পাকিস্তান সফরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, আমিরাত সিরিজ হবে
Published: 10th, May 2025 GMT
পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে অনিশ্চিত সময় পার করছে উপমহাদেশের ক্রিকেটও। এ মাসেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর এখন অনিশ্চিত।
আজ বিসিবির কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ। সভার পর আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিসিবি যদিও জানিয়েছে, পাকিস্তান সফরের আগে হতে যাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ঠিক সময়ে হবে, তবে পাকিস্তান সফর হবে কি না তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের নিরাপত্তাই বিসিবির কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সফর (পাকিস্তান) নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করে নেওয়া হবে, যেটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও দলের সর্বোচ্চ স্বার্থ দেখবে।’
এই বিবৃতির একটু আগেই মিরপুরের জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে সাঁতার ফেডারেশনের এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সফর ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি, ‘বর্তমানে যে পরিস্থিতি, এর মধ্যে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। পাকিস্তান অ্যাম্বাসি থেকেও আমাদের নিরাপত্তাঝুঁকির বিষয়টি জানিয়েছে। বিসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা জানাবে।’
পাকিস্তান সফর এখনো স্থগিত করা না হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে হয়তো সে পথেই যাবে বিসিবি, পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে এফটিপির অধীন সিরিজটি। পরিচালকদের আজকের সভায়ও সে রকম আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গেছে। তবে বিসিবি চায়, দুই বোর্ডের বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে ঘোষণাটি আসুক পিসিবি থেকে। তাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সৌজন্যটা অন্তত রক্ষা হয়।
পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দলের যাওয়ার কথা শারজায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলে। বিসিবি জানিয়েছে, আমিরাত সিরিজটি নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই হবে। এ সময়ে পাকিস্তানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে বিসিবি। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে আজ এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেটি হলে পরিস্থিতি বদলাতেও পারে।
ওদিকে পিএসএল খেলতে যাওয়া বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা পাকিস্তান থেকে এরই মধ্যে দুবাই হয়ে দেশে ফিরেছেন। পিএসএলও আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন সফর পর স থ ত আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
বিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, দিশাহারা ও নেতৃত্বহীন অবস্থার মধ্যে আছে: সাবেক কর্মকর্তা অলিভার
বিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, দিশাহারা ও নেতৃত্বহীন অবস্থার মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সংবাদ নিয়ন্ত্রক ক্রেইগ অলিভার। বিবিসির মহাপরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদত্যাগের পর রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অলিভার এ কথা বলেন।
অলিভার বিবিসির দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি মনে করেন, বিবিসিতে যে পরিস্থিতি চলছে, তা সামাল দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আর তাতে পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
অলিভারের মতে, এই সংকট সময়ে প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য বিবিসির চেয়ারম্যান সমির শাহকেই এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু তিনি সে কাজটি যথাযথভাবে করছেন না বলে মনে করেন তিনি।
রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অলিভার আরও বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না, যা কিছু ঘটেছে তার বিষয়ে বিবিসির বক্তব্য কী।’
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস গতকাল রোববার রাতে পদত্যাগ করেন। বিবিসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠার পর তাঁরা দুজন পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
টিম ডেভি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কিছু ভুল হয়েছে এবং মহাপরিচালক হিসেবে শেষ পর্যন্ত আমাকে দায় নিতে হবে।’ আর বিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেবোরাহ টারনেস বলেন, ‘চূড়ান্তভাবে এই দায়ভার আমার।’ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুনবিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেসের পদত্যাগ১৩ ঘণ্টা আগেবিবিসির এডিটোরিয়াল গাইডলাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস কমিটির (ইজিএসসি) সাবেক পরামর্শক মাইকেল প্রেসকট বিবিসির সংবাদ পরিবেশনে পক্ষপাতিত্বের এই অভিযোগ তোলেন।
বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ জোড়া দেওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিতর্ক চলছে। এর মধ্যেই এ দুই কর্মকর্তা পদত্যাগ করলেন।
বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ট্রাম্পের দুটি আলাদা বক্তব্যকে জোড়া দিয়ে ওই তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়েছে। এটি বিভ্রান্তি তৈরি করছে। কারণ, জোড়া দেওয়া বক্তব্যটি শুনে মনে হচ্ছে, ট্রাম্প ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনায় উসকানি দিচ্ছেন। প্যানোরামায় গত বছর ওই তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুনঅপ্রত্যাশিত এই মুহূর্ত কি বিবিসির শীর্ষ পর্যায়ের বিভাজনকে তুলে ধরছে১ ঘণ্টা আগে