নড়াইলে হকার্স মার্কেটের অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ
Published: 14th, May 2025 GMT
নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ হকার্স মার্কেটের অর্ধশতাধিক টিনসেড দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। শহরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নড়াইল-যশোর সড়কের রূপগঞ্জ হকার্স মার্কেটে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ অধিকারী প্রমুখ। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ও ২৩ অক্টোবর ফোর লেন প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সে সময় নড়াইল পৌরসভা ও জেলা পরিষদসহ ৫টি মার্কেটের পৌনে ২ শ দোকান ঘর, কয়েকটি বাউন্ডারি ওয়াল ও ১২টি টিনসেড দোকান এবং ৩০টির বেশি ফুটপাতের কাঁচা অস্থায়ী ঘর উচ্ছেদ করা হয়।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় মহাসড়কের অংশ হিসেবে মালিবাগ থেকে শহরের ভেতর দিয়ে সীতারামপুর পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও ফোর লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ ২০২২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। ১শ ৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। সড়ক বিভাগের পক্ষে কাজটি তদারকি করছে সেনাবাহিনী।
নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান, রূপগঞ্জ এলাকায় হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মালামাল ও দোকান সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা এতে কর্ণপাত না করায় অর্ধশতাধিক অস্থায়ী টিনসেড দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ফোর লেন প্রকল্পের প্রায় ৮৫-৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হক র স ম র ক ট সড়ক ও জনপথ
এছাড়াও পড়ুন:
অতিতে চামড়া জোর করে নেওয়া হয়ছে, এবার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই : ডিসি
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানিকৃত পশুর চামড়া স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে নিরবিচ্ছিন্নভাবে লবণ সরবারহ ও প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়
এসময় জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা, নারায়ণগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা লবণ মালিক ও চামড়া ব্যবসায়িকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন,আমাদের মুসলামান ধর্মের সবচাইতে বড় উৎসবগুলো আছে তার মধ্যে একটি অন্যতম উৎসব আমরা সেই উৎসবে। আমাদের ধর্ম যে রীতি আছে সেখানে আমাদের যেত্যাগের যে ইতিহাস আছে আমরা সেই ইতিহাস
সেই রীতি অনুযায়ী আমরা পশু জবাই দিয়ে থাকি আজকে আমরা সবাই মিলে সেই পশুর কিভাবে পশুর চামড়া গুলো কিভাবে আমরা সুন্দরভাবে ম্যানেজমেন্টটা আওতায় নিয়ে আসবো পশুর চামড়াগুলো আমার সংরক্ষণ করবো। আমাদের লবণের কোনো ঘাটতি নেই।
আর জায়গা বিষয়টি হচ্ছে নিধারিত স্থান সংরক্ষণের জায়গায় ৭ থেকে ১০ দিন সর্বোচ্চ ১০ দিন সেখানে আপনাদের চামড়া গুলোর রাখতে পারবেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, যেহেতু চামড়া আমাদের একটি মূল্যবান সম্পদ আমরা বিদেশে চামড়া এক্সপোর্ট করে থাকি এবং এই চামড়া থেকে আমাদের দেশেরও অনেক শিল্প-কারখানা আছে।
আমাদের অনেকে চামড়া শিল্পের সাথে কাজ করে থাকে সুতরাং এই যে কাঁচামাল এটি যেন কোনভাবে আমাদের নষ্ট না হয় সচেতন হয়ে আমরা সুন্দরভাবে এই চামড়া ব্যবস্থাপনাটা করতে চাই।
কেউ কোনরকম কোন অশুদ্ধ উপায় অবলম্বন না করে সেটিও আমরা লক্ষ্য রাখবো।
অনেক সময় চাঁদাবাজে মতন ঘটনা ঘটে জোর করে চামড়া নিয়ে থাকে। সেগুলো যদি কারো মাথায় থেকে থাকে বলব এগুলো ভুলে যান। এই ধরনের কোন ঘটনা আমরা করতে দিব না এ ধারণার কাজ যে করবে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
অতীতে চামড়া জোর করে নেওয়া হয়েছে এ ধরনের কালচার আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি এবং এটা আর হবে না । হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।