বনানীতে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজন নিহত
Published: 9th, August 2025 GMT
রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনের সামনে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উড়ালসড়কের বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে দুজন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে পুলিশ। তাঁরা দুজন হলেন শওকত হোসেন কানন (৪৫) ও নাজমুল হুদা রিন্টু (৪৬)। এ ঘটনায় গাড়ির ভেতরে থাকা হাসনাত নামের একজন আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার পরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা রাসেল সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার পর বনানীর সেতু ভবনের সামনে একটি জিপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে উড়ালসড়কের বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে গাড়ির আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরে গাড়ির ভেতর থেকে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে নাজমুল হুদাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও শওকত হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, নিহত শওকত হোসেন বেসরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। তিনি রাজধানীর হাজারীবাগের কানন মনেশ্বর রোডের বাসিন্দা মৃত মুন্না হোসেনের ছেলে। আর নিহত নাজমুল হুদা চামড়ার ব্যবসায়ী।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা
বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ আদেশ দেন।
‘উচ্ছেদ–আতঙ্কে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা’ শিরোনামে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ এ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উৎপল বিশ্বাস, সৌমিত্র সরদার, বিপ্লব কুমার পোদ্দার ও হিন্দোল নন্দী সোমবার রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জামিলা মমতাজ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
অন্যতম রিট আবেদনকারী উৎপল বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের কলোনি থেকে উচ্ছেদ করা থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চার আইনজীবী রিটটি করেন। ১৭০ বছর ধরে তাঁরা ওখানে আছে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে উচ্ছেদপ্রক্রিয়ায় তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। ফলে যে যেভাবে আছে, সেভাবে থাকবে, অর্থাৎ আপাতত তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।’
প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্ছেদ-আতঙ্কে আছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের হরিজন সম্প্রদায়ের (সুইপার) একটি কলোনির বাসিন্দারা। নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠপট্টি এলাকার ওই কলোনিতে ৩৯টি সংখ্যালঘু হরিজন পরিবার বসবাস করে। সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, আগামী দুর্গাপূজার পর তাদের এই কলোনি ছেড়ে দিতে হবে। এতে উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন এই কলোনির বাসিন্দারা।
এই উচ্ছেদপ্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে নগর ভবনে গিয়ে কলোনির বাসিন্দারা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাসিন্দাদের দাবি শতাধিক বছর ধরে তাঁরা নগরের কাঠপট্টি এলাকার এই কলোনিতে বসবাস করে নগরের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করছেন। এত বছরেও তাঁদের উচ্ছেদের চেষ্টা হয়নি। কিন্তু হঠাৎ তাঁদের নতুন জায়গায় যেতে বলা হয়েছে, যা তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।