ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই স্থানে আপ ও ডাউন লাইনে দুইটি ট্রেনের দুইটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ চালু হয়েছে। 

শনিবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে পৈরতলা রেলক্রসিংয়ের কাছে চট্টগ্রাম থেকে আসা মালবাহী ট্রেনের একটি বগি এবং শনিবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকা থেকে আসা কক্সবাজারগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নবদম্পতি নিহত

যাত্রীর চাপে টিকিট ছাড়াই চললো মেট্রোরেল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো.

জসিম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত মালবাহী ট্রেনের বগিটি ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে এবং কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বগিটি সকাল সোয়া ৭টায় উদ্ধার করা হয়। তবে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন ও স্লিপার মেরামত শেষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঢাকা/পলাশ/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র হ মণব ড় য়

এছাড়াও পড়ুন:

সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন

নবীজি (সা.) র আনুগত্য প্রদর্শনে সাহাবিগণ অনন্য সব দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। প্রথমত তাঁর আনুগত্য মানে আল্লাহর আদেশ পালন। দ্বিতীয়ত তাদের অন্তরে নবীজির প্রতি যে ভালোবাসা ছিল, সেই ভালোবাসার আহ্বানে তারা সাড়া দিয়েছেন। মানুষ তার সহজে মানে, যাকে সে ভালোবাসে। আমরা মাত্র তিনটি উদাহরণ উপস্থাপন করছি।

১. জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে উঠে নবীজি (সা.) বললেন, ‘বসো তোমরা।’ আবদুলাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শোনামাত্র মসজিদের দরজায় বসে গেলেন। তিনি ‘বসো’ শব্দটি শুনে নিজেকে আর এক পা এগোনোর অনুমতি দেননি; যেখানে ছিলেন, সেখানেই বসে গেলেন। নবীজি তাকে দেখলেন যে, তিনি দরজার মুখে বসে গেছেন। বললেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, এগিয়ে এসো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,০৯১)

২. আবু আবদুর রহমান ফাহরি (রা.) বলেন, নবীজির (সা.) সঙ্গে আমি হোনাইনের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম। গ্রীষ্মের দিনে আমরা প্রচণ্ড রোদের মধ্য দিয়ে চলছিলাম। একসময় সকলে গাছের ছায়ায় বসলাম। সূর্য হেলে পড়লে আমার বর্মটি পরলাম এবং ঘোড়ায় চড়ে নবীজির কাছে এলাম। তিনি তার তাঁবুতে ছিলেন। তাকে সালাম দিয়ে বললাম, আল্লাহর রাসুল, ‘আমাদের যাওয়ার সময় হয়েছে কি?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ এরপর তিনি ‘বেলাল’ বলে ডাক দিলেন। বেলাল (রা.) সামুরা গাছের নীচ থেকে ছুটে এলেন। তার ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল যেন পাখির ছায়া। তিনি বললেন, ‘আমি হাজির।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫,২৩৩)

আরও পড়ুনঅতিথিপরায়ণ সাহাবি উম্মু শুরাইক (রা.)০১ এপ্রিল ২০২৫

পাখির ছায়া’ বলার কারণ হলো, নবীজির আওয়াজ শোনামাত্র বেলাল (রা.) এত দ্রুত এসেছেন, যেন তার দু’পা মাটিতে ছিল না, ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল পাখির ছায়া।

৩. উসাইদ ইবনে জহির (রা.) বলেন, রাফে ইবনে খাদিজ (রা.) আমাদের কাছে এসে বললেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) তোমাদের একটি বিষয় নিষেধ করেছেন, যা তোমাদের জন্য উপকারী। তবে মনে রেখো, আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করা আরও বেশি উপকারী। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩,৮৯৭)

অর্থাৎ, আল্লাহর রাসুল যা বলেছেন, তাতে বাহ্যিক দৃষ্টিতে উপকারী বিষয় গ্রহণে নিষেধ করেছেন বোঝা গেলেও তাতে দ্বিধায় পড়েননি সাহাবিরা। বরং বুঝে নিয়েছেন যে, নিশ্চয় রাসুলের কথা মেনে নিলে আল্লাহ এর চেয়ে বেশি উপকার দেবেন।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.) কীভাবে বিবাদ মেটাতেন২০ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ