৫০০ কোটির বেশি স্টারফিশ মারা যাওয়ার রহস্য উন্মোচন করেছেন বিজ্ঞানীরা
Published: 5th, August 2025 GMT
এক দশকের বেশি সময় ধরে রহস্যময় এক মহামারির কারণে মেক্সিকো থেকে আলাস্কা পর্যন্ত ৫০০ কোটির বেশি স্টারফিশ মারা গেছে। প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক স্টারফিশ মারা যাওয়ার সঠিক কারণ এত দিন অজানা থাকলেও এবার সেই মৃত্যুর রহস্য খুঁজে বের করার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার হাকাই ইনস্টিটিউটের সামুদ্রিক রোগ বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদ অ্যালিসা গেহম্যান বলেন, মহামারির বিষয়টি সত্যিই বেশ ভয়াবহ। সুস্থ স্টারফিশের বাহু সোজা বেরিয়ে থাকে। ক্ষয়প্রাপ্ত রোগের কারণে তাদের ক্ষত তৈরি হচ্ছে। এতে তাদের বাহু খসে পড়ছে। এই ক্ষতের পেছনে ব্যাকটেরিয়া দায়ী।
স্টারফিশের সাধারণত পাঁচটি বাহু থাকে। কিছু প্রজাতির ২৪টি পর্যন্ত বাহু থাকে। এসব প্রাণীর রং ঘন কমলা থেকে কমলা, বেগুনি, বাদামি ও সবুজ রঙের হয়। ২০১৩ সাল থেকে ব্যাপকভাবে স্টারফিশ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা এই মহামারিতে স্টারফিশের ২০টির বেশি প্রজাতি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন। এখনো এই মহামারি চলছে। মহামারির কারণে সানফ্লাওয়ার নামের স্টারফিশের একটি প্রজাতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহামারি শুরুর প্রথম পাঁচ বছরেই প্রায় ৯০ শতাংশ বিলুপ্ত হয়ে গেছে এই প্রজাতির স্টারফিশ।
গবেষণার তথ্যমতে, স্টারফিশের মতো শেলফিশকেও সংক্রামিত করে এই ব্যাকটেরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্তা বারবারার সামুদ্রিক জীবাণুবিদ রেবেকা ভেগা থারবার বলেন, সমুদ্রের একটি গুরুতর রোগ সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী প্রশ্নের জবাব জানা গেছে। গবেষকদের রোগের কারণ শনাক্ত করতে এক দশকের বেশি সময় লেগে গেছে।
হাকাই ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী মেলানি প্রেন্টিস বলেন, বিজ্ঞানীরা প্রথমে ডেনসোভাইরাসের ওপর মনোনিবেশ করেন। সেটি আসলে সুস্থ স্টারফিশের দেহে থাকে। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও কারণ জানা যাচ্ছিল না। সাম্প্রতিক গবেষণায় কোয়েলোমিক ফ্লুইড নামের তরল বিশ্লেষণ করা হয়। সেখানে ভিব্রিও পেকটেনিসিডা ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনার ধলাই নদে বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে দুই শ্রমিক নিখোঁজ
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদে বালুবাহী একটি বাল্কহেড ডুবে দুই শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় সঙ্গে থাকা অন্য এক শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার আদর্শনগর বাজারের পাশে ধলাই নদে ওই বাল্কহেড ডুবে যায়। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ দুই শ্রমিক হলেন জেলার পূর্বধলা উপজেলার দেবকান্দা গ্রামের মো. জিয়াউর রহমান (২০) ও মো. মারুফ তালুকদার (২৪)।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে পূর্বধলার জারিয়া এলাকায় কংস নদ থেকে বালুবাহী বাল্কহেডটি মোহনগঞ্জের আদর্শনগর এলাকায় যাচ্ছিল। আদর্শনগর বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে ধলাই নদের প্রবল স্রোতে সেটি তলিয়ে যায়। এ সময় নৌযানে থাকা জিয়াউর রহমান, মারুফ তালুকদার ও হক মিয়া পানিতে তলিয়ে যেতে থাকেন। হক মিয়া সাঁতরে তীরে উঠলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বাকি দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ সকাল থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তবে ভারী বৃষ্টি ও প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সুমন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ দুজন শ্রমিকের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।