কুড়ি বছর পর দুই ভাইয়ের পুনর্মিলন ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজনীতিকে চনমনে করে তুলেছে। জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণের নামে বিজেপির হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন উদ্ধব ও রাজ ঠাকরে। এক মঞ্চ থেকে জনসভায় ভাষণও দিয়েছেন দুজন। ভাষার প্রশ্নে একজোট হওয়ার পর বিজেপির রাজনৈতিক মোকাবিলাতেও জোটবদ্ধ থাকার ইঙ্গিত দুই ভাই–ই প্রকাশ্যে দিয়েছেন। ঠাকরে ভাইদের এই ‘মিলন’ উদ্ধবের শিবসেনা ও রাজের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনাকে (এমএনএস) জোটবদ্ধ করলে মুম্বাই ও মহারাষ্ট্রের শহরভিত্তিক রাজনীতি নতুন খাতে বইতে পারে।

মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার এই মিলনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। কিছুদিন আগেও বিজেপি মনে করেছিল, মুম্বাই, থানে, পুনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরের আসন্ন পৌরসভা ভোটে একাই শক্তি পরীক্ষায় নামবে। ঠাকরে ভাইদের কাছাকাছি আসা সেই সম্ভাবনায় জল ঢালতে পারে। এই নতুন সমীকরণ অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে রাজ্যের বিরোধী জোটেও। রাজ ঠাকরের সঙ্গে উদ্ধবের সম্ভাব্য ‘রাজনৈতিক মিলন’ কংগ্রেসেরও চিন্তা বাড়াচ্ছে। রাজের তীব্র মুসলমান বিদ্বেষের বিরোধিতা কংগ্রেস বরাবর করে এসেছে। নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে চিন্তিত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তাই এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণে মহারাষ্ট্রের বিজেপি–শিবসেনা–এনসিপি জোট সরকার স্কুলশিক্ষায় হিন্দি ভাষাশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছিল। প্রবল প্রতিরোধের মুখে প্রথমে তারা সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে। পরে বাতিল করে দেয়। রাজ্য সরকার জানায়, নীতি পর্যালোচনার জন্য এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গৃহীত হবে।

উদ্ধবের বাবা ও রাজের কাকা বাল ঠাকরের তৈরি শিবসেনার জনপ্রিয়তার আধার ছিল মারাঠি জাত্যভিমান। বাল ঠাকরের উত্তরাধিকারী উদ্ধবই হবেন, এটা বোঝার পর ২০০৫ সালে রাজ নতুন দল এমএনএস গঠন করেন। উগ্র মারাঠিয়ানা হয়ে ওঠে তাঁর রাজনৈতিক শক্তি। কিন্তু খুব বেশি কিছু তিনি করতে উঠতে পারেননি। শিবসেনা প্রসার লাভ করলেও এমএনএস প্রধানত আবদ্ধ থাকে শহরে। পৌরসভার চৌহদ্দির বাইরে সেভাবে তারা প্রসারিত হতে পারেনি। চলতি বছরের শেষাশেষি কিংবা আগামী বছরের গোড়ায় পৌরসভার ভোট হতে চলেছে। দেশের সবচেয়ে ধনী বৃহন্মুম্বাই পৌরসভার (বিএমসি) দখল নেওয়াই হবে ঠাকরে ভাইদের প্রাথমিক লক্ষ্য। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিএমসি পরিচালনা করেছে শিবসেনা। দল ভাগাভাগির পর থেকে বিএমসি পরিচালনা করছে সরকার নিযুক্ত প্রশাসক।

একদা যে শিবসেনা ছিল মহারাষ্ট্রের ভাগ্য নিয়ন্তা, রাজ ঠাকরের নতুন দল গঠন, বাল ঠাকরের মৃত্যু ও শিবসেনায় বিভাজন সেই দলকে ক্রমে দুর্বল করে তুলেছে। রাজ ঠাকরেও বুঝতে পেরেছেন, রাজ্য রাজনীতিতে স্বতন্ত্র অস্তিত্ব রক্ষা করে চলা কতটা দুষ্কর। ২০০৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এমএনএস ১৩টি আসন জিতেছিল। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের ভোটে তারা জেতে মাত্র ১টি করে আসন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে একটি কেন্দ্রেও এমএনএস প্রার্থীরা জিততে পারেননি। রাজ ঠাকরের পুত্র অমিত মাহিম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃতীয় হয়েছিলেন। রাজ্যে এমএনএস ভোট পেয়েছিল মাত্র ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে বিজেপির উত্থান শিবসেনাকেও দুর্বল করতে থাকে। একনাথ শিন্ডের দলত্যাগ এবং শিবসেনার ভাঙনকে হাতিয়ার করে বিজেপি হয়ে ওঠে ১ নম্বর রাজনৈতিক শক্তি। বিজেপির হিন্দি আগ্রাসনকে উপলক্ষ করে দুই ভাইয়ের কাছাকাছি আসা নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার গরজেই।

মিলন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হয়নি। কিন্তু ক্ষয় রোধে দুই দলের একজোট হওয়া আবশ্যক, এই উপলব্ধি সম্ভবত দুজনেই করছেন। এই সম্ভাব্য মিলন সবচেয়ে চিন্তায় রাখবে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও তাঁর দল শিবসেনাকে। উদ্ধব ও রাজ জোট বাঁধলে শিন্ডেসেনায় কতটা ভাঙন ধরতে পারে, বিশেষ করে পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে তার কী প্রভাব পড়বে, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। ঠাকরে ভাইয়েরা বিএমসির দখল নিলে নিশ্চিতভাবে পরবর্তী বিধানসভা ভোটে তার প্রভাব পড়বে। যদিও বিধানসভার পরের ভোট ২০২৯ সালে।

মারাঠি ভোটারদের মধ্যে ঠাকরে ভাইদের জোটবদ্ধতা প্রভাব ফেললে বিজেপিও চিন্তায় পড়বে। পৌরসভার ভোট বিজেপির কাছে বড় পরীক্ষা। মুম্বাই, পুনে, থানে ও নাসিক পৌরসভায় মারাঠা ভোটের সামান্য শতাংশ বিজেপিকে ছেড়ে ঠাকরেদের পক্ষে এলে শিবসৈনিকদের হাত থেকে বৃহন্মুম্বাই পৌরসভা দখল করার স্বপ্ন তাদের কাছে অধরাই থেকে যাবে।

মহারাষ্ট্রে হিন্দির বিরোধিতা অনেক সময় বিহার ও উত্তর প্রদেশের হিন্দিভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরোধিতার কারণ হয়ে থাকে। এই বিরোধিতার ক্ষেত্রে এমএনএসের সক্রিয়তা বাড়লে এবং সে নিয়ে রাজ্যে অশান্তি দেখা দিলে বিহার ভোটে বিজেপি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মহারাষ্ট্রে হিন্দিভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ হলে তার রেশ বিহারের শাসক দল বিজেপির ওপর পড়তে পারে। বিজেপির এটাও এক চিন্তা।

মহারাষ্ট্রে উদ্ধবপন্থী শিবসেনা ও শরদপন্থী এনসিপির সঙ্গে কংগ্রেস জোটবদ্ধ। সেই জোটে এমএনএস যোগ দিলে কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়তে বাধ্য। রাজ ঠাকরের হিন্দি ও মুসলমানবিরোধী রাজনীতিকে সমর্থন করলে মুসলমানদের মধ্যে কংগ্রেসের সমর্থন কমতে বাধ্য। আবার অন্যদিকে কংগ্রেস জানে, ঠাকরে ভাই জোটবদ্ধ হলে বিজেপির জোট রাজনীতি কিছুটা হলেও দুর্বল হবে। এই দুই পরস্পরবিরোধী স্বার্থের মধ্যে আপাতত কংগ্রেসের অবস্থান। দুই ভাইয়ের একজোট হওয়া শেষ পর্যন্ত কোথায় গড়ায়, কংগ্রেস আগে তা দেখতে চাইছে। উদ্ধব ও রাজ ঠাকরের কাছাকাছি আসা মহারাস্ট্র রাজনীতিতে অনেক নতুন সমীকরণ গড়তে চলেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র র জন ত ক র জ ঠ কর র ব ধ নসভ প রসভ র শ বস ন ব এমস সরক র একজ ট

এছাড়াও পড়ুন:

মহারাষ্ট্রে কাছাকাছি ‘ঠাকরে ব্রাদার্স’, বিজেপির দুশ্চিন্তার কারণ কী

কুড়ি বছর পর দুই ভাইয়ের পুনর্মিলন ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজনীতিকে চনমনে করে তুলেছে। জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণের নামে বিজেপির হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন উদ্ধব ও রাজ ঠাকরে। এক মঞ্চ থেকে জনসভায় ভাষণও দিয়েছেন দুজন। ভাষার প্রশ্নে একজোট হওয়ার পর বিজেপির রাজনৈতিক মোকাবিলাতেও জোটবদ্ধ থাকার ইঙ্গিত দুই ভাই–ই প্রকাশ্যে দিয়েছেন। ঠাকরে ভাইদের এই ‘মিলন’ উদ্ধবের শিবসেনা ও রাজের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনাকে (এমএনএস) জোটবদ্ধ করলে মুম্বাই ও মহারাষ্ট্রের শহরভিত্তিক রাজনীতি নতুন খাতে বইতে পারে।

মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার এই মিলনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। কিছুদিন আগেও বিজেপি মনে করেছিল, মুম্বাই, থানে, পুনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরের আসন্ন পৌরসভা ভোটে একাই শক্তি পরীক্ষায় নামবে। ঠাকরে ভাইদের কাছাকাছি আসা সেই সম্ভাবনায় জল ঢালতে পারে। এই নতুন সমীকরণ অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে রাজ্যের বিরোধী জোটেও। রাজ ঠাকরের সঙ্গে উদ্ধবের সম্ভাব্য ‘রাজনৈতিক মিলন’ কংগ্রেসেরও চিন্তা বাড়াচ্ছে। রাজের তীব্র মুসলমান বিদ্বেষের বিরোধিতা কংগ্রেস বরাবর করে এসেছে। নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে চিন্তিত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তাই এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণে মহারাষ্ট্রের বিজেপি–শিবসেনা–এনসিপি জোট সরকার স্কুলশিক্ষায় হিন্দি ভাষাশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছিল। প্রবল প্রতিরোধের মুখে প্রথমে তারা সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে। পরে বাতিল করে দেয়। রাজ্য সরকার জানায়, নীতি পর্যালোচনার জন্য এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গৃহীত হবে।

উদ্ধবের বাবা ও রাজের কাকা বাল ঠাকরের তৈরি শিবসেনার জনপ্রিয়তার আধার ছিল মারাঠি জাত্যভিমান। বাল ঠাকরের উত্তরাধিকারী উদ্ধবই হবেন, এটা বোঝার পর ২০০৫ সালে রাজ নতুন দল এমএনএস গঠন করেন। উগ্র মারাঠিয়ানা হয়ে ওঠে তাঁর রাজনৈতিক শক্তি। কিন্তু খুব বেশি কিছু তিনি করতে উঠতে পারেননি। শিবসেনা প্রসার লাভ করলেও এমএনএস প্রধানত আবদ্ধ থাকে শহরে। পৌরসভার চৌহদ্দির বাইরে সেভাবে তারা প্রসারিত হতে পারেনি। চলতি বছরের শেষাশেষি কিংবা আগামী বছরের গোড়ায় পৌরসভার ভোট হতে চলেছে। দেশের সবচেয়ে ধনী বৃহন্মুম্বাই পৌরসভার (বিএমসি) দখল নেওয়াই হবে ঠাকরে ভাইদের প্রাথমিক লক্ষ্য। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিএমসি পরিচালনা করেছে শিবসেনা। দল ভাগাভাগির পর থেকে বিএমসি পরিচালনা করছে সরকার নিযুক্ত প্রশাসক।

একদা যে শিবসেনা ছিল মহারাষ্ট্রের ভাগ্য নিয়ন্তা, রাজ ঠাকরের নতুন দল গঠন, বাল ঠাকরের মৃত্যু ও শিবসেনায় বিভাজন সেই দলকে ক্রমে দুর্বল করে তুলেছে। রাজ ঠাকরেও বুঝতে পেরেছেন, রাজ্য রাজনীতিতে স্বতন্ত্র অস্তিত্ব রক্ষা করে চলা কতটা দুষ্কর। ২০০৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এমএনএস ১৩টি আসন জিতেছিল। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের ভোটে তারা জেতে মাত্র ১টি করে আসন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে একটি কেন্দ্রেও এমএনএস প্রার্থীরা জিততে পারেননি। রাজ ঠাকরের পুত্র অমিত মাহিম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃতীয় হয়েছিলেন। রাজ্যে এমএনএস ভোট পেয়েছিল মাত্র ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে বিজেপির উত্থান শিবসেনাকেও দুর্বল করতে থাকে। একনাথ শিন্ডের দলত্যাগ এবং শিবসেনার ভাঙনকে হাতিয়ার করে বিজেপি হয়ে ওঠে ১ নম্বর রাজনৈতিক শক্তি। বিজেপির হিন্দি আগ্রাসনকে উপলক্ষ করে দুই ভাইয়ের কাছাকাছি আসা নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার গরজেই।

মিলন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হয়নি। কিন্তু ক্ষয় রোধে দুই দলের একজোট হওয়া আবশ্যক, এই উপলব্ধি সম্ভবত দুজনেই করছেন। এই সম্ভাব্য মিলন সবচেয়ে চিন্তায় রাখবে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও তাঁর দল শিবসেনাকে। উদ্ধব ও রাজ জোট বাঁধলে শিন্ডেসেনায় কতটা ভাঙন ধরতে পারে, বিশেষ করে পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে তার কী প্রভাব পড়বে, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। ঠাকরে ভাইয়েরা বিএমসির দখল নিলে নিশ্চিতভাবে পরবর্তী বিধানসভা ভোটে তার প্রভাব পড়বে। যদিও বিধানসভার পরের ভোট ২০২৯ সালে।

মারাঠি ভোটারদের মধ্যে ঠাকরে ভাইদের জোটবদ্ধতা প্রভাব ফেললে বিজেপিও চিন্তায় পড়বে। পৌরসভার ভোট বিজেপির কাছে বড় পরীক্ষা। মুম্বাই, পুনে, থানে ও নাসিক পৌরসভায় মারাঠা ভোটের সামান্য শতাংশ বিজেপিকে ছেড়ে ঠাকরেদের পক্ষে এলে শিবসৈনিকদের হাত থেকে বৃহন্মুম্বাই পৌরসভা দখল করার স্বপ্ন তাদের কাছে অধরাই থেকে যাবে।

মহারাষ্ট্রে হিন্দির বিরোধিতা অনেক সময় বিহার ও উত্তর প্রদেশের হিন্দিভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরোধিতার কারণ হয়ে থাকে। এই বিরোধিতার ক্ষেত্রে এমএনএসের সক্রিয়তা বাড়লে এবং সে নিয়ে রাজ্যে অশান্তি দেখা দিলে বিহার ভোটে বিজেপি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মহারাষ্ট্রে হিন্দিভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ হলে তার রেশ বিহারের শাসক দল বিজেপির ওপর পড়তে পারে। বিজেপির এটাও এক চিন্তা।

মহারাষ্ট্রে উদ্ধবপন্থী শিবসেনা ও শরদপন্থী এনসিপির সঙ্গে কংগ্রেস জোটবদ্ধ। সেই জোটে এমএনএস যোগ দিলে কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়তে বাধ্য। রাজ ঠাকরের হিন্দি ও মুসলমানবিরোধী রাজনীতিকে সমর্থন করলে মুসলমানদের মধ্যে কংগ্রেসের সমর্থন কমতে বাধ্য। আবার অন্যদিকে কংগ্রেস জানে, ঠাকরে ভাই জোটবদ্ধ হলে বিজেপির জোট রাজনীতি কিছুটা হলেও দুর্বল হবে। এই দুই পরস্পরবিরোধী স্বার্থের মধ্যে আপাতত কংগ্রেসের অবস্থান। দুই ভাইয়ের একজোট হওয়া শেষ পর্যন্ত কোথায় গড়ায়, কংগ্রেস আগে তা দেখতে চাইছে। উদ্ধব ও রাজ ঠাকরের কাছাকাছি আসা মহারাস্ট্র রাজনীতিতে অনেক নতুন সমীকরণ গড়তে চলেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ