ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) ১৫তম অবস্থানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অথচ এই দলটাই ইউরোপা লিগে এবারের মৌসুমে অদম্য। যে অ্যাথলেটিকো বিলবাও গোটা মৌসুমে লা লিগায় ১০ গোল হজম করেছিল, তাদেরই সেমিফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে ৭টা গোল দিয়েছে রেড ডেভিলসরা।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ইউরোপা লিগের ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৪-১ গোলে জয় পেয়েছে রেড ডেভিলরা। ম্যাচ জয়ের পর ইউনাইটেডের ম্যানেজার রুবেন আমোরিম বলেছেন, ক্লাবটির তাদের সমর্থকদের জন্য এই শিরোপা জয়ে দায়বদ্ধ।

প্রথম লেগে বিলবাওয়ের মাঠ থেকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও বৃহস্পতিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফিরতি লেগে নেমেছিল ইউনাইটেড। প্রথমার্ধে বিলবাওয়ের হয়ে মিকেল জাউরেগিজারের ৩০ গজ দূর থেকে করা গোল তাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়।

আরো পড়ুন:

ইপিএলে অবনমনের শঙ্কায় থাকা স্পার্সের ইউরোপায় চমক

‘ফুটবল ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে নেই’- স্পার্স কোচ

ঠিক তখনই দৃশ্যপটে আবির্ভাব মেসন মাউন্টের। লেনি ইয়োরোর ছোট্ট পাস ধরে প্রতিপক্ষ বক্সে টার্ন করে বুলেট গতির শটে বল জড়ান জালে। ইউনাইটেডের হয়ে এটি তার তৃতীয় গোল হলেও তা ছিল নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই গোলেই ধূলিসাৎ হয়ে যায় বিলবাওয়ের ইতিহাস গড়ার আশার প্রদীপ।

বিরতির পর গোলের খেলা আরও জমে ওঠে। ক্যাসেমিরো ও রাসমুস হইলুন্ডের গোলে ব্যবধান বাড়ায় ইউনাইটেড। ম্যাচের ক্লাইম্যাক্সে আবারও আলো ছড়ান মাউন্ট, ৪৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে বল জাল ছোঁয়ান ফাঁকা পোস্টে।

একটি হতাশাজনক মৌসুম থেকে কিছু সাফল্য পাওয়ার সুযোগ এসেছে ইউনাইটেডের। দলটির পর্তুগিজ কোচ আমোরিম বলেন, “এই কঠিন মৌসুমে যে সমর্থন (সমর্থকরা) দিয়েছে, তার জন্য এটি (শিরোপা) আমাদের তরফ থেকে ন্যূনতম প্রতিদান হওয়া উচিত। তবে আমি এখনই ফাইনাল নিয়ে চাপ অনুভব করছি। যদি আপনি জিততে না পারেন, তাহলে তার কোনো মূল্য নেই। আমরা সেখানে পৌঁছাতে পেরে খুশি। দেখা যাক কী হয়।”

ইউনাইটেড এই শিরোপা জেতার অর্থ হচ্ছে আগামী মৌসুমে ইউরোপের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলবে। যারা বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের ১৫তম স্থানে আছে। অনেকটা একই অবস্থা তাদের ফাইনালের প্রতিপক্ষে টটেনহ্যামে হটস্পারেরও। লন্ডনের ক্লাবটি ইপিএল টেবিলের ১৬তম অবস্থানে। অন্যদিকে স্পার্সের সাথে শেষ তিন দেখায় হেরেছে রেড ডেভিলরা।

“আমরা শেষ তিনটি ম্যাচ হেরেছি, তাই এই ম্যাচটি জিততেই পারি। আপনি যদি পরিসংখ্যানের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন সেটা আমাদের জেতার পক্ষ্যেই আছে। উভয় দলই সবটা উজাড় করে খেলবে। দুই কোচের অবস্থা একই রকম। আমি জানি এঞ্জের আরও এক বছর সময় আছে, কিন্তু আমরা দুজনেই সংগ্রাম করছি। আমাদের বুঝতে হবে, একটি ফাইনাল প্রিমিয়ার লিগের থেকে একেবারেই আলাদা।”

টটেনহ্যামের বিপক্ষে ২১ মে বিলবাওয়ের সান মামেসে ইউরোপা লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ইউনাইটেড।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র ফ ইন ল অবস থ ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

জকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের প্যানেলকে ‘ভাড়াটিয়া’ আখ্যা দিয়ে একাংশের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ছাত্রঅধিকার পরিষদ যৌথভাবে ঘোষিত প্যানেলকে কেন্দ্র করে তীব্র বিরোধ দেখা দিয়েছে। ঘোষিত প্যানেলকে ‘ভাড়াটিয়া’ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ নামের সমন্বিত প্যানেল ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

বিচারকের ছেলে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে আশুগঞ্জ সার কারখানায় সমাবেশ 

এ সময় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ শাখা ছাত্রদলের বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্যানেল ঘোষণার পরই ১৮তম ব্যাচের ৩০–৩৫ জনের একটি গ্রুপ স্লোগান দিতে শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

তারা ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘আঠারো আঠারো’, ‘গর্জে উঠো আঠারো’, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে আঠারো’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে প্যানেল ঘোষণার প্রতিবাদ জানান। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিলও করেন।

তাদের অভিযোগ, ঘোষিত প্যানেলটি ছাত্রদলের প্রকৃত কর্মীদের বাদ দিয়ে ‘ভাড়াটিয়া’ দিয়ে সাজানো হয়েছে।

বিক্ষোভরত নেতাকর্মীরা দাবি করেন, জকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে যদি ১৮ ব্যাচের কেউ স্থান পায়, তাহলে তাকে অবশ্যই ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হতে হবে এবং ব্যাচটি থেকে পাঁচজনকে স্থান দিতে হবে। অন্যথায় প্যানেল ঘোষণা হওয়ার আগে প্রতিটি মনোনীত প্রার্থীর সাংগঠনিক পরিচয় স্পষ্ট করে জানাতে হবে।

এসব দাবি না মানা হলে ‘ঐক্যবদ্ধ ১৮ ব্যাচ’ নামে আলাদা এক্সক্লুসিভ প্যানেল ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এদিকে ঘোষিত সমন্বিত প্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব (সহ-সভাপতি), শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খাদিজাতুল কুবরা (সাধারণ সম্পাদক) এবং আহ্বায়ক সদস্য বিএম আতিকুর রমান তানজিল (সহ-সাধারণ সম্পাদক)।

প্যানেলের অন্যান্য সম্পাদক পদে রয়েছেন—মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক অনিক কুমার দাস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নুসরাত চৌধুরী জাফরিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. মাশফিকুল ইসলাম রাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শাওন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস, আন্তর্জাতিক সম্পাদক অপু মুন্সী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক তাকরিম আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক মো. কামরুল হাসান নাফিজ, পরিবহন সম্পাদক মাহিদ হাসান, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক মো. আনন বিন রহমান এবং পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক রিয়াসাল রাকিব।

নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন—ইমরান হাসান ইমন, সাদমান সাম্য, সুলতান মাহমুদ শুভ, মনিরুজ্জামান মনির, তৌহিদুল ইসলাম তানিম ও মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ। আরও একজন নির্বাহী সদস্যের নাম পরে জানানো হবে বলে জানা গেছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ