ইদানীং শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য হাত বাড়ানো হচ্ছে ওপার বাংলার নায়িকাদের দিকে। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। আগামী বছরের ঈদে মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ সিনেমা। এ সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে দেখা যেতে পারে টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারকে। সিনেমাটির নায়িকা চূড়ান্ত না হলেও এই সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমাটির কাস্টিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকার। এ অভিনেত্রী তার ফেসবুকে লেখেন, “এটা কি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা? যদি শুধু বাংলাদেশের হয়, তাহলে আমাদের দেশে কি লিড ফিমেল রোল করার মতো কোনো শিল্পী নেই? কেন এমন কাস্টিং হচ্ছে?” 

দীপার এই পোস্ট ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু চলছে যুক্তি-তর্ক, আলোচনা-সমালোচনা। হৃদয় সাহা লেখেন, “কলকাতাতেও তো অনেক অভিনেত্রী আছেন, তবু তাদের প্রোডাকশনে জয়া আহসান, নুসরাত ফারিয়াদের কেন নেওয়া হয়?” 

আরো পড়ুন:

ফের অ্যাকশন সিনেমায় শাকিব খান

বুবলীর ফোনে শাকিবের নাম্বার কী নামে সেভ করা আছে?

এমডি সুজন মল্লিক নামে একজন লেখেন, “শিল্পীদের কোনো দেশ হয় না, তারা সবার। বাংলাদেশের তুলনায় অনেক সময় কলকাতার অভিনেত্রীরা পরিণত ও প্রস্তুত থাকে। রাজ্জাক সাহেবও তো একসময় কলকাতায় কাজ করেছেন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য জমা পড়েছে দীপা খন্দকারের কমেন্ট বক্সে।

তবে তথ্য যাচাই করে জানা গেছে, সিনেমার শিরোনাম বা নায়িকা—কোনোটিই এখনো চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বিতর্কে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি চলবেই। তবে এ থেকে বোঝা যায়, দেশি সিনেমায় বিদেশি শিল্পী ব্যবহারের বিষয়টি এখনো দর্শক-শিল্পীদের আবেগ ও প্রশ্নের জায়গা হয়ে আছে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিক এহসান মাহমুদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের প্রতিবাদ ৩২ নাগরিকের

জুলাই গণ–অভ্যুত্থান স্মরণে ১ জুলাই ঢাকায় বিএনপির অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও লেখক এহসান মাহমুদ যে আচরণের শিকার হয়েছেন, সেটিকে ‘অসম্মান ও অসদাচরণ’ আখ্যায়িত করে দেশের ৩২ জন নাগরিক বলেছেন, এহসান মাহমুদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মুক্তচিন্তা এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ ও সাংবাদিকতার ওপরই একধরনের আক্রমণ। এই আচরণের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

 সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ৩২ নাগরিক এসব কথা বলেছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও সামিনা লুৎফা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ-আল মামুন ও ইফতিখারুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর রাজী, মোশরেকা অদিতি হক ও সায়মা আলম, লেখক রাখাল রাহা, সালাহ উদ্দিন শুভ্র ও জিয়া হাশান, কবি হাসান রোবায়েত, মোহাম্মদ রোমেল, মৃদুল মাহবুব, রাজু আলাউদ্দিন ও কাজল শাহনেওয়াজ, সংস্কৃতিকর্মী অমল আকাশ, প্রকাশক মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন ও সাঈদ বারী, সাংবাদিক দেলোয়ার হাসান ও ইসমাঈল হোসেন এবং অ্যাকটিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ।

 বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে এহসান মাহমুদসহ অনেক লেখক, শিল্পী, অ্যাকটিভিস্ট জান বাজি রেখে রাজপথে দাঁড়িয়েছেন, দমন-পীড়নের মুখে থেকেও আপস করেননি। দীর্ঘ এই লড়াইয়ে তাঁদের ব্যক্তিজীবন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পেশাগত জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কোপানলে পড়ে এহসান মাহমুদ বারবার চাকরি হারালেও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।’

 বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মহান জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে ১ জুলাই রাজধানীতে একটি রাজনৈতিক দল আয়োজিত অনুষ্ঠানে অসম্মান ও অসদাচরণের শিকার হয়েছেন সাংবা‌দিক এহসান মাহমুদ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোল‌নে সোচ্চার থেকেছেন এবং সত্যের পক্ষে কলম ধরেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এ ধরনের আচরণ আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো লেখক, শিল্পী, গণতন্ত্রকামী নাগরিক ও সমমনাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস, এই ঘটনা জুলাই অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রয়াসের অংশ। সেই বিপ্লবের সাহসী যোদ্ধাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং ইতিহাসকে বিকৃত করতে এ ধরনের অপপ্রচার ও অসম্মানের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে।’

 প্রকাশক সমিতির প্রতিবাদ

 সাংবাদিক ও লেখক এহসান মাহমুদের সঙ্গে অসদাচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। এতে বলা হয়, তরুণ লেখক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদের সম্মানহানির জন্য সম্প্রতি একটি পরিকল্পিত ও হীন অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের জুলাই স্মরণে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালে তাঁর সঙ্গে যে অসদাচরণ করা হয়েছে, তা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অপমানজনক এবং একজন মুক্তমনা সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ করার ঘৃণ্য প্রয়াস। আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও ঘোর নিন্দা জানাই। এহসান মাহমুদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সব বিবেকবান নাগরিককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি সাঈদ বারী ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসানের পাঠানো এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এহসান মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে সত্য উচ্চারণ করে আসছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থান নেওয়া ও খুনি হাসিনার সরকারের অন্যায়-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাঁর সরব ও সাহসী ভূমিকা সর্বজনবিদিত। এই কারণেই তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, বারবার ভয়ভীতি ও হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু কোনো অপচেষ্টা তাঁকে সত্যের পথ থেকে সরিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি সমমনাদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ