এক ধরনের অভিজ্ঞতা নিতেই কাজটি করছি: নাজিফা তুষি
Published: 22nd, May 2025 GMT
এক দশকের মিডিয়া ক্যারিয়ার। সৌন্দর্য ও মেধার যোগসূত্র হলে যে ভালো কিছু হয়, তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন অনেক আগেই। রূপালি পর্দা ও ওটিটিতে নিজেকে তিনি তুলে ধরেছেন নানা অবয়বে। একটি সিনেমায় করেছেন বাজিমাত। এরপর রচিত হয় শুধুই এগিয়ে চলার গল্প।
বলছি, নাজিফা তুষির কথা। নিজের কাজ নিয়ে বরাবরই প্রচারবিমুখ তিনি। বেশ বিরতির পর নতুন কাজের খবর দিলেন এই অভিনেত্রী। কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতারের ‘সখী রঙ্গমালা’ উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে নির্মিত সিনেমা ‘রঙ্গমালা। ওই সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি।
২০২৩-২৪ সালে সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটি পরিচালনা করছেন এন রাশেদ চৌধুরী। অষ্টাদশ শতকের নোয়াখালীর এক জমিদার পরিবারের কাহিনি উঠে এসেছে সিনেমায়। এতে রঙ্গমালা চরিত্রে দেখা যাবে তুষিকে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এর প্রথম লটের দৃশ্যধারণ।
নতুন সিনেমা নিয়ে তুষি বলেন, ‘পিরিয়ডিক্যাল কাজের প্রতি আমার এক ধরনের দুবর্লতা ছিল। ‘সখী রঙ্গমালা’ কাজটির মাধ্যমে তা পূরণ হয়েছে। নির্মাতা রাশেদ চৌধুরীর কাজের এক ধরনের প্যার্টান আছে। এটি আমার ভালো লাগে। শাহীন আক্তারের উপন্যাসটি নোয়াখালী বেইজড করে লেখা। রঙ্গমালা ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। এ রকম একটি মিথিক্যাল চরিত্র, পিরিয়ডিক কাজ, আমি নিজেও নোয়াখালীর মেয়ে– এমন একটি সিনেমায় কাজ করা আমার জন্য আনন্দের।’
তিনি আরও বলেন, প্রায় দুইশ বছর আগের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমাটি। চিত্রনাট্য পড়ার পর মনে হয়েছিল, কাজটা আমার করা উচিত। যদিও এ ধরনের কাজের দর্শক অনেক কম। এটি মাথায় রেখেই সিনেমাটি করছি। সব কাজেই এক ধরনের অডিয়েন্স আছে, এটি আমি বিশ্বাস করি। এক ধরনের অভিজ্ঞতা নিতেই কাজটি করছি। আমি চাই একটি কাজ থেকে আরেকটি কাজ যেন আলাদা লাগে। সবকিছুই মিলেই কাজটি করতে রাজি হয়েছি।
বলা দরকার, ২০১৬ সালে ‘আইসক্রিম’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক তুষির। এরপর দীর্ঘদিন ছিলেন বড় পর্দা থেকে দূরে। ৬ বছর বিরতির পর ২০২২ সালে ‘হাওয়া’ দিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। মাঝে মেজবাউর রহমান সুমনের আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি ওই সিনেমার। আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাদের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেও এটি এখনও প্রকাশ হয়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এক ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
অমিত-সোহানের ব্যাটে বাংলাদেশ এ দলের লড়াই
নিউ জিল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বড় রান করেছে বাংলাদেশ এ দল। জবাব দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড এ দলও। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দুই দলই সমানতালে লড়েছে।
মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ২২৫ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ এ দল। অলআউট হয় ৩৫৭ রানে। নিউ জিল্যান্ড ১ উইকেটে ১০৪ রান তুলে দিন শেষ করেছে। ২৫৩ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।
বড় রানের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন অমিত হাসান। ৬৭ রান করে আউট হন। ঝড় তুলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪০ বলে ৪৮ করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহিদুল ২৯ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর সোহানের সঙ্গে জুটি বাধেন অমিত। এই জুটিতে অমিত ফিফটি করলেও পরে ইনিংস বড় করতে পারেননি।
পেসার বেন লিস্টারের ভেতরে ঢোকানো ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন। ১১০ বলে ৮ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।এরপর সোহানের একার বীরত্বে বাংলাদেশ এ দলের রান সাড়ে তিনশ পেরিয়ে যায়।
শেষ সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি এক উইকেট। পেসার খালেদ দারুণ ডেলিভারিতে রিস মারিয়ুকে ফেরান খালেদ। ২৪ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশ আর কোনো সাফল্য পায়নি।
কার্টার ৬৬ বলে ৪৮ ও হিফি ৮৯ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত আছেন।
ঢাকা/ ইয়াসিন