কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নৃবিজ্ঞান ও বাংলা বিভাগের র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যাচ দুইটির সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.

মো: আবদুল হাকিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার বিপ্লব মজুমদার। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন–নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগম ও সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান।

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে গণস্বাক্ষর

ইবিতে স্নাতক পাসের ১ বছর পরও মিলছে না নম্বরপত্র

বাংলা বিভাগের র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুজ্জামান। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর ড. মুতাসিম বিল্লাহ।

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, “আমরা তদন্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য রেজিস্ট্রার দপ্তরে সুপারিশ পাঠিয়েছি। উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য স্বাক্ষর করলে এই কমিটি কার্যক্রমের জন্য অনুমোদন হবে। অনুমোদনের সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করবে। এ সাতদিন অভিযুক্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”

গত ৫ জুলাই রাতে কুবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থী বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে যান। এ সংক্রান্ত একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

পরে ভুক্তভোগী এবং তার সহপাঠীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নৃবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বেঞ্চে দাঁড় করিয়ে রাখা, ধূমপান করার জন্য চাপ দেয়া এবং সিনিয়র আপুকে প্রপোজ করার জন্য চাপর দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া হলে ডেকে নিয়ে মানসিক নির্যাতন এবং রাতের আঁধারে ক্যাম্পাসের দূরবর্তী তালতলা নামক স্থানে নিয়ে গিয়ে ভুক্তভোগীকে মানসিক নির্যাতন করাও অভিযোগও পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী ও তার সহপাঠীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী র‍্যাগিংয়ে অভিযুক্তরা হলেন- মুনতাসীর, ওলিউল্ল্যাহ, তিশা মনি, অরবিন্দু সরকার, রাফি ও হাসান।

অপরদিকে, বাংলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার ছাদে নিয়ে র‍্যাগিংয়ের সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত হন। পরে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি অস্বীকার করেন।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য় র ঘটন য় র জন য সদস য সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা নাভালনির শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল: স্ত্রীর দাবি
  • রূপালী লাইফের আর্থিক হিসাবে ৬৯ কোটি টাকার গরমিল
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটে ভর্তি: মাইগ্রেশন, বিষয় ও প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ প্রকাশ
  • হেলথ টেকনোলজি কোর্সে ভর্তি, অপেক্ষমাণ থেকে তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • তাপমাত্রা বেড়ে দেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, কীভাবে হচ্ছে, কেন হচ্ছে
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স
  • সোনালী ও রূপালী মুনাফায়, অগ্রণী ও জনতা লোকসানে