জয়দেবপুর রেলস্টেশনে মুগ্ধের নামে সুপেয় পানির কর্নার
Published: 5th, August 2025 GMT
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর স্মরণে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশনে নির্মিত হয়েছে ‘মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার’। আজ মঙ্গলবার সকালে এটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন।
জেলা প্রশাসক বলেন, মুগ্ধ কর্নারটি গাজীপুরের সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মুগ্ধের স্মৃতি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল হাসান, পুলিশ সুপার যাবের সাদেকসহ অন্যরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে ৬৯টি আইডিয়ার মধ্যে এটি চূড়ান্ত হলে গাজীপুর জেলা পরিষদ ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নারটি নির্মাণ করে।
সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তাঁদের কয়েকজন জানান, রেলস্টেশনগুলোতে বিনা মূল্যে বিশুদ্ধ পানি তেমন পাওয়া যায় না। জয়দেবপুর রেলস্টেশনে সাধারণ যাত্রীদের বিশুদ্ধ পানির কষ্ট অনেকটা লাঘব হলো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় গত ১৮ জুলাই উত্তরার আজমপুরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মুগ্ধ। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনলাসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী ছিলেন। মারা যাওয়ার ঠিক আগে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিস্কুট ও পানি বিতরণ করেন মুগ্ধ। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলন আরও গতি পায়।
জুলাই শহীদ পরিবার ও যোদ্ধাদের সম্মেলনএকই দিন সকালে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে জুলাই শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার, যুদ্ধাহতদের সম্মেলন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা আরেফিন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়া, গাজীপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোতাচেছম বিল্লাহ, জেলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত ন র কর কর ন র
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমার সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জার্মানির সংসদ সদস্য
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছেন জার্মানির গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য বরিস মিজাতোভিচ। চার দিনের এই সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বুধবার ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগের গ্রিন পার্টির সদস্য বরিস মিজাতোভিচ ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি প্রকল্প, বিশেষ করে এই অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বরিস মিজাতোভিচ মিয়ানমারের সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যার লক্ষ্য ছিল এই বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আলোচনার সূচিতে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ভ্রমণ করেন।
বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা, পরিবেশজনিত উদ্বেগ, কর্মপরিবেশ এবং শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বরিস মিজাতোভিচ আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সফরকালে মিজাতোভিচ শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলে শ্রম অভিবাসন এবং কর্মপরিবেশ নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। এ ছাড়া বৈঠকে জাহাজভাঙার চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া বরিস মিজাতোভিচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে জিআইজেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত সম্পর্কে অবগত হন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মপরিবেশ উন্নত করার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের সময় বরিস মিজাতোভিচ কক্সবাজারে যান।
সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন এবং এ অঞ্চলে মানবিক চ্যালেঞ্জ এবং চলমান ত্রাণ কার্যক্রম আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সফর মানবাধিকার, কর্মপরিবেশ এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সংলাপ, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।