কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাখা, পলা পরে ছবি দিয়ে নেটিজেনদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন টলিউডের গুণী অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। কেননা, বাবা মায়ের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করে সংসার পেতেছিলেন নায়িকা, এক মেয়ের মা তিনি। কিন্তু সংসারটি টেকেনি। আলাদা থাকছেন তিনি। ডিভোর্সের মামলা ঝুলে আছে কোর্টে। নিজেকে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। অথচ বিয়ের চিহ্ন শাঁখা, পলা কিংবা সিঁদুরও পরেন তিনি।

এর কারণ জানিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এই নায়িকা বলেন, ‘‘আমিতো বিবাহীত, বিয়েটা আমার হয়েছে। এরপরে কি হয়েছে সেটা জানার দরকার নাই। আমাদেরতো শাস্ত্রমতে বিয়ে হয়, কিন্তু শাস্ত্রমতে ডিভোর্স হয় না।’’

স্বস্তিকা মুখার্জি

আরো পড়ুন:

পরম আমার চেয়ে বেশি উত্তেজিত: পিয়া

সত্যিই কি সালমান-শাবনূরের প্রেম ছিল, যা জানালেন ডন

যারা এই ধরনের প্রশ্ন করে স্বস্তিকা তাদেরকে ‘বলদ’ মনে করেন বলে জানান। স্বস্তিকার প্রশ্ন মেয়েকে একবার বিয়ে দেওয়া হলে, সেই মেয়ে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরলেও কি বাবার গোত্র পরিচয় ফিরে পায় কিনা।

স্বস্তিকা বলেন, ‘‘আমি আমার বাবাকে একবার প্রশ্ন করেছিলাম, সোশ্যাল ম্যারেজ যখন হয়, তখন এই যে বাবারা কন্যাদান করে দিলো। কিন্তু সেই বিয়েটা টিকলো না। সেই কন্যা বাড়ি ফিরে আসলো। তুমি কি শাস্ত্রমতে ফেরত নিচ্ছো কন্যাকে? তুমিতো আইনগতভাবে মেয়েকে ফেরত নিচ্ছো। তাহলে কন্যা কি ফেরত এলো, নাকি তুমি যে দান করে দিয়েছিলে সেই দানটাই রয়ে গেলো? আমি কি তখন আমার বাপের বাড়ির গোত্রটা ফেরত পাচ্ছি? শাস্ত্রমতে তো আমার ফেরত আসাটা হচ্ছে না।–বাবা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বেশিরভাগ সময় রেগে যেত।’’

উল্লেখ্য, মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন স্বস্তিকা মুখার্জি। বাবা-মায়ের পছন্দ করা পাত্র প্রমিত সেনকে। মাত্র দুই বছর টিকেছিল সেই সংসার। ২০০০ সাল থেকেই আলাদা থাকছেন তারা। তবে তাদের ডিভোর্সের মামলা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুক পোস্টে নিজের কার্টুন জুড়ে দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাইলেন তারেক রহমান

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান এই আহ্বান জানান। তিনি তাঁর পোস্টে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে মেহেদী হকের একটি কার্টুন জুড়ে দিয়েছেন। তারেক রহমানে পোস্টে আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৪৯ হাজার ‘রিঅ্যাকশন’ পড়েছে। শেয়ার ৭ হাজার ৪০০। মন্তব্য সাড়ে ৪ হাজার। মন্তব্যে অনেকেই তারেক রহমানের এই পোস্টের প্রশংসা করেছেন।

ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান বলেন, ‘এই বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আসুন আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সত্যনিষ্ঠ, নৈতিক দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করা সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।

‘সাংবাদিকেরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের কাজকে অবশ্যই রক্ষা ও গ্রহণ করতে হবে, কোনোভাবেই দমন বা সেন্সর করা যাবে না। তবে বাংলাদেশে আমরা সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসকের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দমনপীড়নের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পদ্ধতিগত অবক্ষয় দেখছি।

‘সেই অন্ধকার বছরগুলোয় অটল সাহস ও অঙ্গীকারের মাধ্যমে অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক গভীরভাবে প্রোথিত দুর্নীতি, মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন, আর্থসামাজিক ব্যর্থতার মতো বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছিলেন, যা রাষ্ট্র দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল। এই সাহসী সাংবাদিকেরা দেশের ভেতরে-বাইরে, মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সত্য অনুসন্ধানে অবিচল থেকেছেন। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য, মতপ্রকাশের মৌলিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার জন্য তাঁরা লড়েছেন।

‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এমন এক নতুন ধারার সাংবাদিকতা থেকে অনুপ্রেরণা নেয়, যা নৈতিকতা ও সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখে। আমরা নির্ভীক ও বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদনকে সম্মান করি, এমনকি যদি তা আমাদের এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না–ও হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করে। সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার সাংবাদিকতা রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে জনগণের সেবা করে।

‘যদি আমরা একটি শক্তিশালী ও টেকসই গণতন্ত্র পেতে চাই, তাহলে সাংবাদিকতার সততা ও স্বাধীনতা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। আসুন, আমরা সব বিভেদ এক পাশে সরিয়ে রেখে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার সবার জন্য গণমাধ্যমসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, আইনের শাসন নিশ্চিত করবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ