রাজধানীর কলেজগেট এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার কাছ থেকে নগদ টাকাসহ অটোরিকশা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা যাত্রী সেজে রিকশায় উঠে এ  ঘটনা ঘটায়। পরে আহত চালক কবির হোসেনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত ব্যক্তির ছেলে মো.

সাব্বির সাংবাদিকদের জানান, রাতে ফকিরাপুল থেকে যাত্রী নিয়ে রওনা দেন কবির। একজন যাত্রী কলাবাগানে নামলেও অপর যাত্রী কলেজগেট এলাকায় গাড়ি থামাতে বলেন। সেখানে পৌঁছালে কয়েকজন কবিরকে ধরে একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। পরে তার কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও অটোরিকশার ব্যাটারি খুলে নেয়। একপর্যায়ে কবিরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাটিও নিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। খিলগাঁও এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন কবির। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, চিকিৎসা শেষে সকালে বাসায় ফিরেছেন কবির মিয়া।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে গভীর রাতে কনটেইনার খুলে যা পাওয়া গেল

বাংলাদেশে মাল্টা আমদানি হয় মিসর, ভুটান, ভারত ও চীন থেকে। তবে মিসরের মাল্টা দুবাই হয়ে চট্টগ্রামে আসার নথি দেখে সন্দেহ দানা বাঁধে কাস্টমস কর্মকর্তাদের। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে কনটেইনার খুলে সেই সন্দেহ সত্যি হয়। মাল্টা নয়, ৪০ ফুট লম্বা কনটেইনারে ছিল সিগারেটের সারি সারি কার্টন।

কনটেইনারের অবস্থান শনাক্ত করে বুধবার দিবাগত রাত দুইটায় কার্টন বের করে গণনা শুরু করেন কর্মকতারা। আজ বৃহস্পতিবার গণনা শেষে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কনটেইনারটিতে ১ হাজার ২৫০ কার্টনে ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট। অবশ্য ৫ হাজার ৪১৮ কেজি মাল্টাও ছিল কনটেইনারে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, সিগারেট আমদানিতে প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কবার্তা লেখা থাকতে হয়। এই শর্ত মেনে আমদানি করলেও ৫৯৬ শতাংশ শুল্ক–কর দিতে হয়। অর্থাৎ সিগারেটের দাম ১০০ টাকা হলে শুল্ক–কর দিতে হবে ৫৯৬ টাকা। সেই হিসাবে জব্দ করা সিগারেটে সরকারের রাজস্ব দিতে হতো ৩০ কোটি টাকা। এই টাকা ফাঁকি দিতেই মিথ্যা ঘোষণার আশ্রয় নেয় আমদানিকারক।

পণ্য আমদানির নথি অনুযায়ী, ঢাকার মালিবাগের আহসান করপোরেশন এই সিগারেট আমদানি করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের টুসিয়া ভেজিটেবল অ্যান্ড ফ্রুটস কোম্পানি থেকে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী, গত বছর কোম্পানিটির কোনো ফল আমদানির নজির নেই। এমনকি যে ফল রপ্তানির তালিকায় যে প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে, সেটিও গত বছর বাংলাদেশে কোনো ফল রপ্তানি করেনি।

আহসান করপোরেশনের পক্ষে পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট দিবা ট্রেডিং লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বায়েজিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমদানিকারক আহসান করপোরেশনের প্রথম কাজ ছিল এটি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর মাধ্যমে কাজটি আসে। কাগজপত্র ঠিক থাকায় কাজটি নিয়েছিলাম। এখন তো দেখছি আমদানিকারকের তথ্যের সঙ্গে বাস্তবে মিল নেই।’

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার কাজী রাইহানুজ জামান প্রথম আলোকে বলেন, চালানটিতে ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আমদানিকারক। তবে কাস্টমসের নজরদারিতে তা ধরা পড়েছে। এখন তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ