লন্ডনের বৈঠকে ঠিক হয় ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
Published: 7th, July 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বৈঠকে ঠিক হয় ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন। আমরা আশা করব, সেই সময়ে নির্বাচন দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। অনেকে নানা পদ্ধতির কথা বলছেন। আমরা চাই, নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’
আজ সোমবার সকাল ১০টায় সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও দেশের বিভিন্ন দলকে উদ্দেশ্যে করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন যত বিলম্ব হবে দেশ তত পিছিয়ে যাবে। বিনিয়োগ আসবে না, মায়েরা-মেয়েরা নিরাপত্তা হারাবে, জুডিশিয়াল ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। সেই জন্য দরকার একটা নির্বাচিত সরকার। যেই সরকারের পেছনে রয়েছে জনগণ। নির্বাচিত সরকারের চেয়ে কোনো সরকার শক্তিশালী হতে পারে না।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ র সরক র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তরে ত্যাগের মহিমা লালন করতে হবে
আজ পবিত্র আশুরা। হিজরি ১৪৪৭ সনের ১০ মহররম। মুসলমান সম্প্রদায়ের গভীর শোকের দিন। হিজরি ৬১ সনের এই দিনে সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ে কারবালার প্রান্তর রক্তাক্ত হয়েছিল। এই লড়াইয়ে ইমাম হোসেন সপরিবার জীবন উৎসর্গ করে সত্যের জয়গান গেয়ে যান, যা আজও পৃথিবীর তাবৎ মুসলিমকে অনুপ্রাণিত করে।
মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে ইয়াজিদ অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেন এবং এ জন্য ষড়যন্ত্র ও বলপ্রয়োগের পথ বেছে নেন। মহানবী (সা.)-এর আরেক দৌহিত্র হজরত ইমাম হাসান (রা.)-কে বিষপানে হত্যা করা হয়। আশুরার দিন ফোরাত নদীর তীরবর্তী কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেন, তাঁর পরিবার ও বাহিনীকে অবরুদ্ধ করে রাখে ইয়াজিদ বাহিনী। কারবালার যুদ্ধ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।
অবরুদ্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন, ৭২ জন সঙ্গীসহ শাহাদাতবরণ করেন হজরত ইমাম হোসেন (রা.)। এ হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত নির্মম। শাহাদাতের পর ইমাম হোসেন (রা.)–এর শরীরে বর্শা, তির ও তরবারির অসংখ্য জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়।
কারবালা প্রান্তরের সেই শোকাবহ ঘটনার স্মরণে প্রতিবছর ১০ মহররম পবিত্র আশুরা পালিত হয়। শিয়া সম্প্রদায় এদিন তাজিয়া মিছিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। সুন্নি সম্প্রদায়ও নফল রোজা রাখাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে এ দিবস পালন করে থাকে। বাংলাদেশে যুগ যুগ ধরে শিয়া-সুন্নিনির্বিশেষে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আশুরা পালিত হয়ে আসছে।
কারবালার যুদ্ধ ছাড়াও এই দিন ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। হাদিস শরিফে পূর্ববর্তী নবী-রাসুল (সা.)–এর স্মৃতিসংবলিত ও ঘটনাবহুল দিনটির কথা বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।
এটি শিয়া সম্প্রদায়ের অবশ্যপালনীয় দিন হলেও সব মুসলমানই এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করবে আশা করি। এ বছর যাতে সারা দেশে তাজিয়া মিছিলসহ আশুরার অনুষ্ঠান আয়োজন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতায় আশুরার ত্যাগের শিক্ষাই হোক পাথেয়। এদিনের মূল চেতনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম। আশুরার শিক্ষা ও চেতনার আলোকে জাতি এগিয়ে যাবে, এটাই প্রত্যাশিত।
ঢাকাসহ সারা দেশে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পবিত্র আশুরা পালিত হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। আশুরার মূল চেতনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে সাময়িক আঘাত এলেও চূড়ান্ত বিজয় অবধারিত। এটাই মহররমের শিক্ষা। কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়, ‘ত্যাগ চাই, মর্সিয়া-ক্রন্দন চাহি না’।