এএফসি নারী এশিয়ান কাপে প্রথমবারের মতো মূল পর্বে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দেশে ফিরেছেন এই বিজয়ী ফুটবলাররা। আর ফিরেই সোমবার সকালে ভুটানের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা।

গত রাতে দেশে ফেরার পর রাত সোয়া তিনটায় হাতিরঝিলে পূর্ব নির্ধারিত নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। পৌনে এক ঘণ্টার অনুষ্ঠান শেষে অন্য ফুটবলারদের সঙ্গে ঋতুপর্ণা ও মনিকাও বাফুফে ভবনে যান। সেখানে বিশ্রামের খুব বেশি সময় না পেয়েই আবার ছুটতে হয় বিমানবন্দরে। সকালে ফ্লাইট ধরেই পারো এফসির ক্যাম্পে যোগ দিতে উড়াল দেন তারা।

বর্তমানে ভুটানের তিনটি ক্লাবে খেলছেন বাংলাদেশের মোট ১০ নারী ফুটবলার। ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডে আছেন মাসুরা পারভীন, কৃষ্ণা রানী সরকার ও রূপনা চাকমা। থিম্পু সিটি এফসির হয়ে খেলছেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা ও শামসুন্নাহার সিনিয়র।

ঋতুপর্ণা ও মনিকা খেলছেন পারো এফসির হয়ে। ক্লাবের অনুশীলন শুরু হওয়ায় সংবর্ধনা শেষে সময় নষ্ট না করেই যোগ দিয়েছেন নিজেদের দায়িত্বে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, থামাতে নবীগঞ্জ সদরে ১৪৪ ধারা জারি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা সদরে পূর্ববিরোধে জের ধরে আজ সোমবার বিকেলে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৯ জনকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে এ সংঘর্ষ থামাতে উপজেলা শহরে আজ সোমবার বিকেল থেকে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার বিকেল ৪টা থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত নবীগঞ্জ শহরে এ ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে একে অপরের বিরুদ্ধে লেখালেখি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আশায়েদ আলীকে গত ৪ জুলাই নবীগঞ্জ উপজেলার আনমুন এলাকায় অপর গণমাধ্যমকর্মী সেলিম তালুকদার ও তাঁর লোকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ। এ সময় আনমুন গ্রামের লোকজন হামলাকারীদের মধ্যে থেকে ২ তরুণকে আটক করে পুলিশে দেন। পুলিশে দেওয়া এ দুই তরুণের বাড়ি উপজেলার তিমিরপুর গ্রামে। এতে তিমিরপুর গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠেন তাঁদের লোকজনকে আনমুন গ্রামের লোকজন ধরে পুলিশে দেওয়ায়। এ নিয়ে তিন দিন আগে ওই দুই গ্রামের লোকজন মারামারি করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ মারামারি সূত্র ধরে সোমবার দুপুরে ঘোষণা দিয়ে আনমুন ও তিমিরপুর গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন নিজ নিজ এলাকায়। একপর্যায়ে বিকেলে উপজেলা সদরে ওই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন ইটপাটকেল, বল্লম ধারালো অস্ত্রসহ নানা দেশি অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেন। সংঘর্ষকালে উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক লোকজন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি দোকানপাট।

এতে পুরো উপজেলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, তুচ্ছ বিষয় থে‌কে তি‌মিরপুর ও আনমুন গ্রা‌মের লোকজন সংঘ‌র্ষে জড়ান । এ সময় বাজা‌রের বেশ ক‌য়েক‌টি দোকানপাট ভাঙচুর ও অ‌গ্নিসং‌য়ো‌গের ঘটনা ঘ‌টে। বর্তমা‌নে প‌রি‌স্থি‌তি শান্ত র‌য়ে‌ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ