ভারতে জ্যোতি মালহোত্রাকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়ে গেল কেরালা সরকার
Published: 7th, July 2025 GMT
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ভারতের হরিয়ানার সিরসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে নিয়ে নতুন এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই ট্রাভেলার ব্লগারকে দক্ষিণ রাজ্য কেরালার পর্যটন শিল্পের প্রচারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সর্বভারতীয় এক গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, তথ্য জানার অধিকারের (আরটিআই) আওতায় পাওয়া এক প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে, কেরালা সরকার বিশ্বের পর্যটকদের কাছে রাজ্যের পর্যটন শিল্প তুলে ধরার জন্য নির্বাচিত ৪১ জন ইনফ্লুয়েন্সারের সফরের সম্পূর্ণ খরচ (যাতায়াত, থাকা ও খাওয়া) বহন করেছিল। এই প্রচারণার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে ভিডিও ধারণের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। এই ৪১ জন ইনফ্লুয়েন্সারের তালিকায় জ্যোতি মালহোত্রার নামও ছিল।
এ ঘটনা সামনে আসার পর বিরোধী দলগুলো কেরালা সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করছে। তবে কেরালার পর্যটনমন্ত্রী পিএ মোহাম্মদ রিয়াজ বলেন, “জ্যোতি মালহোত্রাকে অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সবকিছুই স্বচ্ছতা ও সদিচ্ছার সঙ্গে করা হয়েছিল। এটা কোনো গুপ্তচরবৃত্তি সহায়তাকারী সরকার নয়। মিডিয়াকে বুঝতে হবে সরকার কীভাবে কাজ করে। এটা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব ছিল না।”
আরো পড়ুন:
পাঞ্জাবে বাস উল্টে নিহত ১০
সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরির দিন শেষ: নাহিদ
তিনি আরো বলেন, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচারণা’ এবং ‘সরকার কখনও সচেতনভাবে কোনো গুপ্তচরকে আমন্ত্রণ করবে না।’
বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে- ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যাকগ্রাউন্ড যথাযথভাবে যাচাই না করে কেন তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
বিজেপির মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়াল্লা এক্স পোস্টে লিখেছেন, আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত জ্যোতি মালহোত্রাকে বামপন্থি সরকার রাজ্যের অতিথি হিসেবে পর্যটন দপ্তরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। যখন ভারত মাতা অবরুদ্ধ তখন পাকিস্তানের গুপ্তচর লাল গালিচার সংবর্ধনা পাচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বিজয়নের জামাতা ও পর্যটন মন্ত্রী মোহাম্মদ রিয়াজকে বরখাস্ত করা উচিত।
কেরালা সফরের সময় জ্যোতি মালহোত্রা কোচি, কান্নুর, কোঝিকোড়, আলাপ্পুঝা, মুনার এবং তিরুবনন্তপুরম ঘুরে দেখেছিলেন। তিনি থেয়্যাম পারফরম্যান্স এবং রাজ্যের বিভিন্ন সৌন্দর্যপূর্ণ স্থান নিয়ে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো তার ইউটিউব চ্যানেল ‘ট্রাভেল উইথ জো’ এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন।
তবে ৩৩ বছর বয়সী এই ভ্লগারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর ভিত্তির অভিযোগ ওঠার আগেই তিনি কেরালা ভ্রমণে গিয়েছিলেন। পরে পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলা ও পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করার পর তাকে গত মে মাসে গ্রেপ্তার করা হয়।
হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা তাকে ‘অ্যাসেট’ হিসেবে গড়ে তুলছিল। পাকিস্তানের লাহোরে তার কেনাকাটার একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে একে-৪৭ হাতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য দ্বারা তাকে পাহাড়া দিতে দেখা গেছে, যা একজন সাধারণ ভ্লগারের জন্য অস্বাভাবিক।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন জ্যোতি মালহোত্রার ভিডিওগুলো নিয়ে তদন্ত করছে। মূলত ভিডিও করার আড়ালে তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচর হয়ে কাজ করছিলেন কিনা তা জানার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ভারতের পুলিশ তার বিরুদ্ধে পেহেলগামে হামলার আগে পাকিস্তান সফরের প্রমাণ পায়। ওই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছিল।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম লহ ত র ক ইনফ ল য গ প তচর র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লা বিসিকে যুবলীগ ক্যাডার পাভেল প্রকাশ্যে
ফতুল্লার বিসিক ভাঙ্গা ক্লাব এলাকার আজমেরী ওসমানের সহযোগী ও যুবলীগ ক্যাডার পাভেল প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরিসহ আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
বিগত সময়ে আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বিসিকের বিভিন্ন গার্মেন্টসের ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করত।
গত বছর বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে আজমেরী ওসমানের সাথে হোন্ডা মহড়া দিতেন পাভেল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপন চলে যায় পাভেল। সম্প্রতি পাভেল ফের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, পাভেলের চাচা সিরাজ এনায়েতনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। সেই দাপটেই পাভেল ফের প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে।
ছাত্র জনতার উপর সরাসরি হামলাকারী পাভেল এবার কতিপয় বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিসিকে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিসিক এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পাভেলকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।