Risingbd:
2025-11-07@22:40:46 GMT

এ সপ্তাহের রাশিফল (৯-১৫ আগস্ট)

Published: 9th, August 2025 GMT

এ সপ্তাহের রাশিফল (৯-১৫ আগস্ট)

সাফল্য লাভের জন্য কর্ম যথেষ্ট নয়। দরকার সঠিক কর্মকৌশল, সহনশীলতা এবং কিছু বিষয়ে সচেতনতা। আর তাতেই আপনি জীবনের প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করতে পারবেন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্রী ড.

চিন্ময় চৌধুরী মিথুন।

মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): শারীরিক সুস্থতায় মনোযোগী হোন। আর্থিক পরিস্থিতি ভালো যাবে। প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারবেন। পারিবারিক ও কর্মজীবনে সুনাম বৃদ্ধি পাবে। পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। মনের জোর ও প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়বে। সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবস্যা বাণিজ্যে নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।

আরো পড়ুন:

এ সপ্তাহের রাশিফল (২-৮ আগস্ট)

এ সপ্তাহের রাশিফল (২৬ জুলাই-১ আগস্ট)

বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): দ্বিধাদ্বন্দ্ব বাড়বে। অর্থ প্রাপ্তির৷ সম্ভবনা আছে।। কর্মক্ষেত্রে নানামুখী চাপে থাকবেন। দাম্পত্য ক্ষেত্রে মানিয়ে চলতে হবে। অপ্রত্যাশিত কারণে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।আত্মবিশ্বাস বাড়বে। পারিবারিক শান্তি বৃদ্ধি পাবে। সামাজিককাজে ব্যস্ততা বাড়বে। ব্যবসায়িক ও পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। দুর্ঘটনা বিষয় নিয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকার চেষ্টা করবেন।

মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): রাগ, হতাশাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় আপনার জন্য শুভ নয়। আর্থিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। কোনো বন্ধুর সহযোগিতা পেতে পারেন। উদারতার কারণে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। রোমাঞ্চ শুভ। রাজনীতি ও জনসংযোগ কাজে সফলতা পাবেন। এ সপ্তাহে নানামুখী চাপে থাকতে পারেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিনিয়োগে সফলতা পাবেন। কর্মব্যস্থতা বাড়বে। সাংসারিক বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): শারীরিক বিষয় নিয়ে উদ্বেগ বাড়বে। আর্থিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। প্রেম ও রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ। প্রিয়জন কারো সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সৃজনশীল কাজে সফলতা পাবেন। অস্থিরতা বাড়বে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়বে। প্রিয়জন আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে। যাত্রা শুভ।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): সফলতা আসবে। পারিবারিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। তবে প্রিয়জনের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। পেশাগত কাজে দায়িত্ব বাড়বে। ভ্রমণ শুভ। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করুন। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। আয় উন্নতির সুযোগ পাবেন। ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হবে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন।

কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): মানসিকভাবে সতেজ থাকবেন। ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য বেশ ভালো সময়। শারীরিক বিষয় নিয়ে সমস্যা হতে পারে। নিজের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য অর্থ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। আর্থিক ব্যয় বাড়বে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণামূলক কাজে সফলতা পাবেন। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। দাম্পত্য জীবনে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন। 

তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): এ সপ্তাহটি আপনার জন্য বেশ ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে। সাফল্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। প্রেমে সফলতা পাবেন। মানসিক দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় অনেক বিষয় সফলতা পাবেন। প্রতিযোগিতামূলক কাজে সফলতা পাবেন। আর্থিক পরিস্থিতি উঠানামা করবে।

বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে অগ্রসর হোন। পারিবারিক বিষয়ের মতের অমিল ও ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। দাম্পত্য জীবনে সংযমী আচরণ করা উচিত।মানসিক অবসাদগ্রস্ততায় ভুগবেন। আয় ভালো হবে। নতুন কোনো কাজের পরিকল্পনায় সাফল্য লাভ করবেন। কর্মসূত্র ভ্রমণের যোগাযোগ তৈরি হবে। বিনিয়োগের জন্য ভালো সময়।

ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): কোনো কারনে হতাশায় ভুগতে পারেন। অনিয়ন্ত্রিত ব্যয়ের কারণে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হবে। এ সপ্তাহে আপনি সাফল্য আস্বাদন করতে পারবেন। পারিবারিক শান্তি বৃদ্ধি পাবে। সাংগঠনিক ও সামাজিক কাজে সফলতা পাবেন। ব্যবসায়িক ও পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। রোমান্টিক সম্পর্কে দৃঢ়তা প্রয়োজন। দুর্ঘটনা বিষয় নিয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকার চেষ্টা করবেন। হতাশা নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করুন।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): মানসিকভাবে প্রাণবন্ত থাকবেন। এ সপ্তাহে আপনার কর্মউদ্দীপনা বাড়বে। মানসিক উত্তেজনা অনুভব করবেন। স্পষ্ট কথা বলার প্রবণতা বাড়বে। আর্থিক যোগাযোগ শুভ। রোমান্স শুভ। ভ্রমণ শুভ। শত্রুতা পরিহার করার চেষ্টা করুন। আর্থিক যোগাযোগ শুভ। রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ। কর্মের জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। ব্যবসায় বাণিজ্য বিষয়ক দিক শুভ। যানবাহন চলাচলে সতর্ক থাকুন।

কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): ভালো সময় কাটবে। আর্থিক বিষয় শুভ। প্রেমে সফলতা পাবেন। আয় উন্নতির সুযোগ পাবেন। পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। ভ্রমণ শুভ।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আর্থিক দিক থেকে সমৃদ্ধ থাকবেন। চাকরি ও পেশাগত বিষয়ে সফলতা আসার সম্ভবনা আছে। ভ্রমণ শুভ। প্রভাবশালী কারো সহযোগিতা পেতে পারেন। রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ। মানসিকভাবে সতেজ থাকবেন। পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে লাভবান হওয়ার সম্ভবনা আছে। আর্থিক ব্যয় বাড়বে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণামূলক কাজে সফলতা পাবেন। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। দাম্পত্য জীবনে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ ফল প শ গত ক জ ভ রমণ শ ভ ব যবস য ব যবস য় স ফল য র জন য আর থ ক আগস ট করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিবাহে ‘মোহরে ফাতেমি‘ কী?

“মোহরে ফাতেমি” মুসলিম বিবাহে একটি বহুল আলোচিত ধারণা, যাকে মূলত নারীর অধিকার, সম্মান ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতীক বলা যায়।

‘মোহর’ বা ‘মাহর’ শব্দটি আরবি “মাহর” থেকে এসেছে, যার অর্থ, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে নির্ধারিত অর্থ বা সম্পদ, যা বিবাহের অধিকার হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করতে হয়।

‘মোহরে ফাতেমি’ বলতে বোঝানো হয় সেই পরিমাণ মাহর, যা নবীজি (স.) তাঁর কন্যা ফাতিমা (রা.)-এর বিয়েতে নির্ধারণ করেছিলেন। এটি মুসলিম ইতিহাসে আদর্শ মাহরের মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।

মোহরে ফাতেমির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

রাসুলুল্লাহ (স.)-এর কন্যা ফাতিমা (রা.)-এর বিয়ে হয়েছিল আলী ইবনে আবি তালিব (রা.)-এর সঙ্গে। এই বিয়েতে নবীজি (স.) যে পরিমাণ মোহর নির্ধারণ করেছিলেন, সেটিই পরে “মোহরে ফাতেমি” নামে পরিচিত হয়।

ইমাম বায়হাকি ও ইবনে মাজাহ-এর বর্ণনা অনুযায়ী, মোহরে ফাতেমি ছিল ৫০০ দিরহাম রূপা (প্রায় ১.৫ কেজি রূপা)। (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৮৮৭; আল-বায়হাকি, আস-সুনান আল-কুবরা, খণ্ড ৭, পৃ. ২৩৩)

আরও পড়ুনমুসলিম বিবাহে ‘কুফু’ অর্থ কী২৩ অক্টোবর ২০২৫

মোহরের গুরুত্ব

কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “তোমরা নারীদের মাহর (মোহরানা) স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রদান করো।” (সুরা আন-নিসা, আয়াত: ৪)

অর্থাৎ, এটি কোনো উপহার নয়, বরং স্ত্রীর ন্যায্য অধিকার।

নবীজি (স.) বলেছেন, “সবচেয়ে উত্তম বিবাহ হলো সেই বিবাহ, যার মোহর সবচেয়ে সহজ।” (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৮৮৭)

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, ইসলাম চায় না মোহর এমন ভারী হোক যাতে বিবাহ কঠিন হয়ে যায়। বরং, সহজ, পরিমিত ও সম্মানজনক পরিমাণ হওয়াই সুন্নাহ।

মোহরে ফাতেমির প্রতীকী অর্থ

“মোহরে ফাতেমি” কেবল একটি অর্থমূল্য নয়, বরং এটি মুসলিম সমাজে নারীর মর্যাদা ও আত্মসম্মানের প্রতীক। এর মাধ্যমে নবীজি (স.) মুসলিম সমাজকে একটি বার্তা দিয়েছেন যে, নারী কোনো বোঝা নয়, বরং মর্যাদাপূর্ণ একজন মানুষ, যার নিজের অধিকার আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন।

একইসাথে এটি ইসলামে সামাজিক ভারসাম্যের একটি নিদর্শন—যেখানে মোহর এমন নির্ধারণ করা হয়, যা গরিব ও ধনীর উভয়ের জন্যই বাস্তবসম্মত।

মোহরে ফাতেমির আর্থিক মান

ইতিহাসবিদ ইমাম নববী ও ইবনে হাজার আসকালানি উল্লেখ করেছেন, এক দিরহাম প্রায় ২.৯৭৫ গ্রাম রূপা সমান।

তাহলে ৫০০ দিরহাম × ২.৯৭৫ গ্রাম = প্রায় ১৪৮৭.৫ গ্রাম (১.৫ কেজি রূপা)।

বর্তমান সময়ের হিসাবে, বাংলাদেশে যদি প্রতি ভরি (প্রায় ১১.৬৬ গ্রাম) রূপার দাম ধরা হয় প্রায় ১৫০০ টাকা, তাহলে মোহরে ফাতেমির আর্থিক মান দাঁড়ায় প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। বাজারদর অনুসারে পরিবর্তনশীল।

এই হিসাব শুধুমাত্র একটি রেফারেন্স—মূল উদ্দেশ্য হলো, মাহর যেন পরিমিত, বাস্তবসম্মত ও সম্মানজনক হয়।

আরও পড়ুননারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে কী বলে ইসলাম২৮ আগস্ট ২০২৫

মোহরে ফাতেমি কি বাধ্যতামূলক?

না, মোহরে ফাতেমি বাধ্যতামূলক নয়। ইসলামি শরিয়তে প্রতিটি বিবাহের মোহর দুই পক্ষের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল।

তবে নবীজি (স.)-এর কন্যার মোহরকে আদর্শ ধরা হয়, কারণ এটি বিনয়, সরলতা ও ন্যায়ের প্রতীক। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেন, “মোহরে ফাতেমি একটি সুন্নাহস্বরূপ নির্ধারণ। চাইলে এর কম বা বেশি নির্ধারণ করা বৈধ।” (আল-ফাতাওয়া আল-হিন্দিয়া, খণ্ড ১, পৃ. ২৯৪, দারুল ইহইয়া, কায়রো সংস্করণ)

অতএব, কেউ মোহরে ফাতেমি পরিমাণ নির্ধারণ করলে তা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়), কিন্তু তার চেয়ে কম বা বেশি করলেও বিবাহ বৈধ।

আধুনিক প্রেক্ষাপটে মোহরে ফাতেমির তাৎপর্য

বর্তমান সমাজে অনেকেই মোহরকে “আনুষ্ঠানিকতা” মনে করেন, আবার কেউ কেউ মোহরকে “চাপ বা মূল্য” হিসেবে বিবেচনা করেন—যা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ ভুল।

মোহর নারীর আত্মসম্মানের প্রতীক, পুরুষের দায়িত্ববোধের প্রকাশ এবং বিবাহ বন্ধনের আর্থিক নিশ্চয়তা।

একজন আধুনিক মুসলিম নারী হিসেবে ফাতিমা (রা.) ছিলেন নবীজির গৃহের মর্যাদার কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর নামেই নির্ধারিত এই মোহর আজও মুসলিম সমাজে “সুন্নাহ মোহর” হিসেবে সম্মানিত।

সমাজে বিবাহ সহজ করা ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিকোণ থেকে, মোহরে ফাতেমি আমাদের সামনে এক সমতা ও সংযমের মডেল হিসেবে দাঁড়ায়।

অতএব, মুসলিম সমাজের উচিত মোহরকে বোঝা নয়, বরং ভালোবাসা, দায়িত্ব ও সম্মানের প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখা।

আরও পড়ুনবিবাহের সুন্নত 'ওয়ালিমা'১২ জানুয়ারি ২০১৮

সম্পর্কিত নিবন্ধ