Samakal:
2025-07-07@16:58:06 GMT

নতুন সিইও নিয়োগ দিল আইসিসি 

Published: 7th, July 2025 GMT

নতুন সিইও নিয়োগ দিল আইসিসি 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সঞ্জোগ গুপ্তা। তাকে সোমবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইসিসির সপ্তম এই সিইও মিডিয়া, বিনোদন ও ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত এক নাম। 

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ক্রীড়া প্রশাসক জিওস্টার-এর ‘স্পোর্টস অ্যান্ড লাইভ এক্সপেরিয়েন্স’ বিভাগের সিইও’র দায়িত্বে ছিলেন। স্টার ইন্ডিয়াতে সঞ্জোগ কনটেন্ট, প্রোগ্রামিং এবং স্ট্র্যাটেজি বিভাগ যোগ দেন। ২০২০ সালে স্টার স্পোর্টসের প্রধানের দায়িত্ব পান।

তার সময়ে টিভি চ্যানেলে একাধিক ভাষায় সরাসরি সম্প্রচার, ডিজিটাল মাধ্যমে সরাসরি খেলা সম্প্রচার এবং নারী ক্রীড়ার ওপর জোর দেয় ভারত। ২০২৪ সালে ডিজনি-স্টার একীভূত হয়ে জিওস্টার গঠিত হলে তিনি সিইও’র দায়িত্ব পান। 

তাকে নিয়োগ দিয়ে আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসির সিইও হিসেবে সঞ্জোগ গুপ্তাকে নিয়োগ দিতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। তিনি ক্রীড়া নীতি ও ক্রীড়া বাণিজ্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, যে অভিজ্ঞতা আইসিসির কাছে অমূল্য। বিশ্ব ক্রীড়া সম্পর্কে তার ধারণা অসীম। তাকে নিয়ে আমরা প্রথাগত সীমার বাইরে গিয়ে কাজ করতে চাই।’   

আইসিসিতে নিয়োগ পেয়ে সঞ্জোগ বলেন, ‘এই সুযোগ পাওয়া গর্বের। বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন ক্রিকেটের প্রতি আবেগ বাড়ছে এবং ২ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে ভক্ত। ক্রিকেটের মান বাড়ছে, মর্যাদা বাড়ছে, ভক্ত ও ব্যবসা বাড়ছে। এমন সময় আইসিসিতে যোগ দিয়ে ক্রিকেটকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে এটাকে বৈশ্বিক মানে তুলতে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।’

এর আগে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক অজি ক্রিকেটার জিওফ এলারডাইস। তিনি ২০২১ সালে দায়িত্ব পান। আইসিসির ক্রিকেট বিভাগের ব্যবস্থাপকও ছিলেন তিনি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস স আইস স র

এছাড়াও পড়ুন:

বিচারক নিয়োগে আইন অনুসরণ করতে হবে: অধ্যক্ষ ইউনুস

বিচারক নিয়োগে আইন অনুসরণ করার দা‌বি জা‌নি‌য়ে‌ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ।

সোমবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে তি‌নি বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগ বেশিরভাগই দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে করা হয়ে আসছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো সুপ্রীম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”

আরো পড়ুন:

মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামির আপিল শুনবেন হাইকোর্ট, অর্থদণ্ড স্থগিত

ইশরাকের শপথের সিদ্ধান্ত ইসির ওপর ছেড়ে দিলেন আপিল বিভাগ

তিনি আরো বলেন, “ইতোমধ্যে আবেদনপত্র জমাদান প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে। আমরা একান্তই আশা করবো, নিরপেক্ষ ও প্রশ্নাতীত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দক্ষ, মেধাবী, দল নিরপেক্ষ এবং সাহসী বিচারক নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের বিচার বিভাগ এক অনন্য মাত্রায় উন্নিত হবে।”

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, “বর্তমান যুগ তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। তথ্যের অবাধ ও স্থায়ী প্রবাহ সকলের কর্মকাণ্ড ও অতীতকে মানুষের সামনে উন্মুক্ত করে রাখে। ফলে বিচারক হিসেবে যারা নিয়োগ পাবেন, তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং তাদের যোগ্যতা, নিয়োগ প্রক্রিয়া, যারা নিয়োগ পেল আর যারা নিয়োগ পেল না, তাদের যোগ্যতার মধ্যে তুলনামূলক পর্যালোচনা হবে।”

"আমরা আশা করি, তখন সুপ্রীম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মতো একটা সুন্দর পদ্ধতি বিতর্কিত হবে না। অতএব, পুরো প্রক্রিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্কতার সঙ্গে নিতে হবে। বিতর্ক হতে পারে এমন সকল কিছু এড়িয়ে যেতে হবে,” যোগ ক‌রেন তি‌নি।

মাওলানা ইউনুস বলেন, “আমরা অতীতের কারণে শঙ্কিত। অতিতে বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নিয়মানুযায়ী আবেদনপত্র চাওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু তার আগেই শর্টলিস্ট করে রাখা হয়। আবেদনপত্র চাওয়া, পরীক্ষা-সাক্ষাৎকার নেওয়া সবকিছুই হয় লোক দেখানো। এই ধরনের ছলচাতুরি করেই আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে হত্যা করা হয়েছে।”

মাওলানা ইউনুস আরো বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আশা করে, নতুন সম্ভাবনার এই মাহেন্দ্রক্ষণে হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগে এমন কোন ছালচাতুরি হবে না। আমরা নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগ চাই বলেই পুরো প্রক্রিয়ার প্রতি সতর্ক নজর রাখবো। আমরা নিয়োগ শেষে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দিতে চাই। সচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমাদের ধন্যবাদ দেওয়ার সুযোগ করে দিন।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ