আগামী ঈদেও নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হবেন শাকিব খান। নাম ‘ওয়ানস আপন আ টাইন ইন ঢাকা’। ট্যাগলাইন-‘আমি কালা’। ঢাকার নব্বই দশকের আন্ডারওয়ার্ল্ডকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিনেমার কাহিনি অনেকটাই সত্য ঘটনা অবলম্বনে। এ সিনেমার মাধ্যমে ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ এবার পা রাখছেন বড় পর্দায়।

‘আমি কালা’ সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করার কথা শোনা যাচ্ছে টলিউডের মধুমিতা সরকারের। আর এই খবর ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

ফেসবুকে একটি শেয়ার করে ছোটপর্দার অভিনেত্রী দীপা খন্দকার লিখেছেন, ‘এটা কি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা? যদি শুধু বাংলাদেশের হয়, তাহলে আমাদের দেশে কি লিড ফিমেল (নায়িকা) রোল করার মতো কোনো শিল্পী নেই? কেন এমন কাস্টিং হচ্ছে?’

দীপার এই মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

একজন মন্তব্যকারী হৃদয় সাহা, তিনি লিখেছেন, ‘কলকাতাতেও তো অনেক অভিনেত্রী আছেন, তবুও তাদের প্রোডাকশনে জয়া আহসান, নুসরাত ফারিয়াদের কেন নেওয়া হয়?’

অন্যদিকে, এমডি সুজন মল্লিক মন্তব্য করেছেন, ‘শিল্পীদের কোনো দেশ হয় না, তারা সবার। বাংলাদেশের তুলনায় কলকাতার ফিমেলরাই অনেক সময় এগিয়ে থাকে। রাজ্জাকসহ অনেকেই তো কলকাতায় কাজ করেছেন।’

তথ্য যাচাই করে জানা গেছে, সিনেমার শিরোনাম বা নায়িকা কেউই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে পরিচালক ও শাকিব খান দু’জনই নিশ্চিত করেছেন—তারা আসন্ন ঈদে নতুন সিনেমা নিয়ে দর্শকের সামনে আসছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ