সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আজ মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। অন্যদিকে প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী মানলেও ঘরের মাটিতে ট্রফি রেখে দিতে বদ্ধপরিকর স্বাগতিক ভারত। অরুনাচলের গোল্ডেন জুবলি স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ফাইনাল মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।
সোনালি ট্রফিটার জন্য অধির অপেক্ষা দুদলের। শিরোপার হাতছোঁয়া দূরত্বে থাকা লাল সবুজ বাহিনীর সামনে আর মাত্র একটা ম্যাচের অপেক্ষা। কোনো ম্যাচ না হেরেই ফাইনাল মঞ্চে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। অপরাজিত থাকার ব্যাপারটি আত্মবিশ্বাস দিলেও সাবধানী লাল সবুজ বাহিনী। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তাপ। স্বাগতিকদের শক্তিশালী মানলেও শিরোপা জয়ের মিশনে কোনোরকম ভুল করতে চায় না ফয়সালরা।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে এই ক্যাটেগরিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ফাইনালেই জয়ের আশা কোচ ছোটনের, ‘ফাইনালে দক্ষিণ এশিয়ায় সব সময় ভারত ফেভারিট। আশা করি, অরুণাচলের দর্শক ভালো ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা ফাইনাল উপভোগ করবে এবং আমরা জয়ের জন্য মাঠে নামব।’ সাফে বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা হয় অনূর্ধ্ব-১৮, ১৯ ও ২০– এই তিন ক্যাটেগরিতে। গত বছর অনূর্ধ্ব-২০ ক্যাটেগরিতে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
ভারতও এ টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অপরাজিত। ঘরের মাঠ আর হোম ক্রাউড নিজেদের পক্ষে থাকলেও টুর্নামেন্ট জুড়ে বাংলাদেশের দারুণ পারফরম্যান্স মাথা ব্যাথার কারণ জুনিয়র ব্লু টাইগারদের। ২০২৩ সালে বয়সভিত্তিক সাফের এই ক্যাটাগরিতে শিরোপা জিতেছিলো তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।