বিচারকের তালিকায় হ্যালি বেরি, পায়েল কাপাডিয়া
Published: 29th, April 2025 GMT
কান চলচ্চিত্র উৎসবে গত বছর গ্রাঁ প্রি জিতে নেয় ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’। সিনেমাটির নির্মাতা পায়েল কাপাডিয়া এবার মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক নির্বাচিত হয়েছেন। ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েত বিনোশের নেতৃত্বাধীন জুরি টিমে পায়েল ছাড়াও আছেন সাতজন। গত সোমবার রাতে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরিদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে কান কর্তৃপক্ষ।
বিচারকদের মধ্যে আছেন অভিনেত্রী হ্যালি বেরি। ‘মনস্টার বল’ দিয়ে অস্কার পাওয়া হ্যালি প্রথম আফ্রো-আমেরিকান নারী হিসেবে অস্কার পান। অভিনয় ছাড়াও সিনেমা প্রযোজনায়ও যুক্ত হ্যালি।
দক্ষিণ কোরীয় নির্মাতা হং সাং-সু। এএফপি ফাইল ছবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুরিয়াবানশি দেখে ফেললেন ক্রিকেট বাস্তবতা
গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই ৩৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সারা ক্রিকেট দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বৈভব সুরিয়াবানশি। অথচ পরের ম্যাচেই মুদ্রার ওপিঠ দেখে ফেললেন এই ১৪ বছর বয়সী কিশোর। বৃহস্পতিবার (১ মে) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে বাস্তবতার জমিতে আছড়ে পড়তে হল তাঁকে। রানের খাতা খুলার আগেই সাজঘরে সুরিয়াবানশি। এই বিধ্বংসী কিশোর ওপেনারের ব্যাট হাসল না, তার দল রাজস্থান রয়্যালসেও ছিটকে গেল প্লে’অফের দৌড় থেকে।
আইপিএল ৫০তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মুম্বাই ২ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রানের বিশাল পুঁজি পায়। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই দিশাহীন হয়ে পড়ে রাজস্থান। ২৩ বল আগে অল আউট হয়ে যাওয়ার আগে তাদের সংগ্রহ ছিল ১১৭ রান। ১০০ রানের বিশাল জয়ে টেবিলের চূড়ায় উঠে গেল মুম্বাই।
জয়পুরে ঘরের মাঠে টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রাজস্থান রয়্যালস। চোটের কারণে সন্দীপ শর্মা ছিলেন না। তবুও শুরুতে তাদের রাজস্থানের সিদ্ধান্ত সঠিক বলেই মনে হচ্ছিল। মুম্বাই ধীরগতির সূচনা পায়। এই সময়টায় রোহিত শর্মা রিভিউ নিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে যান। কিন্তু কয়েক ওভার পরই ওপেনাররা হাত খুলেতে থাকে এবং পাওয়ারপ্লে শেষে ৫৮ রান তোলে কোনো উইকেট না হারিয়ে।
আরো পড়ুন:
আইপিএলে ম্যাক্সওয়েল অধ্যায়ের ইতি, সুযোগ পাচ্ছেন নতুন মুখ
চেন্নাইয়ের ঘরে বিষাদের বাজনা, ধোনির চোখে বিদায়ের আভা
রায়ান রিকেলটনকে নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বজায় রাখেন রোহিত। তাদের জুটি শতরান তোলে ওভার প্রতি প্রায় ১০ গড়ে। দুজনেই ফিফটি পাওয়ার পর পরপর দুই ওভারে আউট হয়ে যায়। তারা যেখানে রেখে গিয়েছিলেন ঠিক সে জায়গা থেকে শুরু করেন সুরিয়াকুমার যাদব ও চার নাম্বারে নিজেকে উঠিয়ে আনা অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। দুজন মিলে ৪৪ বলে ৯৪ রান যোগ করেন।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ইনিংস শেষ করে ২১৭ রানে। রিকেলটন ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন। রোহিত করেন ৩৬ বলে ৫৩ রান। অন্যদিকে হার্দিক ও সুরিয়াকুমার যাদব দুজনই সমান ২৩ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
স্বাগতিক রাজস্থানের ইনিংস শুরুই হয় দুঃস্বপ্নের মতো। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সুরিয়াবানশি দ্বীপক চাহারের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন। বাদ পড়ার আশঙ্কায় থাকা রাজস্থানের ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক ছিল, ফলে চাহার, বোল্ট এবং বুমরার উইকেট পাওয়া সহজ হয়। মাত্র পাঁচ ওভারের মধ্যেই তারা প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান হারায়। যদিও রাজস্থান পাওয়ার’প্লে শেষে ৬২ রানে ছিল।
হার্দিক বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই তুলে নেন শুভম দুবের উইকেট। এরপর করন শর্মা আঘাত হানেন ধ্রুব জুরেলকে ফিরিয়ে। রাজস্থানের লোয়ার অর্ডার বিশেষ প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। কেবল জোফ্রা আর্চারের ৩০ রানের কল্যাণে দলীয় সংগ্রহ তিন অংকে পৌঁছায়। কারন ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন। যদিও মূল কাজ আগেই করে দিয়েছিলেন পেসাররা।
রাজস্থানের এখন আর সেরা চারে খেলার সুযোগ নেই। বাকি তিন ম্যাচে তারা হয়ত আগামী মৌসুমের প্রস্তুতি নিয়েই ভাববে। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে মুম্বাই। সেরা দুইয়ে থাকতে চাইলে অবশ্য তাদের জয়যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।
ঢাকা/নাভিদ