একের পর এক ঘটনা, ভোট নিয়ে নানা আলোচনা
Published: 15th, May 2025 GMT
সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে যেমন উত্তেজনা তৈরি করেছে, তেমনি নানা আলোচনার জন্মও দিয়েছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আলোচনা ঢাকা পড়ে যাচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও সামনে এসেছে।
তবে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, কোনো ঘটনাই জাতীয় নির্বাচনের মতো জনদাবিকে আড়াল করতে পারবে না। জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ধারণাও একই রকম।
বিএনপি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করে নির্বাচনের পথনকশা চেয়ে আসছে। আর জামায়াত কিছু মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করে সম্ভব হলে ডিসেম্বরেই, তা না হলে আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান চায়।
এমন সময়ে ‘করিডর’ নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপের সৃষ্টি হয়। এই উত্তাপের মধ্যেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হঠাৎ তীব্রভাবে সামনে আসে।কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে সংঘটিত কিছু ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে। যার রেশ এখনো রয়ে গেছে। এর মধ্যে গত এপ্রিলের শেষ দিকে রাজনীতিতে প্রধান আলোচ্য বিষয়ে হয়ে ওঠে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে খাদ্যসহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবনা। সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা এ-সংক্রান্ত বক্তব্যের পর রাজনৈতিক দলগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাষ্ট্রব্যবস্থার নানামুখী সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চলছে। এমন সময়ে ‘করিডর’ নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপের সৃষ্টি হয়। এই উত্তাপের মধ্যেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হঠাৎ তীব্রভাবে সামনে আসে। গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাবে থাকা তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এতে জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামসহ কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক বিভিন্ন দলমতের অনুসারী নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা সমর্থন জোগান। এ দাবিতে টানা তিন দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ ঘিরে অবস্থান, অবরোধ ও গণজমায়েতের কর্মসূচির মধ্যে সরকার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নির্বিচার গুলি করে মানুষ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা, তাঁর সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের পাশাপাশি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
কিছু মানুষের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট দাবি থাকবেই। স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তির জন্য মানুষের ভোটাধিকার তো আটকে থাকবে নাআমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপিসংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত সপ্তাহের তিন দিনের এই আন্দোলন রাজনৈতিক মহলে নতুন ভাবনার উদ্রেক করেছে। আবার গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় তরুণদের মধ্যে বিভক্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ইসলামপন্থী দল ও সংগঠনগুলো এক জায়গায় এসেছে। এটাকে রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিরা আগামী নির্বাচন ও ভবিষ্যতের রাজনীতির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা মনে করছেন।
এনসিপির ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বলছে, গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার কয়েক দিনের মাথায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে হাসনাত আন্দোলনের ডাক দেন। এতে এনসিপির নেতৃত্বে শুরুতে দ্বিধা ছিল। পরে সবাই একসঙ্গে রাস্তায় নেমে ভূমিকা রাখলেও কৃতিত্ব যায় হাসনাতের অনুকূলে।তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার মতো বিষয়গুলো সামনে আসায় নির্বাচনের বিষয়টি আলোচনার বাইরে চলে যাচ্ছে, এমনটা মনে করেন না এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব৷ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি উল্টো অতি দ্রুত নির্বাচনকে বেশি ফোকাস করে বর্তমান জাতীয় স্বার্থ বা আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে শক্ত ভূমিকা রাখছে না৷ এনসিপির দিক থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতির অপসারণের মতো দাবিগুলো নির্বাচন পেছানোর জন্য তোলা হয়নি৷ এগুলো তোলা হয়েছে জাতীয় স্বার্থে৷
এনসিপির ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বলছে, গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার কয়েক দিনের মাথায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে হাসনাত আন্দোলনের ডাক দেন। এতে এনসিপির নেতৃত্বে শুরুতে দ্বিধা ছিল। পরে সবাই একসঙ্গে রাস্তায় নেমে ভূমিকা রাখলেও কৃতিত্ব যায় হাসনাতের অনুকূলে। এতে ভেতরে-ভেতরে এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বে অস্বস্তি ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। যদিও এনসিপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি করে আসছিল।
অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এর জন্য তো (আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে) অবরোধ করার দরকার নেই। বিএনপি লিখিতভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে। আমরা মনে করি, বিচারের মাধ্যমে এর সমাধান হবে।’
এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জাতীয় সংগীতের অবমাননার প্রতিবাদে ‘সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ নামে একটি কর্মসূচি হয়, যেখানে এনসিপির ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন অংশ নেয়।এ দিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পর উদ্যাপনের মধ্যেই সামনে আসে শাহবাগের গণজমায়েতের কর্মসূচিতে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কর্মী-সমর্থকদের বিতর্কিত স্লোগান এবং জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেওয়ার ঘটনা। এর রেশ ধরে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো.
এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জাতীয় সংগীতের অবমাননার প্রতিবাদে ‘সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ নামে একটি কর্মসূচি হয়, যেখানে এনসিপির ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন অংশ নেয়। এ বিষয়ে আরও কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে। এ ধরনের নতুন নতুন ঘটনা ও বিতর্ক জাতীয় নির্বাচনকে অনিশ্চয়তায় ফেলার চেষ্টা কি না, রাজনৈতিক মহলে সন্দেহের উদ্রেক করছে।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমরা মনে করি, কিছু বিষয়ে সংস্কার নির্বাচনের আগে জরুরি। রাজনৈতিক অংশীজনদের মৌলিক যে দাবিগুলো আছে, বর্তমান সরকার সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে সংস্কার করবেন এবং আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। অন্যথায় দেশে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।’
এই মুহূর্তে বিএনপির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে নির্বাচন। এই লক্ষ্যে দলটি একদিকে নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে; অন্যদিকে তরুণদের লক্ষ্য করে বিভাগীয় পর্যায়ে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার’ সমাবেশ শুরু করেছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা এখন নির্বাচন ছাড়া নতুন-পুরোনো কোনো ইস্যুকেই ধর্তব্যে আনতে চাইছেন না। বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, কিছু মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দাবি থাকবেই। স্বল্পসংখ্যক ব্যক্তির জন্য মানুষের ভোটাধিকার তো আটকে থাকবে না। তাঁর মতে, বিগত ১৫ বছর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মালিক ছিলেন। এখন বাংলাদেশের মানুষ নতুন কোনো মালিক দেখতে চায় না। অনেকের অনেক দাবি আছে, তাদের দাবিগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। নির্বাচনই এর সমাধান।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক র জন ত ক অ ন ষ দ ধ কর র র জন ত ক ত র জন য এনস প র ব এনপ র সরক র র ধ কর র ন র জন ইসল ম আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নোবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হলেন ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত এই অধ্যাপককে কাউন্সিলের সদস্য করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ মে) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন বলেন জানা গেছে। ওই সভার আগে দেওয়া এক চিঠিতে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, নোবিপ্রবি উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ২১(১)(চ) অনুসারে ২ বছরের জন্য অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়াকে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবিতে ছুটির ঘোষণায় রদবদল
নোবিপ্রবি ও তেখনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
সম্প্রতি নিষিদ্ধ সংগঠন নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ‘বিশ্ব মোড়লদের কথায় যুদ্ধের প্রক্সি দেশ হতে চলেছে বাংলাদেশ’ শিরোনামের ওই ভিডিওতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘আমেরিকান ডিপ স্টেটের পুতুল’ আখ্যা দিয়ে তাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়।
ভিডিওটির বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে উসকানিমূলক, মিথ্যাচারপূর্ণ এবং সুস্পষ্ট অপপ্রচারের শামিল হলেও অধ্যাপক ড. ইউসুফ মিয়া ওই ভিডিও’র নিচে মন্তব্য করে বলেন, “এতো সুন্দর করে অল্প বুঝালে জাহিদ। অভাগা বাঙালিদের বুঝ দাও হে দয়াময় প্রভু।”
এ মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একজন শিক্ষিত, দায়িত্বশীল অধ্যাপক কিভাবে এমন একটি ভিডিওতে প্রকাশ্যে প্রশংসা করেন, যেখানে রাজনৈতিক বিদ্বেষ, আন্তর্জাতিক অপপ্রচার এবং দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ভয়াবহ মিথ্যাচার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “একজন শিক্ষক যখন নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের উসকানিমূলক কন্টেন্টকে সমর্থন করেন, তখন তার অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ নয়, বরং পুরো শিক্ষাব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতার জন্যই হুমকি।”
অধ্যাপক ইউসুফ মিয়া অতীতেও আওয়ামী তথ্যপ্রযুক্তি লীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করে আসছেন। এতে করে তার মতো বিতর্কিত ব্যক্তিকে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ফ্যাসিস্টের সহযোগী এবং রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্যকে যারা উৎসাহিত করে, তাদের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা তুলে দেওয়া শুধু দায়িত্বহীনতা নয়, গণবিরোধী অবস্থানও। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন মুখে বললেও তাদের প্রশ্ন, এই বিতর্কিত অধ্যাপককে একাডেমিক কাউন্সিল থেকে বাদ দেওয়া হবে কি? নাকি রাজনৈতিক সুবিধার কারণে সবকিছু ধামাচাপা পড়বে?
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ তামজিদ হোসেইন চৌধুরী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী উপাচার্য মহোদয় সাতজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করতে পারেন। সেই অনুযায়ী অধ্যাপক ইউসুফ মিয়াকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।”
নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাকে মনোনীত করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে, যেগুলো ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে জমা পড়েছে। অভিযোগগুলো সত্য প্রমাণিত হলে তাকে একাডেমিক কাউন্সিল থেকে বাদ দেওয়া হবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী