আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সঞ্জোগ গুপ্তা। তাকে সোমবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইসিসির সপ্তম এই সিইও মিডিয়া, বিনোদন ও ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত এক নাম।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ক্রীড়া প্রশাসক জিওস্টার-এর ‘স্পোর্টস অ্যান্ড লাইভ এক্সপেরিয়েন্স’ বিভাগের সিইও’র দায়িত্বে ছিলেন। স্টার ইন্ডিয়াতে সঞ্জোগ কনটেন্ট, প্রোগ্রামিং এবং স্ট্র্যাটেজি বিভাগ যোগ দেন। ২০২০ সালে স্টার স্পোর্টসের প্রধানের দায়িত্ব পান।
তার সময়ে টিভি চ্যানেলে একাধিক ভাষায় সরাসরি সম্প্রচার, ডিজিটাল মাধ্যমে সরাসরি খেলা সম্প্রচার এবং নারী ক্রীড়ার ওপর জোর দেয় ভারত। ২০২৪ সালে ডিজনি-স্টার একীভূত হয়ে জিওস্টার গঠিত হলে তিনি সিইও’র দায়িত্ব পান।
তাকে নিয়োগ দিয়ে আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসির সিইও হিসেবে সঞ্জোগ গুপ্তাকে নিয়োগ দিতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। তিনি ক্রীড়া নীতি ও ক্রীড়া বাণিজ্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, যে অভিজ্ঞতা আইসিসির কাছে অমূল্য। বিশ্ব ক্রীড়া সম্পর্কে তার ধারণা অসীম। তাকে নিয়ে আমরা প্রথাগত সীমার বাইরে গিয়ে কাজ করতে চাই।’
আইসিসিতে নিয়োগ পেয়ে সঞ্জোগ বলেন, ‘এই সুযোগ পাওয়া গর্বের। বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন ক্রিকেটের প্রতি আবেগ বাড়ছে এবং ২ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে ভক্ত। ক্রিকেটের মান বাড়ছে, মর্যাদা বাড়ছে, ভক্ত ও ব্যবসা বাড়ছে। এমন সময় আইসিসিতে যোগ দিয়ে ক্রিকেটকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে এটাকে বৈশ্বিক মানে তুলতে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।’
এর আগে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক অজি ক্রিকেটার জিওফ এলারডাইস। তিনি ২০২১ সালে দায়িত্ব পান। আইসিসির ক্রিকেট বিভাগের ব্যবস্থাপকও ছিলেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার
শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী