সমকামীতার জেরে রূপগঞ্জে পারভেজকে হত্যা , গ্রেপ্তার ২
Published: 7th, July 2025 GMT
রূপগঞ্জে পারভেজ হাসান (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার ১ দিন পরই রহস্য উৎঘাটন করেছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ আরমান হোসেন (৩৮) ও মেহেদী হাসান ইমন (২৬) নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। রোববার মধ্যরাতে কুমিল্লার মুরাদনগর ও তারাবো এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, নিহত পারভেজকে সমাকামিতার গোঁপন সম্পর্কের জেরে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরোধের জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে আমলাবোর ভাড়া বাসার ছাঁদে ফেলে যায়। পরে রক্তক্ষরণের মাধ্যমে মারা যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আরমান হোসেন রূপগঞ্জ উপজেলার বরাবর এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে এবং মেহেদী হাসান ইমন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মুচাগড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
নিহত পারভেজ হাসান পাবনা জেলার সদর উপজেলার মৃত মজিদ সরকারের ছেলে। গত ৩ জুলাই ঘটে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে রূপগঞ্জ থানা কার্যালয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিহত পারভেজ হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান ইমন কুমিল্লা মুরাদনগর থানার একটি ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, অপর অভিযুক্ত ডাক্তার আরমান হোসেন একটি বেসরকারি কলেজ হাসপাতালের সহযোগি অধ্যাপক।
তদন্তে জানা যায়, উপজেলার আমলাব এলাকায় অবস্থিত গিয়াস উদ্দিন মোল্লার বাড়িতে ভাড়া বসবাস করতেন নিহত পারভেজ হাসান। ওই বাসায় গ্রেফতারকৃত আরমান হোসেন ও মেহেদী হাসান ইমন সহ তার সহকর্মীরা আসা-যাওয়া করতেন।
এছাড়া পারভেজ হাসানের সমকামী সঙ্গী হিসেবে প্রায় সময় মেহেদী হাসান ইমন বসবাস করতেন। পাশাপাশি ডাক্তার আরমানেরও সমকামিতার সম্পর্ক ছিলো। অভিযুক্তদের সমাকামিতা সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো।
এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ৩ জুলাই আমলাবোস্থ গিয়াসউদ্দিন মোল্লার ৫ম তলার ছাঁদে অভিযুক্তরা পারভেজকে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। পরবর্তীতে রক্তাক্ত অবস্থায় রাতভর রক্তক্ষরণে মারা যায়।
খবর পেয়ে পরের দিন ৪ জুলাই বাসার ছাঁদ থেকে নিহত পারভেজকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তদন্তে নামে। পরে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেন। অভিযুক্তদের অধিকতর তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার জড়িত আরো কেউ থাকলে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ৩ জুলাই সন্ধ্যায় রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আমলাবো এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পারভেজকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর র পগঞ জ থ ন আরম ন হ স ন হ স ন ইমন উপজ ল র ত রক ত হত য ক আমল ব
এছাড়াও পড়ুন:
চাকসু: ভিপি, জিএস, এজিএসে ৮ কেন্দ্রে এগিয়ে যারা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে আটটি কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ অনানুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেশিরভাগ কেন্দ্রে শীর্ষ তিন পদের মধ্যে দুটিতে ইসলামী ছাত্রশিবি এবং একটিতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। তবে এই তিন পদে আট কেন্দ্রেই শিবির-ছাত্রদলের প্রার্থীদের লড়াই বেশ চোখে পড়ার মতো; অবশ্য বামপন্থিরা লড়াইয়ে আসতেই পারেননি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয় সন্ধ্যার পর। ভোটার সংখ্যা কম-বেশি থাকায় কোনো কেন্দ্রে আগে, কোনো কেন্দ্রে দেরিতে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। রাত ২টায় পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আটটি কেন্দ্রের ফলাফল হলো এমন:
আরো পড়ুন:
চাকসু নির্বাচন: পাঁচ হলের ভিপি-জিএস হলেন যারা
প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে রাকসু, রাত পোহালেই ভোট
আলাওল হল কেন্দ্র
চাকসুর ভোটে এই কেন্দ্রে ভিপি পদে শিবিরের ইব্রাহিম রনি ৩৯৩টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হৃদয় পেয়েছেন ২৫১টি ভোট।
জিএস পদে শিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ৩৯৩টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; আর ছাত্রদলের শাফায়াত ২০০টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৪৭১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না পেয়েছেন ২২৫টি ভোট।
বিজয় ২৪ হল কেন্দ্র (ছাত্রী হল)
এই হলে ভিপি পদে শিবিরের রনি ৬৪৪টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে ছাত্রদলের সাজ্জাদ ২২৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
জিএস পদে শিবিরের সাঈব হাবিব ৬৮৯টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ছাত্রদলের শাফায়াত, তার প্রাপ্ত ভোট ১৬৪টি।
এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৫৬৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। শিবিরের মুন্না
৩৫১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এফ রহমান হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৩৮১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে হৃদয় (ছাত্রদল) ২২৬ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৩৫১ ও শাফায়াত (ছাত্রদল) ২২০টি ভোট পেয়েছেন।
এজিএস পদে তৌফিক (দল) ৪৪২টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এবং মুন্না (শিবির) ২৩১ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
শাহজালাল হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৭৭৯ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাজ্জাদ হৃদয় (ছাত্রদল) ৪৮১ ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৭৮০ পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; শাফায়াত (দল) ২৮৫টি দ্বিতীয় হয়েছেন।
শাহজালাল হল কেন্দ্রে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না ছাত্রদলের তৌফিকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এই হলে মুন্না মুন্না (শিবির) ৭৮৩টি এবং তৌফিক (দল) ৫৮৯টি ভোট পেয়েছেন।
শিল্পী আব্দুর রশিদ চৌধুরী হোস্টেল কেন্দ্র
এখানে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ৩৪টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ২৭ ভোট নিয়ে শিবিরের রনি দ্বিতীয় এবং ২৬টি ভোট নিয়ে বামের ধ্রুব বড়ুয়া তৃতীয় হয়েছেন।
জিএস পদে সুদর্শন চাকমা (বাম) ২৯টি ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন। এখানে সাঈদ (শিবির) ২৮টি এবং শাফায়েত (ছাত্রদল) ১৪টি ভোট পেয়েছেন।
এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৩৮টি এবং শিবিরের মুন্না ১১টি ভোট পেয়েছেন।
অতীশ দীপংকর হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ২২৩টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ধ্রুব বড়ুয়া (বৈচিত্র্যের ঐক্য) ও ইব্রাহিম রনি (শিবির) উভয়েই ৯০টি করে ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে শাফায়েত (ছাত্রদল) ১৬৪টি ভোট নিয়ে এখানে এগিয়ে রয়েছেন। সুদর্শন চাকমা (বামজোট) ১৩১টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় এবং সাঈদ (শিবির) ৮৩টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৬৬টি। যেখানে পলাশ দে (বিনির্মাণ শিক্ষার্থী জোট) ৬২টি এবং মুন্না (শিবির) ৪৫টি ভোট পেয়েছেন।
এই হলে ৬০ শতাংশ অমুসলিম শিক্ষার্থী থাকেন।
সোহরাওয়ার্দী হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ১ হাজার ৪৮৮টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এখানে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) পেয়েছেন ৬৮০টি ভোট।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ১ হাজার ৪০৪টি ভোট নিয়ে ব্যাপক ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন ৪৫৮টি ভোট পাওয়া শাফায়েতকে।
এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৯৬৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; যেখানে
৯০৬ নিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েছেন মুন্না (শিবির)।
শহীদ আব্দুর রব হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৬৪৯ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; যেখানে হৃদয় (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৮২টি ভোট।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৬৩৬টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আর ছাত্রদলের শাফায়েত পেয়েছেন ১৫৭টি ভোট।
এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৫৪০ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; শিবিরের মুন্না পেয়েছেন ৩৬৩টি ভোট।
ঢাকা/মিজান/রাসেল