ময়মনসিংহে ৬ বছর পর ছাত্রদলের জেলা ও মহানগর কমিটি
Published: 15th, May 2025 GMT
ছয় বছর পর ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে গঠিত হয়েছে আনন্দ মোহন সরকারি কলেজ এবং কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের কমিটিও। এ খবরে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের ব্যক্তিগত ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে এই কমিটি প্রকাশ করা হয়।
এতে আজিজুল হাকিম আজিজকে সভাপতি এবং রাকিব হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরাফাত রহমান জিম, সহ-সভাপতি শাহীন আহমেদ, হাসিবুল হাসান, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রুমান, মো.
আরো পড়ুন:
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রানা, সম্পাদক তৃষ্ণু
ময়মনসিংহ মহানগর কমিটির নেতারা হলেন, সভাপতি গোবিন্দ রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুরতাজা হোসাইন, সহ-সভাপতি রিপন মিয়া, ফজলে রাব্বি, মাহামুদুল হাসান অপু, সাধারণ সম্পাদক আল মোহাম্মদ রাফসান সামি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকিরুল হক তোহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, ইমন চৌধুরী শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ আকন্দ সাব্বির, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ সেফাত ফারুকী আনান।
উত্তর জেলার নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি নূরুজ্জামান সোহেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাইমুর আরেফিন পাপন, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, মাসুদ আলম (মাসুদুল আলম মাসুদ), নাদিম সারোয়ার টিটু, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম সুজা উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মনোয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান সরকার শাওন, রাসেল আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম রুবেল, দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তালুকদার।
নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ মোহন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি হুজ্জাতুল খান মুন, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসিফুল হাসান মৃধা, সহ-সভাপতি তৌহিদ জামান বিজয়, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক সরকার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাদিম আহমেদ মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিল তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক নাইমুল হাসান বাধন (যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা), প্রচার সম্পাদক ইমি আক্তার দোলা।
একই সঙ্গে গঠন করা হয়েছে কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের কমিটি। এই কমিটির নেতারা হলেন, সভাপতি আরিফ রাব্বানী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অরূপ মজুমদার সিজার।
আগামী ২১ দিন থেকে ১ মাসের মধ্যে আংশিক ঘোষিত এ সব কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা/মিলন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র ন সরক র র কম ট কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসাসামগ্রীর সংকট কেন থাকবে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিরিঞ্জ, ক্যানুলা, স্যালাইনসহ জরুরি চিকিৎসাসামগ্রীর সংকটে সেবা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অভ্যুত্থানের ৯ মাস পর এসে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের দলীয় সিন্ডিকেটের দোহাই দেওয়াটা কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনারই বহিঃপ্রকাশ। অথচ এসব জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী হাসপাতাল থেকেই রোগীরা পেয়ে থাকেন।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের জেলাগুলো থেকে জটিল ও সংকটাপন্ন রোগীরাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা শুরুর সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার গরিব রোগীদের অর্থেরও সংকট থাকে। ফলে স্বজনদের বাইরে থেকে চিকিৎসাসামগ্রী কিনে আনতে বলা মানে একদিকে যেমন দেরিতে চিকিৎসা শুরু করা, অন্যদিকে স্বজনদের ওপর বাড়তি আর্থিক চাপ তৈরি হওয়া। কেননা, এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৮০ শতাংশ দরিদ্র। এ বাস্তবতায় অনেক সময় রোগীর স্বজনদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। হাসপাতালটির এই পরিবেশ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, হাসপাতাল সূত্র জানায়, এক হাজার শয্যার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার ক্যানুলা প্রয়োজন হয়; কিন্তু সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার। মাসে ১৪ থেকে ১৫ হাজার স্যালাইন সেটের দরকার হলেও সরবরাহ করা হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার। হাসপাতালের ওয়ার্ড ও ল্যাব মিলে ১০, ৫ ও ৩ সিসি সিরিঞ্জ প্রতি মাসে দরকার প্রায় আড়াই লাখ। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজারের মতো।
আমরা মনে করি, চিকিৎসকেরা সভা করে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সরঞ্জাম নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহের জন্য হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে যে দাবি জানিয়েছেন, সেটা অত্যন্ত যৌক্তিক। হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য রোধ করার দাবিও তাঁরা জানিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, হাসপাতালের সুস্থ পরিবেশ রক্ষার দাবি কেন চিকিৎসকদের জানাতে হবে? প্রশাসন তাহলে কী করছে?
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহকারী ঠিকাদারেরা বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া। তাঁরা গা ঢাকা দেওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। নতুন ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিতে ৯ মাস লেগে যাবে?