নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আবুল হোসেন বাহার (৪৫) নামে এক বিএনপি নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ি থেকে বাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই বাড়ির মৃত নূরু মিয়ার ছেলে। বাহার বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। 

 

আরো পড়ুন:

মাইকে ঘোষণা দিয়ে যুবদল নেতার চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

রাজশাহীর আবুল বাসার হত্যায় মামলা, ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

গ্রেপ্তারের সময় বাহারের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক ও একটি কার্তুজ জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী।

নোয়াখালী সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেন বাহারকে অস্ত্র-গুলিসহ আটক করা হয়। পরে তাকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েজন ব্যক্তি জানান, আবুল হোসেন বাহারের ছেলে বাঁধন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিতেন। সরকার পতনের পর বাঁধন বিদেশ চলে যান। বিদেশ যাওয়ার সময় সেই অস্ত্র তার বাবা আবুল হোসেন বাহারকে দিয়ে যান। পরে বাহার ছেলের দেওয়া অস্ত্র নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি শুরু করেন।

বসুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন বলেন, “আবুল হোসেন বাহার বসুরহাট পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বসুরহাট বাজারের কলেজ রোডে ওয়ার্কশপ ব্যবসা করেন। অস্ত্রসহ বাহারকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি শুনেছি। তিনি অস্ত্র কোথায় পেলেন তা জানি না।”

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, “পুলিশ বাদী হয়ে আবুল হোসেন বাহারের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে। আজ দুপুরের পর আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোপর্দ করা হবে।”

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে শেষ করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই মহড়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে।

শনিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন টাইগার শার্ক মহড়া। এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, টহল, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন, সাঁতার, ডুবসাঁতার এবং ক্লোজ কোয়ার্টারস কমব্যাটসহ বিভিন্ন সমন্বিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত) ট্রেসি জ্যাকবসন বলেন, ‘এই যৌথ সামরিক মহড়া নিরাপদ, শক্তিশালী ও আরও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বেরও প্রতীক।’

কৌশলগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি টাইগার শার্কে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ পরিকল্পনা সেশন এবং কৃত্রিম অনুশীলন পরিবেশে প্রশিক্ষণ। এসব কার্যক্রম ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গঠনে সহায়তা করা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম যুদ্ধ কমান্ড, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ