জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২২ সালের এমএ, এমএসএস, এমবিএ, এমএসসি, এম মিউজ ‘প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স’ পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণের যাবতীয় কার্যক্রম ২০ মে অনলাইনে শুরু হবে। পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি এবং অন্যান্য যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পরে জানানো হবে।

আবেদন ফরম পূরণ, ফরম জমাদানের সময় ও নিয়ম—

১.

অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের শুরু ও শেষ তারিখ: ২০-০৫-২০২৫ থেকে ২২-০৬-২০২৫।

২.

আবেদন ফরম কলেজ কর্তৃক নিশ্চয়নের শেষ তারিখ: ২৩-০৬-২০২৫ থেকে ২৪-০৬-২০২৫, রাত ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

৩.

পে-স্লিপ সংগ্রহ করে টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ২৫-০৬-২০২৫ থেকে ২৬-০৬-২০২৫, বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

৪.

বিবরণী ফরম ও অন্যান্য কাগজপত্র জমাদান, সংরক্ষণ: আবেদন ফরম পূরণ করে পরীক্ষার্থীদের অনলাইনে এন্ট্রি করা বিবরণী ফরম, ইনকোর্স ও মাঠকর্ম নম্বরের মূল ম্যানুয়াল কপি ও প্রিন্ট কপির এক কপি বিষয়ওয়ারি আলাদাভাবে সিলগালা করে নিজ নিজ কলেজ বা বিভাগ (ফলাফল ঘোষণার পরের চার মাস পর্যন্ত) সংরক্ষণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রে জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

*২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স পরীক্ষার ফি

১.

এমএ, এমএসএস, এমবিএ সব পত্রে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে মোট ফি ২,৮৫০ ও ২,৮৫০ টাকা (প্রাইভেট)।

২.

এমএসসি সব পত্রে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে মোট ফি ২,৮৫০ টাকা।

৩.

লাইব্রেরি সায়েন্স বিষয়ের সব পত্রে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে মোট ফি ৩,১০০ টাকা।

৪.

গ্রেড উন্নয়ন, সিজিপিএ উন্নয়ন ও অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত বিশেষ অন্তর্ভুক্তি ফি ১০০০ টাকা।

আরও পড়ুনচীনের মফকম বৃত্তি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা, আইইএলটিএসে প্রয়োজন ৬২০ মে ২০২৫

৫.

শুধু মৌখিক বা ব্যবহারিক বা মাঠকর্ম পত্রে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে মোট ফি ১,১০০ টাকা।

*পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় শর্ত

ক.

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীরা ‘নিয়মিত পরীক্ষার্থী’ হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

খ.

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের যে পরীক্ষার্থীরা ২০২১ সালে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি, তাঁরা ২০২২ সালের ‘অনিয়মিত পরীক্ষার্থী’ হিসেবে সব পত্রের বা কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

গ.

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের যে পরীক্ষার্থীরা ২০২১ সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এক বা একাধিক পত্রে ‘F’ গ্রেড পেয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁরা ২০২২ সালের পরীক্ষায় সেসব পত্রে ‘অনিয়মিত পরীক্ষার্থী’ হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

ঘ.

২০২১ সালের পরীক্ষায় সব বিষয়ে অংশগ্রহণ করে যে পরীক্ষার্থীরা ‘C+’, ‘C’ এবং ‘D’ গ্রেড প্রাপ্ত কোর্সের গ্রেড উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ দুটি পত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই পরীক্ষার্থীরা ২০২২ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মানোন্নয়ন বা গ্রেড উন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আর কোনো সুযোগ থাকবে না।

ঙ.

রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লিখিত ‘পত্র কোড’ ব্যতীত অন্য কোনো পত্র কোডে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা যাবে না।

চ.

শুধু ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক বা একাধিক কোর্সে ‘F’ গ্রেড প্রাপ্ত (অকৃতকার্য) পরীক্ষার্থীদের বিশেষ বিবেচনায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মোট পাঁচ হাজার টাকা ‘বিশেষ ফি’ প্রদান সাপেক্ষে আবেদন ফরম পূরণ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

ছ.

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে অথবা অংশগ্রহণ করে পুনরায় অকৃতকার্য হলে অথবা ফরম পূরণ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে পরবর্তী সময়ে তাঁরা কোনো অবস্থাতেই পরের বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে আবেদন করতে পারবেন না।

আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা: মানবিক শাখা—মডেল টেস্ট-২০৪ মে ২০২৫যে পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা হবে

১. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের গ্রেডিং পদ্ধতির পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর সিলেবাস অনুযায়ী ২০২২ সালের এমএ, এমএসএস,

এমবিএ, এমএসসি, এম মিউজ প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

*বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: www.nu.ac.bd/admissions

আরও পড়ুনএসএসসি–এইচএসসির বোর্ডসেরাদের ১০ ও ২৫ হাজার টাকা দেবে সরকার, যেভাবে আবেদন ১৯ মে ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ র ক ষ ত র স ল র পর ক ষ শ ক ষ বর ষ র ২০২২ স ল র পর ক ষ য প রব ন এমব এ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর শুরু

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকেই ইনস্টিটিউটের আসবাব মূল ক্যাম্পাসে নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী বৃহস্পতিবার মূল ক্যাম্পাসেই ইনস্টিটিউটের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে।

চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রমে খুশি শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা চারুকলাকে স্বাগত জানিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করছেন। ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও স্থানান্তরের নানা ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে অনুভূতি জানাচ্ছেন।

এর আগে চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে কয়েক দফা আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গত ২১ এপ্রিল এই দাবিতে ৯ শিক্ষার্থী অনশনেও বসেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ৩৪ ঘণ্টা পর তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করেছিলেন।

চারুকলার শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই একটি ট্রাক ও তিনটি পিকআপ ভ্যানে মালামাল মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব মালামাল ড. আব্দুল করিম ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রাখা হচ্ছে। সেখানেই চারুকলার শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম হবে।

এ বিষয়ে জানতে ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা মূল ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য আন্দোলন করেছেন। আজ তাঁরা বাস্তবায়ন দেখছেন। এত দিনের কষ্ট আর বঞ্চনা ভুলে সবাই খুশি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁরা চারুকলা ইনস্টিটিউট মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের কাজ শুরু করেছেন। আসবাব স্থানান্তরের কাজের জন্য আপাতত চারুকলার ক্লাস বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার মূল ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু হবে।

আন্দোলনের শুরু ২০২২ সালে

চারুকলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন শিল্পী রশিদ চৌধুরী। ২০১০ সালের ২ আগস্ট এটি নগরের সরকারি চারুকলা কলেজের সঙ্গে একীভূত হয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগের বাদশা মিয়া সড়কে অবস্থিত। এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০০।

২০২২ সালের নভেম্বরে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার পর ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি তাঁরা ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করেন। একপর্যায়ে ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।

দাবি না মানায় ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা দেন। পরে কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের সময় দিয়ে ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি শর্ত সাপেক্ষে শ্রেণিকক্ষে ফেরেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় ৩১ জানুয়ারি আবারও অবরোধ শুরু হয়।

একই দিনে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্লাসে ফেরার দাবিতে অবস্থান নেয়। এর মধ্যেই ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে তল্লাশি চালায় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি। পরদিন শ্রেণি কার্যক্রম এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা মূল ক্যাম্পাসে ফিরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে থাকেন। ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁদের কর্মসূচিতে হামলা চালান নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। পরে সেশনজট কমাতে শিক্ষার্থীরা ৩ মে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। তবে দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। চলতি বছরের শুরুতে সহ–উপাচার্য (একাডেমিক) মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এপ্রিলের মধ্যে চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন।

তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চলতি বছরের ২১ এপ্রিল আবার আন্দোলনে নামেন। এরপরই সিন্ডিকেট সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলাচেষ্ট
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর শুরু
  • দুই দাবিতে পোশাক কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ
  • জবিতে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে সেমিনার
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ফরম পূরণ ২০ মে থেকে
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ফাইনাল প্রোগ্রাম, ভর্তির সময় বৃদ্ধি ২১ জুন
  • ক্যানবেরায় কুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী 
  • ক্যাম্পাসে রোবটিক্স উৎসব
  • আদালত থেকে পালালেন হত্যা মামলার আসামি