রোববার মধ্যরাতেই চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ছেড়েছে টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক। রাত ১২টা ১ মিনিটেই তাদের কাছ থেকে টার্মিনাল বুঝে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পর তারা নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়া ড্রাইডক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নতুন চুক্তি করে টার্মিনালের দায়িত্ব হস্তান্তর করে। এ সময় বন্দর, ড্রাইডক ও সাইফ পাওয়ারটেকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আজ সোমবার থেকে টার্মিনাল পরিচালনা করছে নৌবাহিনী। 

আইনী বাধ্যবাধকতা থাকায় সরাসরি নৌবাহিনীকে না দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ড্রাইডকের সঙ্গে এনসিটি পরিচালনার চুক্তি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেড রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত একটি সামরিক জাহাজ মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দরের সীমানার মধ্যেই এটির অবস্থান।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো.

ওমর ফারুক সমকালকে জানান, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত পাবার পর ড্রাইডকের সঙ্গে এনসিটি পরিচালনার চুক্তির বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় অনুমোদন হয়েছে। ৬ জুলাই রাত ১২টার পরে ড্রাইডকের সঙ্গে ছয় মাসের জন্য এনসিটি পরিচালনার চুক্তি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সময় সাইফ পাওয়ার টেক আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করে।

১৭ বছর ধরে এনসিটি পরিচালনা করা সাইফ পাওয়ার টেকের গতকাল ছিল শেষ দিন। ২০০৭ সাল থেকে তারা এটি পরিচালনা করছে। আজ ৭ জুলাই থেকে নৌবাহিনীর মাধ্যমে এটি পরিচালনা করছে চিটাগাং ড্রাইডক। তবে সাইফ পাওয়ার টেকের জনবল দিয়েই আপাতত এটি পরিচালনা করছে তারা।

সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমীন সমকালকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে বন্দরকে আমরা দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। একই সময় বন্দর নৌবাহিনীর তত্বাবধানে পরিচালিত ড্রাইডককে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে। নতুন চুক্তি করেছে। এনসিটি ছাড়লেও যে কোনো প্রয়োজনে বন্দরকে সেবা প্রদানে আমরা প্রস্তুত আছি সবসময়।’ প্রসঙ্গত, এনসিটি ছাড়লেও সাইফের কার্যক্রম চুক্তি অনুযায়ী বহাল আছে সিসিটিতে।

চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ৪টি কনটেইনার টার্মিনাল আছে। এগুলো হলো- চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), জেনারেল কারগো বার্থ (কনটেইনার ও বাল্ক-জিসিবি) এবং পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল (পিসিটি)। চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে হ্যান্ডলিং হওয়া ৩২ লাখ টিইইউস কনটেইনারের মধ্যে ৪৪ শতাংশ এককভাবে পরিচালনা হয়েছে এনসিটি থেকে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনট স ড র ইডক পর চ ল এনস ট

এছাড়াও পড়ুন:

সৌম্য, মাহিদুল কেন দলে

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠের ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে যে পরিবর্তন আসবে, তা অনুমান করা যাচ্ছিল আগে থেকেই। প্রত্যাশিতভাবেই দুটি পরিবর্তন এনে আজ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন নির্বাচকেরা।

গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর আবার ওয়ানডে দলে ফেরানো হয়েছে সৌম্য সরকারকে। দলে নতুন মুখ প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়া মাহিদুল ইসলাম। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছে মাহিদুলের, জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত তিনি খেলেছেন ওই একটি ম্যাচই। সৌম্য ও মাহিদুলকে জায়গা দিতে ছিটকে গেছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও পেসার নাহিদ রানা।

একবার দলে আসা, আবার দল থেকে বাদ পড়াটা সৌম্যের জন্য এখন নিয়মিতই হয়ে গেছে। তাঁদে দলে ফেরানোর ব্যাখ্যায় বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ বলেছেন, ‘তিনি অনেক অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়। প্রায় ৮০টির (৭৬টি) মতো ওয়ানডে খেলে ফেলেছেন, প্রায় ১০ বছর ধরে খেলছেন। গত বছরের নভেম্বরের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই তাঁর ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট সফলতা ছিল। সেই দলটার সঙ্গেই আমরা আবার খেলছি। লিটন দাস যেহেতু দলে নেই, একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে আমরা সৌম্য সরকারকে নিয়েছি।’

গত বছর একটি টেস্ট খেলা মাহিদুল এর আগে টি–টোয়েন্টি দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ম্যাচ খেলা হয়নি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৯৬ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি ও ২৮ ফিফটিতে ৩৪২৯ রান তাঁর। গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে প্রায় ৪৮ গড়ে রান করেছিলেন ৪৩১। গত মে মাসে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের সর্বশেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরিও করেছিলেন মাহিদুল।

তাঁকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘দলের মিডল অর্ডারের প্রায় সবাই রানখরায় আছে। তো সেই জায়গায় আমরা মাহিদুলকে এনেছি। পরের বিশ্বকাপের জন্য কলেবর বৃদ্ধি করতে যাঁরা সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেন, তার মধ্য থেকে মাহিদুল ইসলামের নামটা নিশ্চয়ই অনেক উজ্জ্বল।’

আরও পড়ুনওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা, প্রথমবার ডাক পেলেন মাহিদুল৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ