আমি বিবাহিত, বিয়েটা আমার হয়েছে: স্বস্তিকা
Published: 4th, May 2025 GMT
কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাখা, পলা পরে ছবি দিয়ে নেটিজেনদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন টলিউডের গুণী অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। কেননা, বাবা মায়ের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করে সংসার পেতেছিলেন নায়িকা, এক মেয়ের মা তিনি। কিন্তু সংসারটি টেকেনি। আলাদা থাকছেন তিনি। ডিভোর্সের মামলা ঝুলে আছে কোর্টে। নিজেকে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। অথচ বিয়ের চিহ্ন শাঁখা, পলা কিংবা সিঁদুরও পরেন তিনি।
এর কারণ জানিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এই নায়িকা বলেন, ‘‘আমিতো বিবাহীত, বিয়েটা আমার হয়েছে। এরপরে কি হয়েছে সেটা জানার দরকার নাই। আমাদেরতো শাস্ত্রমতে বিয়ে হয়, কিন্তু শাস্ত্রমতে ডিভোর্স হয় না।’’
স্বস্তিকা মুখার্জি
আরো পড়ুন:
পরম আমার চেয়ে বেশি উত্তেজিত: পিয়া
সত্যিই কি সালমান-শাবনূরের প্রেম ছিল, যা জানালেন ডন
যারা এই ধরনের প্রশ্ন করে স্বস্তিকা তাদেরকে ‘বলদ’ মনে করেন বলে জানান। স্বস্তিকার প্রশ্ন মেয়েকে একবার বিয়ে দেওয়া হলে, সেই মেয়ে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরলেও কি বাবার গোত্র পরিচয় ফিরে পায় কিনা।
স্বস্তিকা বলেন, ‘‘আমি আমার বাবাকে একবার প্রশ্ন করেছিলাম, সোশ্যাল ম্যারেজ যখন হয়, তখন এই যে বাবারা কন্যাদান করে দিলো। কিন্তু সেই বিয়েটা টিকলো না। সেই কন্যা বাড়ি ফিরে আসলো। তুমি কি শাস্ত্রমতে ফেরত নিচ্ছো কন্যাকে? তুমিতো আইনগতভাবে মেয়েকে ফেরত নিচ্ছো। তাহলে কন্যা কি ফেরত এলো, নাকি তুমি যে দান করে দিয়েছিলে সেই দানটাই রয়ে গেলো? আমি কি তখন আমার বাপের বাড়ির গোত্রটা ফেরত পাচ্ছি? শাস্ত্রমতে তো আমার ফেরত আসাটা হচ্ছে না।–বাবা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বেশিরভাগ সময় রেগে যেত।’’
উল্লেখ্য, মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন স্বস্তিকা মুখার্জি। বাবা-মায়ের পছন্দ করা পাত্র প্রমিত সেনকে। মাত্র দুই বছর টিকেছিল সেই সংসার। ২০০০ সাল থেকেই আলাদা থাকছেন তারা। তবে তাদের ডিভোর্সের মামলা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান, দূষণরোধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি বাংলাদেশের
প্রস্তাবিত ‘গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির’ সবশেষ খসড়া দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণরোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ পরিবেশ পরিষদের প্রস্তাব ৫/১৪ অনুসারে, প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে একটি আন্তর্জাতিকভাবে আইনি বাধ্যতামূলক চুক্তি প্রণয়নের ম্যান্ডেট রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট নেতৃত্ব মনে করছেন, খসড়াটি তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
গতকাল বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত প্লাস্টিক দূষণবিষয়ক আন্তসরকারি আলোচনাসভার (আইএনসি ৫.২) দ্বিতীয় পর্বে এই অবস্থান জানানো হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতে, খসড়াটি দুর্বল ও অপর্যাপ্ত। কারণ এতে সরবরাহপক্ষীয় পদক্ষেপ বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্লাস্টিকের পূর্ণ জীবনচক্র, স্বাস্থ্যগত প্রভাব, ক্ষতিকর রাসায়নিক, বর্জ্যব্যবস্থার অগ্রাধিকার ও আন্তসীমান্ত দূষণরোধে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত নয়। অন্যদিকে কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য নির্ভরযোগ্য উপায়ের কথাও বলা নেই। বরং জটিল ও স্বেচ্ছাসেবী পদ্ধতির ওপর নির্ভর করা হয়েছে, যা বৈশ্বিক সংকটের গুরুত্ব উপেক্ষা করে।
আলোচনাসভায় বাংলাদেশের উপস্থিত নেতৃত্ব জোর দিয়ে বলেন, চুক্তির মূল অংশে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিক, নিঃসরণ ও প্রাথমিক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এ খসড়া মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় কার্যত কিছুই করে না। এটি কেবল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাঠামো, যা উৎপাদকদের দায়মুক্ত রাখে। এবং সবচেয়ে ক্ষতিকর প্লাস্টিক পণ্য বন্ধে কোনো বাধ্যতামূলক পদক্ষেপের দিকনির্দেশনা দেয় না। অর্থবহ সংশোধন ছাড়া খসড়াটি সমর্থনযোগ্য নয় বলে বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে।
গতকাল আরেকটি অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারত্ব ও লক্ষ্যভিত্তিক সম্পদের আহ্বান জানান।
জেনেভায় অনুষ্ঠিত আইএনসি ৫.২-এর মন্ত্রীপর্যায়ের এক অনানুষ্ঠানিক গোলটেবিল বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিম্নপ্রবাহী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন। তিনি আন্তসীমান্ত প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বৈশ্বিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।