হলফনামায় হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপন, ব্যবস্থা নিতে ইসিকে চিঠি
Published: 22nd, May 2025 GMT
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামায় সম্পদের ঘোষণায় অসত্য তথ্য প্রদান করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর আওতায় আইনি ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
একইসঙ্গে এই অভিযোগ আমলে নিয়ে এ পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
বৃহস্পতিবার দুদকের ডেপুটি ডাইরেক্টর আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
ইসি বরাবরে পাঠানো চিঠিতে দুদক জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করা হয়। উক্ত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে ১৯-১১-২০০৮ খ্রিঃ তারিখে নির্বাচন কমিশনে তাঁর দাখিলকৃত হলফনামা পর্যালোচনা করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে হলফনামার মাধ্যমে দাখিলকৃত পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণীতে তাঁর নিজ নামে অর্জিত কৃষি জমির পরিমাণ ৬.
এছাড়া তিনি মাগুরা-১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সিরাজুল আকবরের সংসদ সদস্য পদের শুল্কমুক্ত কোটা ব্যবহার করে বেনামে ২ লাখ ৩০ হাজার ইউরো মূল্যে (গাড়ি আমদানির এলসির বিপরীতে ব্যাংক হতে পরিশোধিত মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার টাকা) একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি আমদানি করে নিজ আবাসিক ঠিকানায় (সুধা সদন, বাড়ী নং-৫৪, রোড নং-৫, ধানমন্ডি) ব্যবহার করে গাড়িটি রেজিষ্ট্রেশন (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৬৩৬৪) করেন এবং নিজে তা ব্যবহার করেন।
প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সিরাজুল আকবরের আয়কর নথিতে কিংবা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত তার হলফনামায় আলোচ্য গাড়িটির বিষয়ে কোন তথ্য উল্লেখ করেননি এবং তিনি কখনো তা ব্যবহারও করেননি মর্মে জানা গেছে।
এমতাবস্থায়, কমিশন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বর্ণিত তথ্যাদির আলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২’- এর আওতায় হলফনামায় অসত্য তথ্য প্রদানের বিষয়ে আইনানুগ প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দুদকের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
দুদক জানায়, যেহেতু হলফনামায় মিথ্যা ঘোষণা দেয়ার বিষয়টির ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। সেহেতু বর্ণিত তথ্যের উপর আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদক হতে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য ২০০৮ সালে বিধায় বর্তমান অবস্থা পর্যন্ত বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে পুর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হলফন ম য় দ খ লক ত ব যবহ র ব বরণ যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
২৫টি নতুন জিপ কেনার প্রস্তাব ফেরত, ১টিতে নীতিগত অনুমোদন
২৫টি জিপ কেনার প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়নি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, জিটুজি ভিত্তিতে গম ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন এবং পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ (১) (ক) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক দরপত্রে ক্রয় প্রক্রিয়ায় সময় হ্রাসকরণের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ খাদ্য নিরাপত্তা বলয় ঠিক রাখার লক্ষ্যে জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে গম আমদানি করা আবশ্যক। এ অবস্থায়, (ক) রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) এবং পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুসরণে রপ্তানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয় এবং (খ) আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৪ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির লক্ষ্যে পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ এর (১) (ক) অনুযায়ী দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৭.২৫ লাখ মেট্রিক টন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় উপদেষ্টা/মন্ত্রী ও সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য ২৫টি গাড়ি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়নি কমিটি।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ