ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
Published: 10th, May 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই স্থানে আপ ও ডাউন লাইনে দুইটি ট্রেনের দুইটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ চালু হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে পৈরতলা রেলক্রসিংয়ের কাছে চট্টগ্রাম থেকে আসা মালবাহী ট্রেনের একটি বগি এবং শনিবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকা থেকে আসা কক্সবাজারগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নবদম্পতি নিহত
যাত্রীর চাপে টিকিট ছাড়াই চললো মেট্রোরেল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো.
ঢাকা/পলাশ/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র হ মণব ড় য়
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে, প্রক্টরের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামালেন শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ। গত বছরের ১৭ জুলাইয়ের পরিপত্র অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের তিনি এ কথা জানান।
শুক্রবার সকালে ঢাবির ১৮টি হলে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই ওই কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে এবং হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ছাত্রদের বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। একপর্যায়ে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের ছাত্রীরা গেটের তালা ভেঙে বের হয়ে এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
রাত ২টার দিকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বাসভবনের সামনে আসেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের প্রায় এক ঘণ্টা আলাপ-আলোচনা হয়। পরে উপাচার্য বলেন, ‘হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হল প্রভোস্টের নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।’
উপাচার্যের ওই বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা ‘না, না’ বলে আপত্তি জানান এবং হলগুলোতে সম্পূর্ণভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করেন। তারা হলে হলে শিবিরের গুপ্ত কমিটি প্রকাশ ও ছাত্রদল কমিটির সদস্যদের শাস্তির দাবিও জানান।
শেষ পর্যন্ত প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে। এই ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা হাততালি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং স্লোগান দেন— ‘এই মুহূর্তে খবর এল, হল পলিটিকস নিষিদ্ধ হলো।’
পরে রাত ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে ফিরে যান।