব কথা বলেন। সুলতানার স্বপ্ন (সুলতানা’স ড্রিম) উপন্যাসটি জাতিসংঘের শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর স্বীকৃতি লাভ করায় উদ্যাপনের অংশ হিসেবে এ আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।লিন্ডসে হোরনার সুলতানার স্বপ্ন উপন্যাসকে বিভিন্ন আঙ্গিকে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, পরিবর্তন যে সম্ভব, তা বিশ্বাস করতে সহায়তা করে এই উপন্যাস।লিন্ডসে হোরনার এ উপন্যাসটি দেখেছেন শরণার্থী সুরক্ষা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং মৃত্যুদণ্ডবিরোধিতা ও পুনর্বাসনব্যবস্থার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। তিনি বলেন, বেগম...
বানু মুশতাকের ছোটগল্প সংকলন ‘হার্ট ল্যাম্প’ ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার জিতে নিয়েছে। তিনি দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বাসিন্দা এবং কন্নড় ভাষার লেখক। হার্ট ল্যাম্প কন্নড় ভাষায় লেখা প্রথম বই, যা বিশ্ব সাহিত্যের দ্বিতীয় মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেল। কন্নড় থেকে বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন দীপা ভাস্তি।বানু মুশতাক একজন ‘গুরুতর অন্তর্দৃষ্টি’ সম্পন্ন নারী হিসেবে পরিচিত। তিনি ধর্মীয় রক্ষণশীলতার বিরোধিতা করেন এবং সামাজিক কাঠামোগত ধারণাগুলো ভাঙছেন। তার সাহিত্যকর্ম প্রান্তিক মানুষের জীবনের গতিপথকে চিহ্নিত করে এবং পাঠকদের দক্ষিণ ভারতের মুসলমান নারীদের সংগ্রাম ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। তিনি কর্নাটকের হাসান শহরের বাসিন্দা। একজন নারী হয়ে ‘প্রকাশ্যে উচিত কথা’ বলার জন্য তার নিজের সম্প্রদায়ের অনেকেই তাকে বর্জন করেছে। বানু মুশতাকের বয়স ৭৬ বছর এবং এই বয়সে তিনি সেসব গল্পই লিখতে চান, যেসব গল্প তার...
‘একবার নারী হও, হে প্রভু!’ খুব নাটকীয় শোনালেও আসলে এটি একটি গল্পের শিরোনাম। ‘হার্ট ল্যাম্প’ নামের যে গল্প সংকলনের জন্য কন্নড় ভাষার লেখক বানু মুশতাক এ বছর বুকার পুরস্কার পেলেন সেই সংকলনের শেষ গল্প এটি। একজন ভারতীয় মুসলিম নারীর বিবাহিত জীবনের গ্লানি আর বেদনার বয়ান স্বগতোক্তির আকারে লেখা এই গল্পে।বানু মুশতাকের গল্পের বিষয়বস্তু প্রধানত নারীর জীবন, বর্ণপ্রথা, ধর্মীয় গোঁড়ামি আর তার ফলে সৃষ্ট বঞ্চনা আর নিপীড়ন যা প্রতিনিয়ত নারীর মেধা আর সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে–সেসব মান্ধাতার আমলের প্রথার বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন সব সময়। ভারতীয় সমাজে মুসলিম আর নারী হওয়ার অর্থ দুইভাবে প্রান্তিক অবস্থান। ৭৭ বছর বয়সী এই লেখকের সারা জীবনের সংগ্রাম ছিল পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে এক নির্ভীক যোদ্ধা হিসেবে অত্যন্ত কঠিন। ভারতীয় ম্যাগাজিন দ্য উইকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে লেখক জানান তার...
আমি তখন আমার চতুর্থ ও পঞ্চম উপন্যাস লেখায় ব্যস্ত। লেখার ঘরটা ছিল এক ঘরোয়া জঙ্গল। চারদিকে ধুলা, হাতের লেখায় ভর্তি কাগজের পাহাড় আর থরহরি দুলে ওঠা ফাইলের স্তম্ভ। ২০০১ সালের বসন্তে আমি নতুন উদ্যমে একটি উপন্যাস লিখতে শুরু করলাম। এর আগে ঘরটিকে নিজের পছন্দমতো নিলাম সাজিয়ে। ছাদ পর্যন্ত বুকশেলফ, আর দুটি লেখার ডেস্ক, কৌণিক বসানো, ওই আমার মনপছন্দ আর কী। ঘরটা আমার আগের ঘরের চেয়েও ছোট ছিল (আমি সবসময় ছোট ঘরে লেখা পছন্দ করি, জানালার বাইরে তাকানোর সুযোগ আমি চাই না। দৃশ্য পেছনে রাখি), ফলে খুশিই ছিলাম। যারা বলতেন, এই তুমি এতো ছোট ঘরে লেখ কী করে? তাদের বলতাম– পুরোনো ট্রেনের আয়েশী নিদ্রামিতা কামরায় বসে লেখার মজা জানো ভাই? শুধু চেয়ার ঘুরিয়ে হাত বাড়ালেই প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়। বাম পাশের...
‘রেনেসাঁস ও রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থটি প্রবন্ধের। রেনেসাঁসের চেতনা নিয়ে প্রবন্ধ বা সাহিত্য অনেক রচিত হয়েছে। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রেনেসাঁস-চেতনা ধারণকে ঘিরে কিছু নিবিড় ভাবনা এ গ্রন্থের আলোচ্য। ১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অজিত চক্রবর্তীকে লেখা একটি চিঠিতে রেনেসাঁসের চেতনা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তার প্রকাশ ঘটে। তিনি ওই চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমাদের জন্য একটি মাত্র দেশ আছে– সে হচ্ছে বসুন্ধরা, একটি মাত্র নেশন আছে– সে হচ্ছে মানুষ।’ এখানে মানবসভ্যতার ঐক্যের সম্পর্ক ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন কবি। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পরাধীন দেশের মানুষ। রেনেসাঁসের আলো থেকে তাকে শিখতে হয়েছিল যে, শিক্ষা জনগণ এবং সংগঠন মানবমুক্তির জন্য কতটা জরুরি। এটা তিনি বিশ্বাস করতেন এমন নয়, মনেপ্রাণে ধারণও করতেন। সেই উপলব্ধি কবি প্রকাশ করেছেন। বইটি পাঠ করলে ইউরোপের রেনেসাঁসের রূপ পাওয়া যাবে; একই সঙ্গে ইউরোপের রেনেসাঁসের তুলনায় যে বাংলার রেনেসাঁস...
ফিলিস্তিনি তরুণ ঔপন্যাসিক ইয়াসমিন জাহের যুক্তরাজ্যের সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলান টমাস পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দ্য কয়েন’-এর জন্য তরুণ লেখক বিভাগে তিনি এই পুরস্কার পান। ১৯১৪ সালে যুক্তরাজ্যের সোয়ানসিতে জন্মগ্রহণকারী লেখক ডিলান টমাসের নামকরণে যাত্রা শুরু হয় এই পুরস্কারের। ডিলান ৩৯ বছর বয়সে মারা যান। কবির জীবনকালের সঙ্গে সংগতি রেখে প্রতিযোগী লেখকদের জন্য শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, তাদের বয়স যেন হয় ৩৯ বছরের মধ্যে। লেখকের জীবন ও কর্মকে সম্মান জানাতে সৃজনশীল তরুণ লেখকদের অনুপ্রেরণা জোগাতে আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারের অর্থমূল্য ত্রিশ হাজার পাউন্ড। ২০১০ সালে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত লেখকদের উন্মুক্ত পুরস্কারটি মূলত দ্বিবার্ষিকভাবে দেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে এটি একটি বার্ষিক পুরস্কারে পরিণত হয়। ইয়াসিন জাহের ১৫ মে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। বিচারকদের প্রধান নমিতা গোখেল বলেন,...
‘কর্ণাটকের সমাজ বাস্তবতাই আমাকে গড়ে তুলেছে’– বানু মুশতাক আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার ২০২৫ বিজয়ী ‘হার্ট ল্যাম্প’ গ্রন্থের ১২টি গল্পে বানু মুশতাক দক্ষভাবে তুলে ধরেছেন দক্ষিণ ভারতের মুসলিম নারীদের দৈনন্দিন জীবন ও অভিজ্ঞতা। ১৯৯০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কন্নড় ভাষায় প্রকাশিত এই গল্পগুলোতে বাস্তবের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে রসবোধ ছিল প্রশংসিত। পরিবার ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে নারীর দ্বন্দ্বের চিত্র যেমন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, তেমনি তা বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল বুকার সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেছে। এটি এমন একটি সংগ্রহ, যা বহু বছর পাঠকদের হৃদয়ে থাকবে। বুকার কর্তৃপক্ষের নেওয়া এই সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন শাহেরীন আরাফাত ১. ‘হার্ট ল্যাম্প’-এর পেছনের অনুপ্রেরণা এবং আমার লেখার ধরন বানু মুশতাক: আমার গল্পগুলো নারীদের সম্পর্কে– কীভাবে ধর্ম, সমাজ ও রাজনীতি তাদের কাছ থেকে প্রশ্নাতীত আজ্ঞাবহতা দাবি করে; আর এভাবে অমানবিক...
এক দশকের মিডিয়া ক্যারিয়ার। সৌন্দর্য ও মেধার যোগসূত্র হলে যে ভালো কিছু হয়, তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন অনেক আগেই। রূপালি পর্দা ও ওটিটিতে নিজেকে তিনি তুলে ধরেছেন নানা অবয়বে। একটি সিনেমায় করেছেন বাজিমাত। এরপর রচিত হয় শুধুই এগিয়ে চলার গল্প। বলছি, নাজিফা তুষির কথা। নিজের কাজ নিয়ে বরাবরই প্রচারবিমুখ তিনি। বেশ বিরতির পর নতুন কাজের খবর দিলেন এই অভিনেত্রী। কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতারের ‘সখী রঙ্গমালা’ উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে নির্মিত সিনেমা ‘রঙ্গমালা। ওই সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। ২০২৩-২৪ সালে সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটি পরিচালনা করছেন এন রাশেদ চৌধুরী। অষ্টাদশ শতকের নোয়াখালীর এক জমিদার পরিবারের কাহিনি উঠে এসেছে সিনেমায়। এতে রঙ্গমালা চরিত্রে দেখা যাবে তুষিকে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এর প্রথম লটের দৃশ্যধারণ। নতুন সিনেমা নিয়ে তুষি বলেন, ‘পিরিয়ডিক্যাল কাজের প্রতি আমার এক...
১৮৮৫ সালের ২২ মে। এক বিকেলে প্যারিসের ফুটপাত ধরে মলিন পোশাকে হেঁটে যাচ্ছিলেন ভিক্টর হুগো। কোথাও যাওয়ার তাড়া ছিল না। উদ্দেশ্যহীন হাঁটছিলেন। সে সময় একটি মেয়ে তাকে দেখে দৌড়ে কাছে এসে বলল, কী আশ্চর্য! তোমাকে তো দেখতে একদম ভিক্টর হুগোর মতো লাগছে। আমি তো ভেবেছিলাম কোন কালে মরে গেছেন তিনি। মেয়েটির কথা শুনে ভয়ে কেঁপে উঠলেন হুগো। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এলেন এবং সে রাতেই তার মৃত্যু হয়।ভিক্টর হুগো মৃত্যু সম্পর্কে বলেছিলেন—যখন আমি কবরে যাই, তখন আমি বলতে পারি, অন্য অনেকের মতো, আমি আমার কাজ শেষ করেছি, কিন্তু আমি বলতে পারি না যে, আমি আমার জীবন শেষ করেছি। আমার দিনের কাজ পরের দিন সকালে শুরু হবে। আমার সমাধি কোনো অন্ধ গলি নয়। এটি একটি রাস্তা। কারণ হুগো নিজেই বলছেন, মনে হচ্ছে,...
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল জগৎ বিখ্যাত কিশোর উপন্যাস ‘পিটার প্যান’ স্রষ্টা জেমস ব্যারির সাথে ক্রিকেট খেলছেন, ‘প্রিজনার অফ জেন্ডা’র লেখক অ্যান্থনি হোপ তার সহ-খেলোয়াড় অথবা ‘দ্যা জঙ্গল বুক’ লেখক রুডিয়ার্ড কিপলিং এবং তিনি ভারমন্টের মাঠে গলফ খেলছেন—এই তথ্য জানলে আমাদের মনে হতেই পারে ডয়েলের পুরো জীবনটাই বোধহয় এমন আনন্দে পূর্ণ ছিল। তিনি ওই সময়ের শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের জন্য নাটক লিখছিলেন—থিওডর রুজভেল্ট, উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে নিয়মিত রাতের খাবার সারেন, প্রিন্স অফ ওয়েলস এক গেলাসের ইয়ার—এসব রূপকথার মতো শোনায়। সবার আগ্রহের কেন্দ্রে আসার আগে যাত্রাপথ কেমন ছিল তার?জেমস রায়ান, ডয়েলের সারা জীবনের বন্ধু তাকে বলতেন, ‘তুমি যে চিঠিতে তারিখ দাও না এজন্য জীবনীকাররা তোমায় অভিম্পাত দেবেন।’ তিনি একজন চিকিৎসক ছিলেন প্রথম জীবনে, খেলোয়াড় হিসেবে নাম করেছিলেন, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং অপরাধ দমনের প্রয়োজনীয়তার...
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’। ১৯৬৮ সালে সেই খ্যাতনামা উপন্যাস প্রকাশিত হয়। তার বছর দুয়েক বাদেই সুনীলের উপন্যাসের আধারে কালজয়ী সিনেমা তৈরি করেন সত্যজিৎ রায়। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে মূল কাহিনি এক রেখে উপন্যাসের চরিত্র এবং তাঁদের পারিপার্শ্বিক সম্পর্কের সমীকরণ নিজের মতো করে সাজিয়ে নেন মাণিকবাবু। পাঁচ দশক পেরলেও সত্যজিতের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ আজও সিনেমার অনন্য এক ব্যাকরণ। এবার সেই ছবিই প্রদর্শিত হচ্ছে কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সোমবার কানের স্থানীয় সময় ৪টা ৪৫ মিনিটে সিনেমাটি কান ক্লাসিকে প্রদার্শিত হবে। উৎসবের বুনোইল থিয়েটারে দর্শকরা অগ্রিম টিকিট কেটে দেখতে পারবেন সিনেমাটি। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শর্মিলা ঠাকুর, অপর্ণা সেন, রবি ঘোষ, শমিত ভঞ্জ, পাহাড়ি সান্যাল, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, কাবেরী বসু, সিমি গারিওয়ালদের মতো দক্ষ অভিনেতারা। জানা গেছে সিনেমাটির স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত থাকবেন শর্মিলা ঠাকুর। ভারতীয় ফিল্ম...
সাহিত্যিক মাহবুব–উল আলম (১৮৯৮-১৯৮১) বহুদিন ধরেই ইতিহাসে ঠাঁই নিয়েছেন, যদিও তাঁর সৃষ্ট সাহিত্য অন্তত আত্মজৈবনিক উপন্যাস মোমেনের জবানবন্দী (১৯৪৬), উপন্যাসিকা (অনেকের বিচারে বড় গল্প) মফিজন (১৯৪৬), স্মৃতিকথা পল্টনজীবনের স্মৃতি (১৯৪০) এবং কয়েকটি ছোটগল্প বহু সমালোচকের মতে কালোত্তীর্ণ রচনা। ইদানীং তাঁর বই দুষ্প্রাপ্য, কিছু বই পারিবারিকভাবে প্রকাশিত হলেও, তা বিতরণ-বিপণনে পিছিয়ে এবং তাই পাঠে ও আলোচনায় প্রায় অনুপস্থিত বললেই চলে। দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশ তার একজন শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পীকে ভুলেই থাকল।এ রকম একটা সময়ে তাঁকে নিয়ে গবেষক-প্রাবন্ধিক মোরশেদ শফিউল হাসানের চারটি প্রবন্ধের একটি সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। এই লেখক তাঁর বিভিন্ন লেখা ও বইয়ের মাধ্যমে ইতিমধ্যে সাহিত্যবিচারে নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি মাহবুব–উল আলমের দৌহিত্র হলেও অপক্ষপাত থেকেই নিঃসংশয়ে তাঁর সাহিত্যিক উচ্চতা এবং সেই সঙ্গে মোরশেদের তাঁকে বিচারের যোগ্যতা উভয় বিষয়েই গভীর আস্থা পোষণ করি।মোরশেদের...
১২ মে সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি জমকালো সান্ধ্য আয়োজনে ঘোষণা করা হয় ব্রিটিশ বুক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫। এ অনুষ্ঠানে কানাডিয়ান লেখিকা মার্গারেট অ্যাটউড ব্রিটিশ বুক অ্যাওয়ার্ডসের সম্মানজনক ফ্রিডম টু পাবলিশ পুরস্কার অর্জন করেন। স্বাধীন প্রকাশনার অধিকার রক্ষার জন্য লেখক, প্রকাশক এবং বই বিক্রেতাদের প্রচেষ্টা ও সংগ্রামকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য এ পুরস্কারটি দেওয়া হয়। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ফ্রিডম টু পাবলিশ পুরস্কারটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পুরস্কারজয়ী সাহিত্যিক মার্গারেট অ্যাটউড মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার অক্লান্ত একজন সংগ্রামী হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। অ্যাটউড লন্ডনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না; তিনি একটি ভিডিও বার্তায় পুরস্কার গ্রহণের বক্তব্য রেকর্ড করেছিলেন, যা দেখানো হয় তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করার সময়। কানাডিয়ান লেখিকা তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন এই বলে যে, তিনি এ পুরস্কার পেয়ে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছেন। যদিও একটু বিভ্রান্তও বটে। তিনি...
যুক্তরাজ্যের বার্ষিক সাহিত্য পুরস্কার ‘উইমেন্স প্রাইজ ফর ফিকশন ২০২৫’ -এর সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৪ মার্চ নারী কথাসাহিত্যিকদের জন্য দেওয়া এই পুরস্কারটির দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবার প্রকাশিত হলো এর সংক্ষিপ্ত রূপ। গত ২ এপ্রিল ৩০তম আসরের নির্বাচিত ৬টি উপন্যাসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ জুন বিজয়ী লেখকের নাম ঘোষণা করা হবে। পুরস্কার হিসেবে চূড়ান্ত বিজয়ী পাবেন ৩০ হাজার পাউন্ড। সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় আছে– আরিয়া আবেরের ‘গুড গার্ল’, মিরান্ডা জুলাইয়ের ‘অল ফোরস’, এলিজাবেথ স্ট্রাউটের টেল মি এভরিথিং, ভ্যান ডের উডেনের ‘ডের উডেন: দ্য সেফকিপ ইয়ায়েল’, নুসাইবাহ ইউনিসের ‘ফান্ডামেন্টালি’ এবং সানাম মাহলুদজির দ্য পারসিয়ানস’। যুক্তরাজ্যের সব নারী সাহিত্যিকের জন্য উন্মুক্ত হলেও ১ এপ্রিল ২০২৪ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৫ সালের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাসের গুরুত্ব অনুযায়ী গ্রন্থগুলো...