ক্যারিয়ারে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজল। তবে একটি সিনেমায় অভিনয় হয়ে উঠেছিল তাঁর জন্য অস্বস্তির কারণ। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন তনুজা চন্দ্র। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে কাজল অভিনীত সিনেমা ‘মা’। ছবির প্রচারে প্রায় তিন দশক আগে অভিনয় করা ‘দুশমন’ সিনেমা প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।

কাজল এই ছবিতে দুই বোনের চরিত্রে মানে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এক বোন ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যায়, অন্য বোন তার বোনের প্রতিশোধ নেয়। কাজল জানালেন, তিনি এই ছবি করতে চাননি, কিন্তু তখন পূজা ভাট তাঁকে রাজি করান।

লাল্লানটপের সঙ্গে আলাপ আলোচনার সময় কাজল জানান, ‘খুব কঠিন চরিত্র ছিল এটি। আমি সিনেমাটি করতে রাজি হইনি। পূজা ভাট ছবিটির জন্য আমার কাছে এসেছিলেন, কারণ তিনি এটি প্রযোজনা করছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন আমি ছবিটি করি। চিত্রনাট্যটা ভালো লেগেছিল। আইডিয়াটা দারুণ ছিল, কিন্তু আমি পর্দায় ধর্ষণের দৃশ্য করতে চাইনি, কারণ একজন অভিনেতা হিসেবে আপনাকে প্রতিটি দৃশ্য একই আবেগ নিয়ে করা উচিত। সেই জন্যই আমি এই চরিত্রে অভিনয় করতে চাইনি।’

‘দুশমন’ ছবিতে কাজল। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন: ভোট গণনা শুরু, দেখানো হচ্ছে এলইডি স্ক্রিনে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো হচ্ছে এ ভোট গণনা কার্যক্রম।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন আনা হয় সব কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স। সন্ধ্যা ৬টায় ভোট গণনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা রাত ৮টার দিকে শুরু হয়।

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন: ভোট পড়েছে ৬৯.৮৩ শতাংশ

রাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগ ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন ও শহীদ মিনারে স্থাপিত এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হচ্ছে ভোট গণনা। শিক্ষার্থীরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন স্ক্রিনের সামনে।

নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. নিজাম উদ্দিন বলেন, “অত্যন্ত চমৎকার পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট কাস্ট হয়েছে ৬৯.৮৩ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত হয়ে ভোট প্রয়োগ করেছে। আমরা পোলিং অফিসারদের সামনে ব্যালট বাক্সগুলো খুলেছি। গণনা যন্ত্রগুলো চেক করা হয়েছে। ভোট গণনার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, আমরা খুব দ্রুত ফলাফল দিতে পারব।”

এবারের রাকসু নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি ভোটকেন্দ্রে। কেন্দ্রীয় রাকসুর ২৩টি পদে মোট ৩০৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর মধ্যে রয়েছে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ। সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধির পাঁচটি পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে ১৭টি হল সংসদের ২৫৫টি পদে মোট ৫৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটারের ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ নারী, ৬০ দশমিক ৯০ পুরুষ।

তবে ভোট দিয়েছেন ২০ হাজার ১৮৭ শিক্ষার্থী। সে হিসাবে ভোট দিয়েছেন গড়ে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

ঢাকা/কেয়া/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ