শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় প্রায় ছয় বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রীকে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মো. খলিলুর রহমান (৮০) নামে এক ব্যক্তি।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযুক্ত খলিলুর রহমান খোশালপুর মধ্যপাড়ার মৃত জহুর আলীর ছেলে।
আরো পড়ুন:
সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ৫
৫ কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
ভিডিওতে দেখা যায়, খলিলুর রহমান তার স্ত্রীকে ঘর থেকে টেনে উঠানে নিয়ে যান। এর আগেই, উঠানের একটি অংশে কোদাল দিয়ে সামান্য পরিমাণ গর্ত করেন তিনি। সেই গর্তের ভেতরে স্ত্রীকে রেখে তার ওপর কোদাল দিয়ে মাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন খলিলুর। অসুস্থ বৃদ্ধাকে আত্মরক্ষায় চিৎকার করতে দেখা গেছে ভিডিওতে।
ভিডিওতে একাধিক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা গেলেও কেউ ওই নারীকে রক্ষায় এগিয়ে যাননি।
স্থানীয়রা জানান, ভিডিওটি ওই দম্পতির নাতি মো.
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ছয় বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী ওই বৃদ্ধা। অনেক চিকিৎসা করা হলেও তিনি সুস্থ হননি। বিরক্তি থেকে খলিলুর এমন কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা তাদের।
স্থানীয় রহিম মিয়া বলেন, “খলিলুর কাকা খারাপ লোক না। সবার সঙ্গে হাসি মুখে চলেন। স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার পর থেকে মন খারাপ থাকে তার। তিনি আজ এমন কাণ্ড কেন ঘটালেন বুঝতে পারছি না।”
ভুক্তভোগীর পাশের বাড়ির সুজন বলেন, “খলিলুর তেমন ঝামেলায় জড়ান না, তবে গরিব মানুষ। গতকালই স্ত্রীর জন্য একটি চেয়ার কমোড কিনে আনেন। স্ত্রী চোখে ভালো দেখেন না। একটু কথা না শোনায় এই ঘটনা ঘটে। তার নাতি ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।”
শ্রীবরদী থানার ওসি মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, “ভিডিও দেখার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে সামাজিকভাবে সমাধান হয়েছে বলে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, “আমি ভিডিওটি দেখেছি। বিষয়টি সত্যিই মর্মান্তিক। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৯০ বছর বেদখলে থাকা জমি বুঝে পেল মুকসুদপুর থানা পুলিশ
প্রায় ৯০ বছরের বেশি সময় ধরে বেদখলে থাকা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার সাড়ে ৭ শতাংশ জমি অবশেষে বুঝে পেয়েছে পুলিশ।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ১৯১৭ সালে মুকসুদপুর থানার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর পাশের পরিত্যক্ত জমিতে আশ্রয় নিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে স্থানীয় কয়েকটি পরিবার। কয়েক বছরে থানা কর্তৃপক্ষ কয়েকবার তাদের নোটিস দেয় জমি ছেড়ে দিতে। কিন্তু, তারা গড়িমসি করে। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে মুকসুদপুর থানা পুলিশ আলোচনা করে জমি ছেড়ে দিতে বললে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তারা দখল করা জমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।
তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের জমি দীর্ঘদিন পরে বুঝে পেয়েছি। তারা থানার জমি দখল করে থাকায় আমরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ছিলাম। যেহেতু, তাদের স্থাপনা আমাদের থানার সীমানার কোল ঘেঁষে ছিল, এর ফলে সীমানা প্রাচীর তুলতে পারছিলাম না। এ জমিতে সীমানা প্রাচীর তোলা হলে থানার নিরাপত্তা বাড়বে।”
ঢাকা/বাদল/রফিক