পাফের উপকরণ
ময়দা: ৩ কাপ
মাখন: ৩ টেবিল চামচ
চিনি: ১ টেবিল চামচ
লবণ: আধা চা-চামচ
ডিম: ১টি
পানি: পরিমাণমতো
স্টাফিংয়ের জন্যক্রিম চিজ: ১ কাপ
গাজরকুচি: আধা কাপ
ক্যাপসিকামকুচি: আধা কাপ
চিলি ফ্লেক্স: আধা চা-চামচ
কালো গোলমরিচ: আধা চা-চামচ
আরও পড়ুনমোরগ ভিন্দালুর রেসিপি০৬ অক্টোবর ২০২৫প্রণালিময়দার সঙ্গে সব উপকরণ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে পাফ ডো তৈরি করে নিন।
রুটি বেলে চারকোনা টুকরা করে দুই পাশ আটকে দিন।
কোনের মতো আকার করে নিতে হবে।
১৯০ ডিগ্রিতে ৩০ মিনিট বেক করে নেবেন।
স্টাফিংয়ের সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে রাখুন।
এবার তৈরি করা কোন পাফের ভেতর চিজের মিশ্রণ দিয়ে দিন।
পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুনচকলেট ওভালটিন কাপকেকের রেসিপি০৬ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জে বসেছে প্রতিমার হাট
শারদীয়া দূর্গাপূজার পর আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার এ দুইদিন অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীপূজা। প্রতি বছরের মত এ বছর কোঁজাগোড়ী পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করবেন হিন্দু ধর্মবলম্বীরা।
তাই প্রতিমা বিক্রি করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট। এসব হাট থেকে প্রতিমাসহ পূজার অনুসঙ্গীক উপকরণ কিনে নিচ্ছেন ভক্তরা।
আরো পড়ুন:
ছুটি শেষে জাবি শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ফেরা নিশ্চিতে কন্ট্রোল রুম চালু
চার দিনের ছুটি শেষে সচিবালয়ে প্রাণচাঞ্চল্য
জেলার বিভিন্ন হাটে ঘুরে জানা গেছে, লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে জেলার হিন্দু ধর্মবলম্বীদের বাড়িতে বাড়িতে মন্ডপ তৈরি করে লক্ষ্মী মুর্তি স্থাপন করা হবে। পরে আশ্বিন মাসের কোঁজাগোড়ী পূর্ণিমা তিথিতে ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মীপূজা করবেন হিন্দু ধর্মবলম্বীরা। ঢাক, ঢোল আর উলুধ্বনি মুখরিত হয়ে উঠবে প্রতিটি ঘর। আগামীকাল সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টা থেকে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা পযর্ন্ত চলবে শ্রী শ্রী লক্ষীপূজা।
এ পূজা উপলক্ষে শহরের খাটরা সার্বজনীন কালীবাড়িসহ সদর উপজেলার রুঘুনাথপুর, সাতপাড়, বৌলতলী, ভেন্নবাড়ি এবং কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার অন্তত ৫০টি স্থানে বসেছে লক্ষ্মী প্রতিমার হাট। একটি ছোট প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা এবং বড় প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে।
এসব হাটে শুধু প্রতিমাই নয়, পাওয়া যাচ্ছে পূজার অন্যান্য উপকরণও। সোলার ফুল, নৌকা, কলাগাছ, মালা, নলডুগলি লতা, হলুদগাছ, পদ্ম ফুলসহ বিভিন্ন উপকরণ বিক্রি হচ্ছে এ হাটে। তবে উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিমা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। লাভ তেমন একটা না হলেও বাপ-দাদার পেশা টিকিয়ে রাখছেন বলে জানান প্রতিমা বিক্রেতারা।
জেলা শহরের বাসিন্দা অমিতোষ ঘোষ বলেন, “এ বছর বাড়িতে লক্ষ্মীপূজা করব। তাই খাটরা সার্বজনীন কালীবাড়ি বসে হাটে লক্ষ্মী প্রতিমা কিনতে এসেছি। পছন্দমত প্রতিমাও কিনেছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর লক্ষ্মী প্রতিমার দাম অনেক বেশি। তারপরে মায়ের কৃপা পেতে পূজা করব।”
ক্রেতা কৃষ্ণ সাহা বলেন, “এ বছর লক্ষ্মীপূজা সোমবার ও মঙ্গলবার দুইদিন অনুষ্ঠিত হবে। তাই প্রতিমা কিনতে এখানে এসেছি। তবে ঘুরে দেখলাম প্রতিমার দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। যে প্রতিমার দাম ১০০ টাকার করে, তা এবার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারপরেও পছন্দ হলে প্রতিমা কিনে নিয়ে যাব।”
খাটরা সার্বজনীন কালীবাড়িতে প্রতিমা বিক্রি করতে আসা রমেশ পাল বলেন, “লক্ষ্মীপূজা এ বছর দুইদিন অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য ১ হাজার প্রতিমা নিয়ে হাটে এসেছি। ক্রেতারাও হাটে আসছেন, বিক্রিও ভালো। তবে প্রতিমা তৈরির মাটি থেকে শুরু করে রং ও অন্যন্য উপকরণের দাম বেশি। তাই প্রতিমার দাম একটু বেড়েছে। ক্রেতা বেশি হলে প্রতিমা বিক্রি করে লাভ করতে পারব।”
অপর বিক্রেতা সুনীল পাল বলেন, “আমরা এখন আর আগের মত লাভ করতে পারি না। যা লাভ হয়, তাই দিয়ে কোনো রকমে দিন চালিয়ে নেই। তারপরেও বাপ-দাদার পেশা ছাড়তে পারি না। এ পেশা টিকিয়ে রাখছি।”
বিক্রেতা সুমন বিশ্বাস বলেন, “এসব হাটে শুধু প্রতিমাই নয়, পাওয়া যাচ্ছে পূজার অন্যান্য উপকরণও। সোলার ফুল, নৌকা, কলাগাছ, মালা, নলডুগলি লতা, হলুদগাছ, পদ্ম ফুলসহ বিভিন্ন উপকরণ বিক্রি হচ্ছে। কলাগাছ ৫০ টাকা, একটি নৌকা ৫০ টাকা সোলার মালা ১৫০, নলডুগলি লতা ১০ থেকে ২০ টাকা, হলুদগাছ ২০ টাকা, পদ্ম ফুল ১০ দরে বিক্রি করা হচ্ছে।”
ঢাকা/মেহেদী