গত বছরের ৪ ডিসেম্বর মডেল-অভিনেত্রী শোভিতা ঢুলিপালারকে বিয়ে করেন নাগা চৈতন্য। বিয়ের সাড়ে চার মাসের মাথায় গুঞ্জন উঠেছে, বাবা-মা হতে যাচ্ছেন এই দম্পতি। মূলত, শোভিতার একটি ছবিকে কেন্দ্র করে জন্ম নিয়েছে গুঞ্জন।
কয়েক দিন আগে ‘ওয়ার্ল্ড অডিও ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট সামিট ২০২৫’-এ যোগ দিয়েছিলেন শোভিতা ও নাগা। তাতে শাড়িতে দেখা যায় শোভিতাকে। এর সঙ্গে মিলিয়ে গহনা পরেন। সিঁথিতে সিঁদুরও দেখা যায়। এ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর শোভিতার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চর্চা শুরু হয়ে।
সত্যি কি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন শোভিতা? এ নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেননি শোভিতা কিংবা নাগা। তবে এ দম্পতির ঘনিষ্ঠজন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, এ খবর সত্য নয়। অদ্ভুত রকমের গল্প তৈরি করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
হাসপাতালে অজিত কুমার
‘আমি যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছি, সে দেখতে চাকরানীর মতো’
অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোভিতা ঢুলিপালারের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ান নাগা চৈতন্য। বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন চাউর হলেও তখন মুখ খুলেননি তারা। গুঞ্জন মাথায় নিয়েই গত ৮ আগস্ট এ জুটি বাগদান সারেন। গত ২৯ নভেম্বর হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হয় নাগা চৈতন্য ও শোভিতার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। এর মাধ্যমে এ জুটির প্রাক-বিবাহের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। গত ডিসেম্বরে চার হাত এক হয় এই প্রেমিক জুটির।
শোভিতা অভিনীত ‘গুদাচারি’ সিনেমা ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। এ সিনেমায় শোভিতার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হন নাগা চৈতন্যর বাবা নাগা আক্কিনেনি। পরবর্তীতে শোভিতাকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান নাগা আক্কিনেনি। সেই সাক্ষাতে চলচ্চিত্র ছাড়াও জীবন নিয়ে নানা আলোচনা করেছিলেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান শোভিতার শ্বশুর। তবে ২০২২ সালে পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে প্রথম সাক্ষাৎ করেন শোভিতা-নাগা চৈতন্য। তারপর ডুবে ডুবে ২ বছর জল খেয়েছেন এই যুগল।
বলিউড সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী শোভিতা ঢুলিপালার। পরবর্তী তেলেগু, তামিল, মালায়ালাম ভাষার বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। তার কাজের ঝুলিতে জমা পড়েছে ‘পোনিয়িন সেলভান’-এর মতো সিনেমা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ গ ঞ জন
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লার সেই বিএনপিকর্মী ইব্রাহিম মারা গেছেন
ফতুল্লার বিএনপি কর্মী ইব্রাহিম (৫২) মারা গেছেন। সে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছিলেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যান।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে হাজিগঞ্জ জামে মসজিদে নিহতের নামাজের জানাজা শেষে পাঠানটুলি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত ইব্রাহিম ফতুল্লা থানার ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড হাজীগঞ্জের আব্দুল জলিলের পুত্র। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
জানা যায়,২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির ডাকা মহা সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদলের ব্যানারে সে অংশগ্রহণ করে।
সমাবেশের শেষের দিকে মুল মঞ্চের পেছনের দিকে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা,কর্মীও সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সে সময় পুলিশ বিএনপি নেতা- কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ইব্রাহিম পুলিশের হামলায় মারাত্নক আহত হয়ে রাস্তায় পরে থাকে। সে সময় সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। ঘটনার চারদিন পর তার সহোযোগিরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে খুঁজে পায়। দীর্ঘদিন সহোযোগিরা নিজেদের অর্থায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর আল বারাকা নামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা করায়।
পরবর্তীতে ইব্রাহিমকে নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হলে বিএনপি নেতা ও শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই রোববার রাতে তিনি মারা যান।
ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ পারভেজ মিয়া জানান,নিহত ইব্রাহিম ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঘোষিত পল্টন পার্টি অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও ইউনিয়ন যুবদলের সাথে ঢাকায় গিয়েছিলেন ।
সমাবেশ চলাকালে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন টিপু ও নিহত ইব্রাহিম এবং তিনি সহ আরো নেতা-কর্মীরা পল্টন পার্টি অফিস সংলগ্ন চায়না টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়। এতে করে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে।
অতর্কিত হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় চার দিন পর পত্রিকার নিউজে দেখতে পায় ইব্রাহিম নামে একজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সেই সংবাদের পর তার পরিবারের লোকজন এবং ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলী ঢাকা মেডিকেলে খোঁজ নেওয়ার পরে তারা নিশ্চিত হন যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকা চিকিৎসারতি হচ্ছে তাদের নিখোঁজ ইব্রাহিম।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসা শেষ করে তাকে বাসায় আনা হয়। বাসায় আনার পরে উনি আবার অসুস্থ হয়ে পরে। ফলে ৮ নং ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় পুনরায় তাকে মদনপুর আল বারাকা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় তিন মাস চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পরেন।
এমতাবস্থায় নাসিক ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন তাকে দেখতে আসলে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ পায়। প্রকাশিত সংবাদের পর বিএনপি নেতা শিল্পপতি প্রাইম বাবুল ভাই তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নেন।
বাবুল ভাই নিজে এসে তার দাত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমান ১১ টা ৪০ মিনিটের সময় তিনি ইন্তেকাল করেন।