বেরোবিতে মামলা থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বাদ দেওয়ার প্রতিবাদ
Published: 5th, May 2025 GMT
জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নিপীড়ন মামলায় গড়িমসি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের মামলা থেকে বাদ দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা জানায় দাবি যদি না মানা হয় তাহলে সামনে কঠোর আন্দোলন দিবে।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু করে শিক্ষার্থীরা আবু সাঈদ চত্বর ঘুরে প্রধান ফটকে এসে সমাবেশে মিলিত হন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘মামলা নিয়ে টালবাহানা, মানি না মানব না’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবি প্রক্টরের নাম, প্রতিবাদে মানববন্ধন
তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ২ উপদেষ্টা
সমাবেশে শিক্ষার্থী সুমন সরকার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ আবু সাঈদ হত্যার মামলার কোনো সঠিক পদক্ষেপ দেখছি না। সব জায়গায় টালবাহানা চলছে। যেখানে গুটি কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে এবং আসামিদের অধিকাংশই ধরা ছোয়ার বাইরে। শহীদ আবু সাঈদ হত্যার সঠিক বিচার না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের যাদের ইশারায় শহীদ আবু সাঈদের উপর গুলি করা হয়েছে, তারা এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে বহাল তবিয়তে আছে।”
শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, “যে শিক্ষার্থীরা জুলাই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তারা ঘুমিয়ে যায়নি। কোন নিয়মে স্বৈরাচারের দোসরদের পদায়ন করা হয়েছে, তা শিক্ষার্থীরা জানতে চায়। স্বৈরাচারের দোসরকে লালন করার জন্য কি এ প্রশাসন এসেছে? প্রশাসন যদি মামলা বাণিজ্য করে কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার তীব্র থেকে তীব্রতর প্রতিবাদ জানাচ্ছে।”
মোরসালিন মুন্না বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা আওয়ামী লীগের দোসর এবং জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী, তারা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বহাল তবিয়তে কাজ করছেন। অনেককে পদায়নও করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। আমরা মনে করি, এ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাসি-তামাশা করছে।”
তিনি বলেন, “এটা শহীদ আবু সাঈদের ক্যাম্পাস। আমরা রক্ত দিতে জানি, জান দিতে জানি। সুতরাং এখানে কোনো ধরনের তালবাহানা চলবে না। আমরা চাই সঠিক তদন্তের বিচার করে আওয়ামী লীগ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে।”
এ বিষয়ে বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক শওকাত আলী বলেন, “সাক্ষ্য প্রমাণের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা আরো নাম দিতে পারে। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে আমরা যাচাই করে তাদের নামও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করব।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী নূর জাহান গ্রেপ্তার
বন্দরে ১৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নূর জাহান (৩৮) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত নারী মাদক ব্যবসায়ী নূর জাহান বেগম বন্দর থানার নবীগঞ্জ রসুলবাগ এলাকার মাদক সম্রাট বাবু মিয়ার স্ত্রী।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার উপ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ধৃত নারী মাদক ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। ধৃতকে রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে গত শনিবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধৃত মাদক কারবারি বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ধৃত নারী মাদক ব্যবসায়ী নূর জাহান বেগম ও তার স্বামী বাবু দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।