এক দশকের মিডিয়া ক্যারিয়ার। সৌন্দর্য ও মেধার যোগসূত্র হলে যে ভালো কিছু হয়, তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন অনেক আগেই। রূপালি পর্দা ও ওটিটিতে নিজেকে তিনি তুলে ধরেছেন নানা অবয়বে। একটি সিনেমায় করেছেন বাজিমাত। এরপর রচিত হয় শুধুই এগিয়ে চলার গল্প। 

বলছি, নাজিফা তুষির কথা। নিজের কাজ নিয়ে বরাবরই প্রচারবিমুখ তিনি। বেশ বিরতির পর নতুন কাজের খবর দিলেন এই অভিনেত্রী। কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতারের ‘সখী রঙ্গমালা’ উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে নির্মিত সিনেমা ‘রঙ্গমালা। ওই সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। 

২০২৩-২৪ সালে সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটি পরিচালনা করছেন এন রাশেদ চৌধুরী। অষ্টাদশ শতকের নোয়াখালীর এক জমিদার পরিবারের কাহিনি উঠে এসেছে সিনেমায়। এতে রঙ্গমালা চরিত্রে দেখা যাবে তুষিকে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এর প্রথম লটের দৃশ্যধারণ। 

নতুন সিনেমা নিয়ে তুষি বলেন, ‘পিরিয়ডিক্যাল কাজের প্রতি আমার এক ধরনের দুবর্লতা ছিল। ‘সখী রঙ্গমালা’ কাজটির মাধ্যমে তা পূরণ হয়েছে। নির্মাতা রাশেদ চৌধুরীর কাজের এক ধরনের প্যার্টান আছে। এটি আমার ভালো লাগে। শাহীন আক্তারের উপন্যাসটি নোয়াখালী বেইজড করে লেখা। রঙ্গমালা ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। এ রকম একটি মিথিক্যাল চরিত্র, পিরিয়ডিক কাজ, আমি নিজেও নোয়াখালীর মেয়ে– এমন একটি সিনেমায় কাজ করা আমার জন্য আনন্দের।’

তিনি আরও বলেন, প্রায় দুইশ বছর আগের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমাটি। চিত্রনাট্য পড়ার পর মনে হয়েছিল, কাজটা আমার করা উচিত। যদিও এ ধরনের কাজের দর্শক অনেক কম। এটি মাথায় রেখেই সিনেমাটি করছি। সব কাজেই এক ধরনের অডিয়েন্স আছে, এটি আমি বিশ্বাস করি। এক ধরনের অভিজ্ঞতা নিতেই কাজটি করছি। আমি চাই একটি কাজ থেকে আরেকটি কাজ যেন আলাদা লাগে। সবকিছুই মিলেই কাজটি করতে রাজি হয়েছি।  

বলা দরকার, ২০১৬ সালে ‘আইসক্রিম’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক তুষির। এরপর দীর্ঘদিন ছিলেন বড় পর্দা থেকে দূরে। ৬ বছর বিরতির পর ২০২২ সালে ‘হাওয়া’ দিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। মাঝে মেজবাউর রহমান সুমনের আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি ওই সিনেমার। আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাদের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেও এটি এখনও প্রকাশ হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এক ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা

প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে গতকাল সোমবার বাসায় ফিরছিলেন নাজমা বেগম। ঢাকার টঙ্গী এলাকায় থাকেন তিনি। পরিচিত এক ব্যক্তি তাঁকে হঠাৎ ফোন করে জানান, তাঁর নিখোঁজ ছেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। দ্রুত ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন নাজমা। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিও দেখান নাজমাকে। সে ভিডিওতে দেখতে পান, তাঁর ১০ দিন ধরে নিখোঁজ ছেলে আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।

ছেলের খোঁজ পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ছুটে আসেন তিনি। রেলস্টেশন থেকে সরাসরি চলে আসেন চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে। এখানেই ৮ দিন ধরে ভর্তি আবদুল্লাহ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৮ সেপ্টেম্বর আহত অবস্থায় আবদুল্লাহকে হাসপাতালে আনা হয়। সে সময় তার নাম-ঠিকানা কিছুই জানা যায়নি। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবেই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে নেওয়া হয় তাকে। পরদিন তার অস্ত্রোপচার হয়। গত শনিবার আবদুল্লাহর জ্ঞান ফেরে। এরপর নিজের ও বাবা-মায়ের নাম আর বাসার ঠিকানা জানায় সে।

চিকিৎসকেরা সেই সূত্রে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানাভাবে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেন। ফেসবুকে আবদুল্লাহর ছবি দিয়ে খোঁজ চাওয়া হয় বাবা-মায়ের। সেই ছবি পরিচিতদের মাধ্যমে দেখেন নাজমা বেগম। এরপর ছুটে আসেন চট্টগ্রামে। হাসপাতালে এসেই নার্সদের সহায়তায় যান নিউরোসার্জারি বিভাগে। সেখানে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ)চিকিৎসাধীন আবদুল্লাহকে দেখেন।

আজ বিকেলে হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের সামনে কথা হয় আবদুল্লাহর মা নাজমা বেগমের সঙ্গে। সকালেই চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন তিনি। জানালেন, তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে ১০ বছর বয়সী আবদুল্লাহ সবার বড়। ছোট মেয়ের বয়স পাঁচ ও আরেক ছেলের বয়স দুই। আবদুল্লাহ সুস্থ আছে জেনে স্বস্তি পেলেও দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। কারণ, এটিই প্রথমবার নয়, এর আগেও কয়েকবার ঘর থেকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায় সে।

নাজমা বেগম বলেন, প্রায়ই আবদুল্লাহ ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এদিক–সেদিক চলে যায়। পরে আবার ফিরে আসে। এর আগেও ঢাকার আশপাশে এদিক-সেদিক চলে গিয়েছিল সে। ৬ সেপ্টেম্বর সে ভাত খাওয়া থেকে উঠে হঠাৎ চলে যায়। সে ফিরে আসবে এই আশায় থানায় যাননি। কিন্তু ১০ দিন হয়ে যাওয়ায় এদিক–সেদিক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ঢাকায় বিভিন্ন স্টেশনে ছেলের খোঁজে গেছেন বলে জানান নাজমা।

চমেক হাসপাতালে চিকিৎসকেরা আবদুল্লাহর বরাত দিয়ে জানান, বাসা থেকে বেরিয়ে সে কক্সবাজার যাচ্ছিল। পথে চট্টগ্রামে ট্রেন থামলে সে ট্রেন থেকে পড়ে যায়। চিকিৎসার পর এখন সুস্থ হয়ে উঠছে সে।

চিকিৎসকেরা জানান, আবদুল্লাহকে যখন আনা হয় তার মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। তার মাথার এক পাশের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। ট্রেন থেকে পড়ার কারণে মাথায় আঘাত লাগে। হাড়ের কিছু অংশ মস্তিষ্কের ভেতরে গেঁথে যায়। অস্ত্রোপচারও সফল হয়েছে। তবে জ্ঞান না ফেরায় তার পরিচয় জানা যায়নি। জ্ঞান ফেরার পর তার তথ্য নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়।

শুরু থেকে আবদুল্লাহর অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরোসার্জারি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, ‘তার হাড় ভেঙে মস্তিষ্কের ভেতরে চলে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর স্বাভাবিকভাবে সেটি জোড়া দেওয়া হয়েছে। এখন সে পুরোপুরি সুস্থ। তাকে আমরা আজ-কালের মধ্যে ডিসচার্জ করে দেব। শিশুকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রাম চেম্বারে ‘পরিবারতন্ত্র’ পুনর্বহালের অভিযোগ
  • পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো
  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত