Risingbd:
2025-08-09@06:02:19 GMT

এ সপ্তাহের রাশিফল (৯-১৫ আগস্ট)

Published: 9th, August 2025 GMT

এ সপ্তাহের রাশিফল (৯-১৫ আগস্ট)

সাফল্য লাভের জন্য কর্ম যথেষ্ট নয়। দরকার সঠিক কর্মকৌশল, সহনশীলতা এবং কিছু বিষয়ে সচেতনতা। আর তাতেই আপনি জীবনের প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করতে পারবেন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্রী ড.

চিন্ময় চৌধুরী মিথুন।

মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): শারীরিক সুস্থতায় মনোযোগী হোন। আর্থিক পরিস্থিতি ভালো যাবে। প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারবেন। পারিবারিক ও কর্মজীবনে সুনাম বৃদ্ধি পাবে। পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। মনের জোর ও প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়বে। সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবস্যা বাণিজ্যে নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।

আরো পড়ুন:

এ সপ্তাহের রাশিফল (২-৮ আগস্ট)

এ সপ্তাহের রাশিফল (২৬ জুলাই-১ আগস্ট)

বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): দ্বিধাদ্বন্দ্ব বাড়বে। অর্থ প্রাপ্তির৷ সম্ভবনা আছে।। কর্মক্ষেত্রে নানামুখী চাপে থাকবেন। দাম্পত্য ক্ষেত্রে মানিয়ে চলতে হবে। অপ্রত্যাশিত কারণে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।আত্মবিশ্বাস বাড়বে। পারিবারিক শান্তি বৃদ্ধি পাবে। সামাজিককাজে ব্যস্ততা বাড়বে। ব্যবসায়িক ও পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। দুর্ঘটনা বিষয় নিয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকার চেষ্টা করবেন।

মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): রাগ, হতাশাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় আপনার জন্য শুভ নয়। আর্থিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। কোনো বন্ধুর সহযোগিতা পেতে পারেন। উদারতার কারণে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। রোমাঞ্চ শুভ। রাজনীতি ও জনসংযোগ কাজে সফলতা পাবেন। এ সপ্তাহে নানামুখী চাপে থাকতে পারেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিনিয়োগে সফলতা পাবেন। কর্মব্যস্থতা বাড়বে। সাংসারিক বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): শারীরিক বিষয় নিয়ে উদ্বেগ বাড়বে। আর্থিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। প্রেম ও রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ। প্রিয়জন কারো সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সৃজনশীল কাজে সফলতা পাবেন। অস্থিরতা বাড়বে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়বে। প্রিয়জন আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে। যাত্রা শুভ।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): সফলতা আসবে। পারিবারিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। তবে প্রিয়জনের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। পেশাগত কাজে দায়িত্ব বাড়বে। ভ্রমণ শুভ। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করুন। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। আয় উন্নতির সুযোগ পাবেন। ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হবে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন।

কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): মানসিকভাবে সতেজ থাকবেন। ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য বেশ ভালো সময়। শারীরিক বিষয় নিয়ে সমস্যা হতে পারে। নিজের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য অর্থ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। আর্থিক ব্যয় বাড়বে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণামূলক কাজে সফলতা পাবেন। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। দাম্পত্য জীবনে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন। 

তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): এ সপ্তাহটি আপনার জন্য বেশ ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে। সাফল্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। প্রেমে সফলতা পাবেন। মানসিক দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় অনেক বিষয় সফলতা পাবেন। প্রতিযোগিতামূলক কাজে সফলতা পাবেন। আর্থিক পরিস্থিতি উঠানামা করবে।

বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে অগ্রসর হোন। পারিবারিক বিষয়ের মতের অমিল ও ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। দাম্পত্য জীবনে সংযমী আচরণ করা উচিত।মানসিক অবসাদগ্রস্ততায় ভুগবেন। আয় ভালো হবে। নতুন কোনো কাজের পরিকল্পনায় সাফল্য লাভ করবেন। কর্মসূত্র ভ্রমণের যোগাযোগ তৈরি হবে। বিনিয়োগের জন্য ভালো সময়।

ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): কোনো কারনে হতাশায় ভুগতে পারেন। অনিয়ন্ত্রিত ব্যয়ের কারণে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হবে। এ সপ্তাহে আপনি সাফল্য আস্বাদন করতে পারবেন। পারিবারিক শান্তি বৃদ্ধি পাবে। সাংগঠনিক ও সামাজিক কাজে সফলতা পাবেন। ব্যবসায়িক ও পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। রোমান্টিক সম্পর্কে দৃঢ়তা প্রয়োজন। দুর্ঘটনা বিষয় নিয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকার চেষ্টা করবেন। হতাশা নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করুন।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): মানসিকভাবে প্রাণবন্ত থাকবেন। এ সপ্তাহে আপনার কর্মউদ্দীপনা বাড়বে। মানসিক উত্তেজনা অনুভব করবেন। স্পষ্ট কথা বলার প্রবণতা বাড়বে। আর্থিক যোগাযোগ শুভ। রোমান্স শুভ। ভ্রমণ শুভ। শত্রুতা পরিহার করার চেষ্টা করুন। আর্থিক যোগাযোগ শুভ। রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ। কর্মের জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। ব্যবসায় বাণিজ্য বিষয়ক দিক শুভ। যানবাহন চলাচলে সতর্ক থাকুন।

কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): ভালো সময় কাটবে। আর্থিক বিষয় শুভ। প্রেমে সফলতা পাবেন। আয় উন্নতির সুযোগ পাবেন। পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। ভ্রমণ শুভ।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আর্থিক দিক থেকে সমৃদ্ধ থাকবেন। চাকরি ও পেশাগত বিষয়ে সফলতা আসার সম্ভবনা আছে। ভ্রমণ শুভ। প্রভাবশালী কারো সহযোগিতা পেতে পারেন। রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ। মানসিকভাবে সতেজ থাকবেন। পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে লাভবান হওয়ার সম্ভবনা আছে। আর্থিক ব্যয় বাড়বে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণামূলক কাজে সফলতা পাবেন। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। দাম্পত্য জীবনে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ ফল প শ গত ক জ ভ রমণ শ ভ ব যবস য ব যবস য় স ফল য র জন য আর থ ক আগস ট করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকার: এক বছরে সফলতা ও ব্যর্থতা

গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের মূল্যায়নে প্রশংসা ও সমালোচনা-উভয় দিকই সামনে এসেছে। সরকারের এক বছরের সফলতা-ব্যর্থতার আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে অর্থনীতি, বিচার সংস্কার এবং মব ভায়োলেন্সের মতো ইস্যুগুলো।

অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা কী এই প্রশ্নে অর্থনীতিতে ব্যাংক, বাজার, রিজার্ভসহ সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সরকার কৃতিত্ব পাচ্ছে।

তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির, মব ভায়োলেন্স, মৌলিক সংস্কার এমনকি বিচার প্রক্রিয়ার কিছু বিষয়ে সরকারের ভূমিকার নানা সমালোচনা করছেন পর্যবেক্ষক এবং বিশ্লেষকরা।

আরো পড়ুন:

রাজনীতিতে পরিবর্তন ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে

স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি, আগামীতে সুফল পাওয়া যাবে

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর আন্দোলনকারী সব পক্ষের সমর্থনে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের সামনে সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন অনুষ্ঠান এই তিনটি বড় দায়িত্ব ছিল।

এছাড়া ভঙ্গুর অবস্থা থেকে দেশের অর্থনীতিকে সামাল দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল সরকারের সামনে।

অর্থনীতির স্থিতিশীলতা
অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা এবং বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রশংসা রয়েছে। তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়ন না হওয়ায় দুর্বলতার কথাও সামনে আনছেন অর্থনীতিবিদরা।

সরকারের এক বছরের মূল্যায়ন করে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “যে অর্থনীতি এ সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিল সেটা তো খুবই জটিল অবস্থার ভেতরে ছিল।”

তিনি বলেন, “অর্থনীতিতে সামষ্টিক স্থিতিশীলতার একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছিল সরকারের পক্ষ থেকে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা, টাকার পতন আটকানো, সুদের হার একটা অবস্থায় রাখা, বাজেট ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি। কাজের ভেতরে সাফল্য এসেছে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।”

তবে অর্থনীতির এই সাফল্যটা মূলত হয়েছে বাইরের খাতে বা এক্সটার্নাল সেক্টরে। অর্থাৎ রেমিট্যান্স বেড়েছে, রপ্তানি চালু আছে, আমদানি কম হওয়ার ফলে বৈদেশিক লেনদেনে একটা ভারসাম্য এসেছে এবং সরকার অনেক পুরোনো বিদেশি ঋণ শোধ করেছে। এই সময়কালে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সে অর্থে কমেনি বলেও মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তবে তার দৃষ্টিতে কর আহরণ বা আরো কার্যকরভাবে সরকারের বিনিয়োগ বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অনেক বড় দুর্বলতা রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় দুর্বলতা রয়ে গেছে আমরা ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ চালু করতে পারিনি। যে কর্মসংস্থানের আকাঙ্ক্ষা থেকে ছাত্র গণঅভ্যুত্থান হলো সেই কর্মসংস্থানের জায়গাটা দুর্বল রয়ে গেল।”

অর্থনীতিতে সরকারের সমস্যার জায়গা তুলে ধরে তিনি বলছেন, “সরকার অনেক সংস্কারের কথা বলে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মধ্যমেয়াদী নীতিকাঠামো দেওয়া হয়নি অর্থনীতির।”

তিনি উল্লেখ করেন, “সফল হয়েছে কি ব্যর্থ হয়েছে এটা কোনো লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আমি মূল্যায়ন করব, এটা পারছি না। আমি যেটা পারি সেটা হলো যে আগে কী ছিল, এখন কী হয়েছে। সেহেতু আগের সাথে পরের তুলনা করে আমরা দেখি যে একটা মিশ্র পরিস্থিতি এখানে আছে।”

বিচার ও সংস্কার
অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে বড় দায়িত্ব ছিল জুলাই হত্যার বিচার এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে নির্বাচন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মৌলিক কিছু সংস্কার করা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন তিনটি ক্ষেত্রেই কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।”

জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার একটি রূপরেখা দিয়েছে। তবে বিচার ও সংস্কার ইস্যুতে অগ্রগতির বেলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

গত এক বছরে বিচার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বিচার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ, এ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।”

কারণ হিসেবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “ঢালাও মামলার ব্যাপারে শুরু থেকেই তাদের উদ্বেগ রয়েছে। এটি কোনো দেশেই বিচার প্রক্রিয়ার জন্য সুষ্ঠু না বলে তারা মনে করেন।”

এ বিষয়ে সরকারের একটা অবস্থান আছে যে মামলাগুলো সরকার করে না, সে কথা উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন,“এটা ঠিক। কিন্তু এটাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিকারের উপায় তো সরকারকেই বের করতে হবে। সেদিকে আমরা তেমন কিছু দেখি না। কতটুকু বিচার, কতটুকু প্রতিশোধ এই প্রশ্নটা ওঠা খুবই যৌক্তিক, যেভাবে চলছে। অন্যদিক থেকে আবার বিচারকেন্দ্রিক অনিয়ম-দুর্নীতি-যেমন মামলা বাণিজ্য, গ্রেপ্তার বাণিজ্য, জামিন বাণিজ্য এই বিষয়গুলো মোটামুটি এক ধরনের স্বাভাবিকতায় রূপান্তর করা হয়েছে।”

ইফতেখারুজ্জামান সরকার গঠিত দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ছিলেন, এছাড়া জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনেরও সদস্য।

তিনি বলছেন, “দ্বিতীয় পর্যায়ে যে পাঁচটি সংস্কার কমিশন, সে কমিশনগুলো যথাযথ সময়ে রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আশু করণীয় প্রস্তাবনাগুলো জমা দিয়েছে সরকারের কাছে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা নেই, কোনো অগ্রগতি নেই।”

তার ভাষায়, “দুদক সংস্কার কমিশনসহ প্রথম দফার ছয়টি কমিশনের মধ্যে যে পাঁচটি কমিশনের আশু করণীয় প্রস্তাবগুলো এসেছে সেগুলোর ভাগ্যে কী হয়েছে এ প্রশ্নের জবাব কিন্তু সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। যদিও সরকার বলছে ‘পদক্ষেপ নিচ্ছি’, কিন্তু বাস্তবে বলার মতো কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে পিক অ্যান্ড চুজ। যেমন প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে কমিশনের শতাধিক সুপারিশ ছিল, তার মধ্যে থেকে দেড় ডজনের মতো সুপারিশ পিক করা হয়েছে; যেখানে প্রাধান্যটা যদি দেখি, একটা দৃষ্টান্ত হচ্ছে- টয়লেট পরিষ্কার রাখতে হবে। বাংলাদেশে প্রশাসন সংস্কারের যে মৌলিক যায়গাগুলো সেগুলো কোথায়?”

আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও ‘মব ভায়োলেন্স’
অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক বছরে সারা দেশে ‘মব ভায়োলেন্স’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন বলেন, “সরকার বা সেনাবাহিনী বলছে যে মব ভায়োলেন্স টলারেট করবে না। কিন্তু কার্যত আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মবের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং আমরা দেখেছি যে সরকার বিভিন্ন সময় একে বৈধতা দিয়েছে বলে মনে হয়েছে।”

মব নিয়ে সমালোচনার মুখে বিভিন্ন সময় সরকারের উপদেষ্টারা বলেছেন, মব ভায়োলেন্সকে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করে না, এমনকি এর সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উন্নতির জন্য সরকার সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে রেখেছে। সরকারের দাবি, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের চেষ্টার ঘাটতি নেই।

সূত্র: বিবিসি

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অন্তর্বর্তী সরকার: এক বছরে সফলতা ও ব্যর্থতা