বন্দরের সালেহ নগর এলাকার হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীর হোসেন (৪৬) কে হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার  প্রধান আসামী জুয়েল ও তার সহযোগি মীর আকিব ইবনে রাতুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ। 

মঙ্গলবার দুপুরে সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত জেলা পিবিআইয়ের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ  সুপার  মোস্তফা  কামাল রাশেদ এই তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভিকটিম  আসামী জুয়েলের মোটরসাইকেল আটকে রাখায় পরিকল্পিত ভাবে জুয়েলের নির্দেশে একটি গ্যারেজের ভেতরে ধরে নিয়ে  হাতুড়ি ও লোহার এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আলমগীরকে। 

তিনি আরও জানান, আসামী জুয়েল বন্দরে মিনি গার্মেসেন্টের ব্যবসা করতো। পূর্বপরিচয়ের সুত্র ধরে জুয়েল ব্যবসার জন্য কয়েক দফায় আলমগীর হোসেন ও তার ছেলে মুন্নার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেয়। এই টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পাওনা টাকার জন্য এক সপ্তাহ আগে আলমগীর জুয়েলের ব্যবহৃত মোটররসাইকেল বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। 

এ নিয়ে গত ৩  অক্টোবর  বিকেলে জনৈক পারভেজের গ্যারেজে সালিশ বৈঠক বসলেও  আলমগীর সেখানে যায়নি। এতে ক্ষুব্দ হয়ে জুয়েলের নির্দেশে আসামীরা আলমগীর হোসেনকে রাস্তা থেকে ধরে পারভেজের গ্যারেজে নিয়ে যায়।

সেখানে জুয়েলের সঙ্গে আলমগীরের পাওনা টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে জুয়েল ও তার সহযোগিরা হাতুড়ি ও  লোহার এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে আলমগীরকে।  

খবর পেয়ে  তার স্বজনরা তাকে উদ্ধারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি  করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার অক্টোবর মারা যায় সে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কল্পনা বেগম বাদি হয়ে বন্দর থানায়  ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে  অজ্ঞাত আরো ৬ /৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।

পিবিআইয়ের এসপি বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদের সনাক্ত করার জন্য কাজ শুরু করে।

পিবিআই স্ব-উদ্যোগে মামলাটি অধিকগ্রহন করে মামলা রজু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রথামিক জিজ্ঞাসাবাদের  হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে আসামীরা। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ আলমগ র হ

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মারা গেছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু (৪৭) মারা গেছে। শিপলু চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ার মরহুম আব্দুল হকের ছেলে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকার ধানমণ্ডির একটি বাসভবনে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। তিনি তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়।

আরো পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাপের কামড়ে ৩ জনের মৃত্যু

বগুড়ায় ইছামতীর তীরে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু

শিপলুর মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন। 

সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে শিপলুর জানাজা শেষ রেলবাজার সংলগ্ন জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে দাফন করা হবে। 

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান কিশোর জানান, মির্জা শিপলু বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর)  চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় যান। চিকিৎসা শেষে কিছু মেডিকেল টেস্ট করার কথা ছিল। রাতে ছোট ভাইয়ের বাসভবনে একাই অবস্থান করছিলেন তিনি। রাত দেড়টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়। সকালে পরিবারের সদস্যরা অনেকবার ফোন কল করলেও তিনি রিসিভ করেছিলেন না। পরে তার ছোট ভাই রাতুল ও পরিবারের সদস্যরা ধানমণ্ডির বাসভবনের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার শোক বার্তায় বলেন, ‘‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে গভীরভাবে আস্থাশীল মরহুম মির্জা শিপলু চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী, গতিশীল ও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেছেন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় অংশ নেন।’’

মির্জা ফখরুল তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।  

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার বিশ্বকে আস্থা দিয়েছে, তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম: মির্জা ফখরুল
  • চুয়াডাঙ্গা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মারা গেছে
  • বন্দরে হোসিয়ারী কর্মী ও শ্রমিকদল নেতা আলমগীর হত্যার ঘটনায় মামলা
  • খাগড়াছড়ি ও গুইমারার সহিংসতার পেছনে ইউপিডিএফের উসকানি দায়ী: জেএসএস
  • ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত রাখতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে’