শিক্ষার্থীরা মুচলেকা দিলে মামলা-জিডি প্রত্যাহার করা হবে, জানালেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
Published: 4th, May 2025 GMT
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুচলেকা দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে করা মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুচিতা শরমিন।
আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শুচিতা শরমিন এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা ও জিডি প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, মুচলেকার মাধ্যমে এসব মামলা ও জিডি প্রত্যাহার করা হবে। সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মহসিন উদ্দীনকে অব্যাহতির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি হাইকোর্টে বিচারাধীন। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে ও ব্যবস্থা নিতে একজন সিন্ডিকেট সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ সময় সম্প্রতি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন উপাচার্য। তিনি জানান, জেবুন্নেছা চিকিৎসা সহায়তার আবেদন করলেও তা না পাওয়ার অভিযোগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা রেজিস্ট্রারকে ‘ফ্যাসিস্টদের দোসর’ দাবি করে কুশপুত্তলিকা দাহ করেন ও রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তালা লাগান। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) কে এম সানোয়ার পারভেজ ১০ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জিডি করেন। এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটক ভাঙচুর করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের চার বছরের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় ৩০ জানুয়ারি। এরপর উপাচার্য তাঁকে দায়িত্বে রাখার নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মনিরুলকে অপসারণের জন্য আন্দোলন শুরু করেন। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত ৮৮তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় মনিরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক পরিচয়ে হোটেলে তল্লাশি চালানো যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালানো যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার এম হান্নান রহিম তালুকদার তার ফেসবুক ওয়ালে নিজেকে কথিত দৈনিক চট্টগ্রাম সংবাদের সম্পাদক, সিএসটিভি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। আরেকটি পোস্টারে তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব প্রার্থী ও তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক। তবে সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, হান্নান রহিম তালুকদার প্রেসক্লাবের সদস্য নন।
চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন জানান, ৫ জুন রাতে নগরের বহদ্দারহাট পপুলার গেস্ট হাউজ নামে একটি আবাসিক হোটেলে সাংবাদিক পরিচয়ে ঢুকে চাঁদা দাবি করে এবং হোটেল কক্ষে তল্লাশি চালায় হান্নান রহিম তালুকদার। চাঁদা না দিলে হোটেল ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় সোমবার হোটেলটির কর্মচারী জাকির হুসেন বাদি হয়ে হান্নান রহিম তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে।
শনিবার দুপুরে হান্নান রহিম তালুকদার নিজ ফেসবুক ওয়ালে আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালানোর একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সাংবাদিক পরিচয়ে এমন তল্লাশি চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেন নেটিজেনরা। তা নিয়ে চলে সমালোচনা।
ভিডিওতে দেখা গেছে, হান্নান রহিম তালুকদার নগরের বহদ্দারহাট পপুলার গেস্ট হাউজে ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে ঢোকেন। রিসেপশনে গিয়ে অতিথি কারা কারা আছেন হোটেলের রেজিস্টার দেখে যাচাই করেন। এরপর বিভিন্ন হোটেলের কক্ষে কক্ষে গিয়ে অবস্থানরত অতিথিদের নানা প্রশ্ন করে জেরা করেন। হোটেলে কেন অবস্থান করছেন? চট্টগ্রামে কেন এসেছেন? স্বামী-স্ত্রীর প্রমাণ আছেন কিনা? ১৫ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে এসব প্রশ্ন করতে দেখা যায়।