পিএসজি ছাড়বেন ‘সুপারম্যান’ দোন্নারুমা, আগ্রহী ম্যানসিটি-জুভেন্টাস
Published: 10th, May 2025 GMT
ইউরো জয়ের পর জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার বাজারদর তরতর করে বেড়ে গিয়েছিল। অথচ এসি মিলানের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করে ২০২১ সালে ফ্রি এজেন্টে পিএসজি যোগ দেন তিনি। বিনিময়ে প্যারিসের ক্লাবটি থেকে মৌসুমে ১২ মিলিয়ন ইউরো বেতন নেন।
ওই দোন্নারুমা চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন। গোলবারে পিএসজির ‘সুপারম্যান’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। লিভারপুলের বিপক্ষে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান ইতালির ৬ ফিট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার ২৬ বছর বয়সী গোলরক্ষক। আর্সেনালের বিপক্ষেও তিনি ছিলেন অসাধারণ।
পেনাল্টি বিশেষজ্ঞ এই দোন্নারুমা মৌসুম শেষে ছাড়তে পারেন পিএসজি। এমনকি দলটির স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিকের তাকে আটকানোর তেমন কোন চেষ্টা নেই। দোন্নারুমা গোলবারে বল ফেরানোয় অসাধারণ হলেও তার বল পাসিং সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। যে কারণে এনরিকের প্রিয় ছাত্র হতে পারেননি তিনি।
তার সঙ্গে পিএসজির চুক্তি আছে আর এক মৌসুম। চুক্তি শেষে ফ্রি এজেন্টে তাকে দলে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছিল ইতালির বর্তমান সময়ের সেরা ক্লাব ইন্টার মিলান। কিন্তু বাধ সেধেছে জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাব।
সংবাদ মাধ্যম স্পোর্ত ইতালিয়া দাবি করেছে, মৌসুম শেষে জুভেন্টাস তাকে দলে নিতে চায়। সেজন্য পিএসজিকে ৯ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছে। ম্যানসিটির প্রস্তাব অবশ্যই জুভেন্টাসের চেয়ে বড়। এদেরসনের বিকল্প গোলরক্ষক খুঁজছে সিটিজেনরা। পোর্তর ডিয়াগো কস্তা ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলার পছন্দের তালিকায় শুরুতে ছিলেন। এখন দোন্নারুমার বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছে ক্লাবটি।
তবে অর্থের বিচারে সবচেয়ে বড় প্রস্তাবটা সম্ভবত দিতে যাচ্ছে ম্যানইউ। তারা নাকি দোন্নারুমার জন্য ৫০-৬০ মিলিয়ন ইউরো দিতে প্রস্তুত। ম্যানইউ আগামী মৌসুমে নতুন গোলরক্ষক নেওয়ার কথা ভাবছে। আন্দ্রে ওনানার ওপর থেকে আস্থা হারিয়েছেন কোচ রুবেন আমোরিম। সব মিলিয়ে দলবদলের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প এসজ ফ টবল দলবদল প রস ত প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের প্যানেলকে ‘ভাড়াটিয়া’ আখ্যা দিয়ে একাংশের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ছাত্রঅধিকার পরিষদ যৌথভাবে ঘোষিত প্যানেলকে কেন্দ্র করে তীব্র বিরোধ দেখা দিয়েছে। ঘোষিত প্যানেলকে ‘ভাড়াটিয়া’ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ নামের সমন্বিত প্যানেল ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
বিচারকের ছেলে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ
নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে আশুগঞ্জ সার কারখানায় সমাবেশ
এ সময় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ শাখা ছাত্রদলের বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্যানেল ঘোষণার পরই ১৮তম ব্যাচের ৩০–৩৫ জনের একটি গ্রুপ স্লোগান দিতে শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তারা ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘আঠারো আঠারো’, ‘গর্জে উঠো আঠারো’, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে আঠারো’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে প্যানেল ঘোষণার প্রতিবাদ জানান। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
তাদের অভিযোগ, ঘোষিত প্যানেলটি ছাত্রদলের প্রকৃত কর্মীদের বাদ দিয়ে ‘ভাড়াটিয়া’ দিয়ে সাজানো হয়েছে।
বিক্ষোভরত নেতাকর্মীরা দাবি করেন, জকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে যদি ১৮ ব্যাচের কেউ স্থান পায়, তাহলে তাকে অবশ্যই ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হতে হবে এবং ব্যাচটি থেকে পাঁচজনকে স্থান দিতে হবে। অন্যথায় প্যানেল ঘোষণা হওয়ার আগে প্রতিটি মনোনীত প্রার্থীর সাংগঠনিক পরিচয় স্পষ্ট করে জানাতে হবে।
এসব দাবি না মানা হলে ‘ঐক্যবদ্ধ ১৮ ব্যাচ’ নামে আলাদা এক্সক্লুসিভ প্যানেল ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে ঘোষিত সমন্বিত প্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব (সহ-সভাপতি), শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খাদিজাতুল কুবরা (সাধারণ সম্পাদক) এবং আহ্বায়ক সদস্য বিএম আতিকুর রমান তানজিল (সহ-সাধারণ সম্পাদক)।
প্যানেলের অন্যান্য সম্পাদক পদে রয়েছেন—মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক অনিক কুমার দাস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নুসরাত চৌধুরী জাফরিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. মাশফিকুল ইসলাম রাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শাওন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস, আন্তর্জাতিক সম্পাদক অপু মুন্সী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক তাকরিম আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক মো. কামরুল হাসান নাফিজ, পরিবহন সম্পাদক মাহিদ হাসান, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক মো. আনন বিন রহমান এবং পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক রিয়াসাল রাকিব।
নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন—ইমরান হাসান ইমন, সাদমান সাম্য, সুলতান মাহমুদ শুভ, মনিরুজ্জামান মনির, তৌহিদুল ইসলাম তানিম ও মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ। আরও একজন নির্বাহী সদস্যের নাম পরে জানানো হবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী