আবদুল হামিদ মানুষের গণতন্ত্র হত্যা করেন: নাহিদ
Published: 26th, July 2025 GMT
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “কিশোরগঞ্জবাসী ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি আপনাদের বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার কাছে তুলে দিয়েছিলেন। মানব অধিকার, গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন। আপনারা এই কিশোরগঞ্জ থেকেই ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।”
তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরেও মানুষের অধিকার আদায় হয়নি। দেশে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে দুর্নীতি চিরতরে বিলুপ্ত করা যায়নি।”
শনিবার (২৬ জুলাই) রাত ৯টায় কিশোরগঞ্জে জেলা শহরের পুরানথানা এলাকার পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন হবে: নাহিদ
নতুন বাংলাদেশে কেউ প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়: নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা বলেছিলাম, “গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পুরানো ব্যবস্থা রয়েছে, শেখ হাসিনার যে সরকার ব্যবস্থা ছিল তা পাল্টিয়ে নতুন রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে। নতুন সরকার তৈরি করতে হবে। আফসোসের বিষয়, আমরা এখনো নতুন দেশ পাইনি।”
পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন- এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে মৌলভীবাজারে পথসভা শেষে সন্ধ্যায় এনসিপি'র নেতৃবৃন্দের গাড়িবহর কিশোরগঞ্জে পৌঁছায়। পরে, প্রশাসনিক প্রটোকল শেষ করে শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামের সামনের সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি স্টেশনরোড হয়ে সভাস্থল পুরানথানা এলাকায় পথসভায় যোগ দেয়।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম জ ত য় ন গর ক প র ট ক শ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই ৩৬ কর্ণার’ উদ্বোধন
জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তিতে মাসব্যাপী গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘জুলাই ৩৬ কর্নার’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের তৃতীয় তলায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্নার উদ্বোধন করেন। এতে গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন আলোকচিত্র, পেপার কাটিং, গ্রন্থসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট রাখা হয়েছে।
এ সময় উপাচার্য বলেন, “সব ধরনের অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা তাদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছে। আমার বিশ্বাস ‘জুলাই ৩৬ কর্নার’ তারই একটি স্থায়ী অবস্থান। এ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল এই কর্নারে মাধ্যমে তা স্থায়ী রূপ নিতে ভূমিকা রাখবে।”
আরো পড়ুন:
রাকসু: দীর্ঘ ৩৫ বছর অপেক্ষার অবসান ঘটাবে যে নির্বাচন
কুয়েটে অচলাবস্থার ১৬০ দিন, ক্লাস শুরু মঙ্গলবার
তিনি আরো বলেন, “জুলাই-আগস্টে যে আত্মত্যাগের ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে তা বর্তমান, ভবিষ্যৎ ও অনাগত প্রজন্ম আরো গবেষণার মধ্য দিয়ে একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস তৈরি করবে। এজন্য যাদের কাছে নতুন তথ্য ও ডকুমেন্ট আছে, তাদের এখানে জমাদানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের মতো জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানও একই স্পিরিটে স্মরণ করা হবে।”
কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার উদ্রেক যেন না হয়, সেজন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান উপাচার্য।
উদ্বোধন শেষে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মো: আব্দুল হাকীম।
এরপর অতিথিবৃন্দ ‘জুলাই ৩৬ কর্নার’ ঘুরে দেখেন। শেষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের আশেপাশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করেন তারা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, জুলাই গণঅভ্যুত্থান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলমের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, অগ্নিবীণা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. হারুনুর রশিদ, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও জুলাই গণঅভ্যুথান উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব মো. অলি উল্লাহ, গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহা. আজিজুর রহমান প্রমুখ।
ঢাকা/মুজিবুর/মেহেদী