মোহাম্মদ সিরাজের টানা পাঁচ টেস্ট খেলার উদাহরণ টেনে ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট তত্ত্ব’কে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করলেন সুনীল গাভাস্কার। তাঁর মতে, দেশের হয়ে খেলতে নামলে ব্যথা-বেদনা ভুলে যাওয়ার মানসিকতা থাকা উচিত।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সিরাজ নিয়েছেন ২৩ উইকেট, বোলিং করেছেন ১৮৫.৩ ওভার। অন্যদিকে তিন টেস্ট খেলা যশপ্রীত বুমরা সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চম ম্যাচে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণে খেলেননি।

আপনি যখন দেশের হয়ে খেলছেন, তখন ব্যথা ভুলে যেতে হবে। সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা জওয়ানরা কি ঠান্ডা নিয়ে অভিযোগ করেন? ঋষভ পন্ত চোট নিয়েও ব্যাট করেছে এই সিরিজেই। এমন মানসিকতাই তো থাকা উচিত।সুনীল গাভাস্কার, ভারতের সাবেক অধিনায়ক

তবে গাভাস্কার বলছেন, তাঁর সমালোচনা বুমরাকে উদ্দেশ করে নয়। বরং বুমরার জন্য সহানুভূতি ছিল গাভাস্কারের কথায়। টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজারি ক্লাবের প্রথম সদস্য বললেন, বুমরার বিষয়টি মূলত চোট সামলানোর।

অ্যান্ডারসন–টেন্ডুলকার ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন সিরাজ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জার্মানিতে বসবাসরত শাবিপ্রবি’র সাবেক শিক্ষার্থীদের পুর্নিমিলনী অনুষ্ঠিত

পুরানো সেই দিনের কথা, ভুলবি কিরে হায়, ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায় পুরনো দিনের কথা না ভোলা যায়, না ফিরে পাওয়া যায়। স্মৃতিকাতর মানুষ তবুও বারে বারে ফিরে যেতে চায় তাঁর সোনালী অতীতে, ফিরে পেতে চায় কাছের মানুষগুলোকে।

এ আকুলতা আরো তীব্র হয়ে ওঠে যখন মাতৃভূমি হাতের নাগাল থেকে ৮০০০ কিলোমিটার দূরে থাকে। তাই তো জার্মানিতে বসবাস করা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলেই একে অন্যের সাথে পুর্নিমিলিত হওয়ার আকুলতা প্রকাশ করেন।

এ চাওয়াকে সামনে রেখে গত ২রা আগস্ট জার্মানির মিউনিখ শহরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো জার্মানিতে বসবাসরত শাবিপ্রবি’র সাবেক শিক্ষার্থীদের পুর্নিমিলনী। বেলা দুটোর দিকে দুপুরের খাবারের পরপরই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে জার্মানির বিভিন্ন প্রান্ত হতে ছুটে আসা শাবিপ্রবির অ্যালামনাইদের অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে শুরু হয় মূল পুর্নিমিলনী।

এ পর্বে মঞ্চে বক্তৃতা রাখেন সংগঠনের বর্তমান কার্যকরী সভাপতি মামুন রশীদ, এবারের পুর্নিমিলনী অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সভাপতি মোঃ মাহাদী হাসান, এবং গতবারের পুর্নিমিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সভাপতি গোলাম হাফিজ খান। 

শুরুতেই শাবিপ্রবি ও এর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এক কিলো’র স্মৃতিচারণের মাধ্যমে শাবিপ্রবি’র সাবেক শিক্ষার্থীরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। শাবিপ্রবিতে কাটানো তাদের সোনালী সে অতীত ফিরে পেতে চাওয়ার ব্যাকুলতার পাশাপাশি উঠে আসে নানা চমকপ্রদ ঘটনাও যা হাসি-কান্নার রোল বইয়ে দেয় অংশগ্রহনকারীদের মাঝে।

এ পর্বের পর ডঃ নিধু লাল বণিক শাবিপ্রবি অ্যালামনাই সমিতির জন্য প্রস্তুত করা নতুন ওয়েবসাইট এবং সংবিধান উপস্থাপন করেন। এ উপলক্ষে তিনি এ দুটি প্রোজেক্টের মাধ্যমে শাবিপ্রবি অ্যালামনাইদের সুসংগঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

সংক্ষিপ্ত চা বিরতির পর অনুষ্ঠান পুনরায় শুরু হয়। শুরুতেই অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নতুন অ্যাডভাইজারি ও এক্সিকিউটিভ কমিটির ঘোষণা দেন ডঃ নিধু লাল বণিক।

১১ সদস্যের অ্যাডভাইজারি কমিটিতে নবীন প্রবীনের সম্মীলন ঘটে। আর এক্সিকিউটিভ কমিটির জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল ভোটে পরবর্তী দু বছরের জন্য নাদেরা সুলতানা তানি প্রেসিডেন্ট এবং আদনান আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

নতুন কমিটির সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বরণ করে নেন পুরাতন কমিটির সদস্যগণ। এরপরপরই শুরু হয়ে যায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গেমস। এতে বড়দের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করে শাবিপ্রবি অ্যালামনাইদের শিশুসন্তানেরা। 

সকলের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণে মুহুর্তেই অনুষ্ঠানস্থল আনন্দের এক মহামিলনে রূপান্তরিত হয়। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে সমবেত অতিথিদের মধ্য থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে কিছু অতিথিদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নির্ধারিত কিছু করে দেখাতে।

অতিথিদের পারফরম্যান্স সকলকে নির্মল বিনোদন দেয় যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে দর্শকের ভোটে দুজন অতিথিকে তাদের পারফরম্যান্সের জন্য পুরষ্কৃত করা হয়। 

সবশেষে সবাইকে নিয়ে সম্মিলিত গান পরিবেশনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব শেষ হয়।

এরপর পরবর্তীপুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ভেন্যু হিসেবে এসেনকে নির্বাচন করা হয় এবং সবাইকে ধন্যবাদ
জ্ঞাপন করে এই বছরের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

২০২৭ এ আবার মিলিত হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে সকল অংশগ্রহণকারী নিজ নিজ ঠিকানায় ফিরে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জার্মানিতে বসবাসরত শাবিপ্রবি’র সাবেক শিক্ষার্থীদের পুর্নিমিলনী অনুষ্ঠিত