পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ পুলিশকে
Published: 19th, May 2025 GMT
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক পরিবেশ বিনষ্ট করার লক্ষ্যে গোপনে কেউ কেউ পাকিস্তানি পতাকা বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতার সব থানাকে অবিলম্বে বিষয়টির ওপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা এই নির্দেশ দেন।
মনোজ ভার্মা বলেছেন, কোথায় এবং কারা এই পতাকা তৈরি করছে? কারা কিনছে বা কোথায় যাচ্ছে ইত্যাদির দিকে নজর রাখতে হবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের পতাকা অপব্যবহার করে কেউ যাতে সমাজে ঘৃণা ছড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যে শনিবার কলকাতার বডিগার্ড লাইনে পুলিশের মাসিক ক্রাইম মিটিংয়ে কলকাতার সব থানাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার একটি রেল স্টেশনে পাকিস্তানের পতাকা টাঙিয়ে এই রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছিল একটি চক্র।
এর আগে ই-কমার্স সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি পতাকা বিক্রির অভিযোগ ওঠে। ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের প্রথমে নজরে আসে এই বিষয়টি।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী প্রহ্ণাদ যোশীকে এ নিয়ে চিঠি দেয় কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, একাধিক অনলাইন শপিং সাইটের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি পতাকাসহ ওই দেশের নানা সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। এরপরেই কলকাতা পুলিশ পাকিস্তানি পতাকা গোপনে বিক্রির ওপর কড়া নির্দেশ জারি করে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কলক ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আমি বিশ্বাস করি, ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবে: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
গতকাল রোববার নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ওই মামলায় তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়। আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বেলা ১১টা ১২ মিনিটে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো–
‘আমি সাধারনত চেষ্টা করি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজের বাইরে কথা না বলতে। কিন্তু আমার তো একটা পরিচয় আছে, আমি এই ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ ছিলাম এবং দুই দিন পর সেখানেই ফিরে যাবো। নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার বিব্রতকর একটা ঘটনা হয়ে থাকলো আমাদের জন্য। আমাদের সরকারের কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা। ঢালাও মামলার ক্ষেত্রে আমাদের পরিষ্কার অবস্থান প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না থাকলে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। এবং সেই নীতিই অনুসরণ করা হচ্ছিলো।
‘ফারিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলাতো অনেকদিন ধরেই ছিলো। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে গ্রেফতারের কোনো উদ্যোগ নেয়ার বিষয় আমার নজরে আসেনি। কিন্তু এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরেই এই ঘটনাটা ঘটে। আওয়ামী লীগের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের পর ওভার নারভাসনেস থেকেই হয়তোবা এইসব ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
কয়দিন আগে ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থের স্ত্রীর সঙ্গেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। এইসব ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না। আমি বিশ্বাস করি ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবে। এবং এই ধরনের ঢালাও মামলাকে আমরা আরো সংবেদনশীলভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবো—এই আশা। আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের প্রধান কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা।’